সুদূরের পিয়াসী | Sudurer Piyasi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ayers পিয়াসী পিছনে চলতে লাগলেন। মাসীমাও কুলীন ব্রাহ্মণের মেয়ে, সশ্ুদ্ধাচারিণী বিধবা ৷ কিন্তু তিনি তীর্থস্থান বলে সব দোষ তুলে গিয়ে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে চললেন। ভারী সংস্কারমুক্ত তার মন | কোথাও কোন আশ্রয় না পেয়ে শেষে একজন পাও ঠাকুরকে কিছু বেশী টাকা বকশিন্‌ দিতে রাজী হলুম। তিনি তখন নিজের শোবার তক্তপোষটা আমান্দর ছেড়ে দিয়ে স্ত্রী পুত্র নিয়ে সেই ঘরের মাটিতে আশ্রয় নিলেন। এই ভাবে আমাদের একটা আশ্রয় মিললো | চওড়া দেওয়াল দেওয়া মাটীর ঘর--বাইরে সরু একফালি ঘেরা-রক যেমন অন্ধকার, তেমনি ASH cS | কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে স্নান ও জলযোগ করবার পর মাসীমা রাাধবার জিনিষপত্র নিয়ে সেখানে গেলেন। আলো থেকে অন্ধকারের মধ্যে গিয়ে প্রথমটা কিছু চোখে দেখা যায় না, তাই একটু পরেই তিনি চমকে উঠলেন । ওরি মধ্যে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছেন একজোড়া সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী! আশ্চর্য, এত অল্প বয়সের সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী সচরাচর CHA যায় না! তাই আমর! সবাই কৌতুহল বশত উকিঝু'কি মেরে তাঁদের একবার দেখে নিলুম | সন্ন্যাসীর বয়েস একটু বেশী-_-ছিপছিপে, রোগা রোগা হাত পা, গালভর্তি দাড়ি, মাথায় মেয়েদের মত চুল fof করা, চোখে মুখে যৌবনের দীপ্তি । আর সন্ন্যাসিনী-সে যেন মেঘে ঢাকা মধ্যাহ্নের প্রথর স্থধ্য! তার আলোক নেই বটে কিন্তু উত্তাপ আছে। বয়েস ঠাওর করা শত্ত। পনেরেও হতে পারে আবার পঁচিশও হওয়া আশ্চর্য্য নয়। দুপুরের মধ্যেই মাসীমা তাদের সঙ্গে এমন আলাপ জ্গ্লিয়ে নিলেন সে তাদের জীবনের ইতিহাস আমাদের কারুর জানতে বাকী রইল ৮



Leave a Comment