জননী সারদা দেবী : উদ্ভাসিত জ্যোতি [সংস্করণ-১] | Janani Sarada Debi : Udbhasita Jyoti [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চার সঙ্ঘগঠনের প্রথম পর্যায় s শ্রীমা ১৮৯৭-এর ২০ ফেব্রুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করলেন। সন্ন্যাসী মঠ তখন আলমবাজারে। বিবেকানন্দের আগমনে রামকৃষ্ণ আন্দোলনে এক বিরাট উদ্দীপনা এল। শ্রীরামকৃষ্ণ একদিন দক্ষিণেশ্বরে বসে বিশ্বনাথ দত্তের ছেলে নরেন্দ্রনাথ সম্বন্ধে কত উচ্ছ্বাস বাক্যই না প্রকাশ করেছেন। মহামান্য কেশব সেনের সঙ্গেও তুলনা করেছেন নরেনের। সংকুচিত হয়েছে সপ্রতিভ নরেন্দ্র নামে ছেলেটি 1 মুখে বলেছেন, 'এসব বলবেন না। লোকে আপনাকে পাগল AAA! খলখল করে হেসে উঠেছেন সাধক ব্রাহ্মণ। 'আমি কী বলি রে মা যে আমাকে বলায়।” আজ তার AVM নরেন্দ্রনাথ পাপড়ি মেলে বিকশিত হয়েছেন। সেই সহ্্রদলের সুগন্ধে বিশ্ব আমোদিত। Haas we’ রূপে- বিবেকের কশাঘাতে সচকিত করেছেন মানুষের আস্তরসত্তাকে। জাগিয়ে দিয়েছেন নতুন প্রেরণায়। কিন্তু বিদেশে প্রচার-কার্যের সময় যে নারী-মঠ ও নারী-আন্দোলনের কথা স্বামী বিবেকানন্দ বারবার বলতেন তা কিন্তু বাস্তবায়িত করার কোনো বাহ্যিক প্রচেষ্টা দেখা গেল না। বরঞ্চ ১৮৯৮ সালে রা ফেব্রুয়ারি বেলুড় গ্রামে গঙ্গার ধারে এক খণ্ড জমির বায়না নেওয়া হল এবং আলমবাজার মঠকে স্থানাত্তরিত করে এক নতুন জমির পাশেই নীলাম্বরবাবুর বাগানবাড়ি ভাড়া নিয়ে নতুন মঠের সূচনা হল। এপ্রিল মাস থেকে স্বামী বিজ্ঞানানন্দের তত্ত্বাবধানে নতুন জমিতে মঠ নির্মাণের কার্য শুরু হল। ওই মাসেরই শেষ সপ্তাহে শ্রীমাকে নতুন জমি দেখাবার জন্য নিয়ে আসা হল সঙ্গে এলেন স্বামী যোগানন্দ, PAI কৃষ্ণলাল, এবং গোলাপ মা। শ্রীমা প্রথমে নীলাম্বর মুখুজ্যের বাগানবাড়িতে উপস্থিত হলেন। তখন NCHA AIA তাপ। Were, তাকে বরণ করা হল, সন্ন্যাসীরা শ্রীমায়ের চরণ ধুইয়ে দিলেন। বিকেল চারটের সময় ফিরবার পথে স্বামী ব্রহ্মানন্দ প্রার্থনা করলেন, 'মা যাবার আগে যেন মঠের নূতন জমিতে একবার পদধুলি দিয়ে যান।” Sa তখন নৌকো করে মঠের জমির উদ্দেশে রওনা হলেন! জমি দেখে শ্রীমায়ের কী আনন্দ! বললেন, 'এতদিনে ছেলেদের একটা মাথা গৌজবার জায়গা হল-_ঠাকুর এতদিনে মুখ তুলে চেয়েছেন” এই প্রসঙ্গে শ্রীমা পরবর্তীকালে স্মৃতিচারণে বলেছিলেন, 'আমি কিন্তু বরাবরই দেখতুম, ঠাকুর যেন গঙ্গার ওপারে এ জায়গাটিতে--যেখানে এখন মঠ, কলাবাথান-টাগান-_তার মধ্যে ঘর, সেখানে বাস করছেন (তখন মঠ হয়নি) মঠের নতুন জমি কেনা হলে পরে নরেন একদিন আমাকে নিয়ে জমির চতুঃসীমা ঘুরে ঘুরে দেখালে, বললে, “মা, তুমি আপনার জায়গায় আপন মনে হাপ ছেড়ে বেড়াও।' “বোধগয়ার মঠ, তাদের অত সব জিনিসপত্র, কোন অর্থের অভাব নেই, কষ্ট নেই-_ দেখে BUSA, আর ঠাকুরকে বলতুম, 'ঠাকুর, আমার ছেলেরা থাকতে পায় না, খেতে পায় না, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের যদি অমন একটি থাকবার জায়গা BW তা ঠাকুরের ইচ্ছায় মঠটি AAA |



Leave a Comment