জিজ্ঞাসু রবীন্দ্রনাথ | Jignasu Rabindranath

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬ জিজ্ঞাস্থ রবীন্দ্রনাথ আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ স্কলার 1 বিদ্বৎংসমাজেই অধিবাস। আমার কথা অনেকেরই কানে গেল । ডাঃ অমিয় চক্রবর্তী ছিলেন । তিনি বললেন, নামে কি আসে যায়? শেলীর ৯&1+/&310.8-এর নাম Spirit of the Wilderness হলে কি হত? আমি ঠোেটকাটা। জবাব দিলাম, কি হত জানি না। তবে আলুকে পটল বললে লোকের একটু অসুবিধে হয় বই কি ? ক্ষীণ প্রতিবাদ জিয়িয়ে রেখে ডাঃ চক্রবর্তা বললেন, হয় তো তোমার অনুমানই ঠিক ।:আমি বিশ্বভারতীতে খোঁজ নিয়ে দেখি । অনিল a অন্য কেউ নামটা দিয়ে থাকবে । গুরুদেব সম্ভবতঃ নামের কথা তখন আর ভাবেননি | ইতিমধ্যে প্রবাসীতেও Ter নাম দিয়ে কবিতাটা বের হল। এক সভায় রামানন্দবাবুর সাক্ষাৎ পেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম এ কবিতাটার “মৃত্যু” নাম কোথেকে এল | তিনি একটু বিরক্ত হয়েই উত্তর দিলেন, আমি কি জানি ? বিশ্বভারতী নাম শুদ্ধ ই কবিতাটা আমাদের দিয়েছে। এততেও কিন্তু শাস্তি পেলাম a) একটা প্রবন্ধ লিখলাম, মৃত্যুর কবিতা কেউ মৃত্যুর সময়ে লেখে না। টেনিসন, ব্রাউনিং প্রভৃতির মৃত্যু কবিতাগুলি উদাহরণ স্বরূপ উদ্ধত করলাম। রবীন্দ্রনাথের “মৃত্যুঞ্জয়” থেকে এর “দুঃখঞ্জয়” নামকরণ সুপারিশ করে বা নাম ছাড়াই প্রথম লাইনটি নামস্বরূপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানালাম i বিশ্বভারতীর নিকট নামকরণ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করবারও অনুরোধ রইল-_বিশেষ করে অনিলবাবুর দায়িত্ব সম্বন্ধে । প্রবন্ধটি ছাপানো হল সচ্চিদানন্দ ভট্টাচার্যের বঙ্গলীতে। অনেকগুলি Reprint চেয়ে নিলাম ঝগড়া পাকাবার জন্যে । তারপর তারই একটা শান্তিনিকেতনে Aye aerate ঠাকুরকে একটা চিঠির সঙ্গে পাঠিয়ে দিলাম | বুঝেছিলাম পৈত্রিক সম্পত্তিতে পুত্রের যত্ন সবচেয়ে বেশি। যদি কেউ এ ব্যাপারে মাথা ঘামায় তো সে ব্যক্তিটি ইমিই হবেন । আমার অন্গমান নত্য হল । কয়েকদিন পরেই রখথীবাবুর ধন্তবাদ এল | আমার অঙ্গমান ঠিক। কবি ও-কবিতাটির কোন নাম করণ করেননি । তবে লামকরণের দায়িত্বটা তিনি সংবাদ পত্রের ওপরই চাপালেন। এর পর বিশ্বভারতী প্রথম ছত্রটিকেই নামরূপে ব্যবহার করে কবিতাটি ছাপান ।. পরবর্তীকালে অধ্যাপকরূপে বিশ্বভারতীতে যোগ দিতে গেলে অনিলবাবু



Leave a Comment