প্রতীক্ষা | Pratiksha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ প্রতীক্ষা পরিবারগুলো স্ব ছইছত্রাকার হয়ে যাচ্ছে। আমার শেষ আকর্ষণ আমার জ্যাঠামশাই চলে যাওয়ার পর জীবন বিষাদ। তার কত কল্পনা ছিল। কত আনন্দ তৈরি করতে পারতেন। খযির মতো চেহারা। বিরাট একটা যৌথ পরিবারের হেড | গ্রামের যারা কলকাতার কলেজে লেখাপড়া করতে আসত তারা সব আমাদের বাড়িতে আশ্রয় পেত। থাকা, খাওয়া, হাতখরচ। জামা-কাপড়, বই-খাতা।হুগলির বিষয়-সম্পত্তি সব বিক্রি হয়ে গেল | আশিতরা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরে পড়ল। আমাদের যৌথ পরিবার SHR | সবাই জ্যাঠামশাইকে দুষতে লাগলেন। একমাত্র আমার বাবা তার পাশে দাড়িয়ে বললেন, “মেজদা যা করেছে ঠিক BACK’ জ্যাঠামশাই বললেন, 'আমাদের গ্রামের দশটা ছেলে ব্রিলিয়েন্ট হয়েছে। কেউ বিজ্ঞানী, কেউ ডাক্তার। কেউ আমেরিকায়, কেউ বিলেতে। সব আমাদের ছেলে। মুখের ওপর কেউ কিছু বলত A | আড়ালে সব ঠোট উলটে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করত। তখনই বুঝতে পারতুম পরিবারে ফাটল ধরছে। যাক গে, মরুক গে। আমার অত ভাবনা-চিনস্তার দরকার নেই। বাবা বলতেন, নিজের কাজ করে যাও- 14316 hay while Sun shines | কলেজে পড়তে পড়তেই মনে হয়েছিল, যে যা হয় হোক, আমি লেখক হব। মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখের কথা লিখব। শ্যামল আমার ইচ্ছের কথা শুনে বলেছিল, অত সহজ নয়। লিখলেই লেখক হওয়া যায় না। হয় তো তাই। আমাদের এই বাড়িটায় একতলা, দোতলা মিলিয়ে কত ঘর। একসময় গমগম PIS!) প্রত্যেকটি ঘরে এক একটা ছোট গল্প। সব মিলিয়ে একটা উপন্যাস। একশোটা বছর। ছগলি থেকে আমার পিতামহ SPICY চলে এসেছিলেন। তখন তার বয়েস মাত্র ন' বছর। গৃহত্যাগ করেছিলেন কেন? ব্যাপারটা কিঞ্চিৎ ঝাপসা। আমার বাবা, জ্যাগামশাইও ঠিক ঠিক জানতেন না। আমার সেলফ মেড ঠাকুরদা এই রকম বলতেন, কবর খুঁড়ে অতীতের কঙ্কাল তোলার চেষ্টা না করে বর্তমানটাকে বড়ো করো। আমার অতীত HOA সময় নেই। আমি মরা কাটা ডাক্তার নই। আমাদের পরিবার যে স্কুলে লেখাপড়া করেছে, সেই নামী স্কুলের নামী প্রধান শিক্ষক চারুচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তার কোনো অতীত থাকবে না, এ কি হতে পারে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ছবি দিয়ে একটা 'ফটো গ্যালারি” আছে



Leave a Comment