For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)॥ পাঁচ ॥ ভলতেয়ার, বেকন, ডিমোক্রিটাস প্রমুখ ) নামোল্লেখ না করে কেউই
পারেন নি ( অর্থাৎ সমাজতত্ব বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করার পেছনে নিশ্চয়ই
এদের অবদান এবং ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ) তেমনি এই সত্য ভারতবর্ধের
সমাজতাত্তিক চিন্তাধারার উন্মেষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যে সমস্ত
সমাজচিস্তাবিদ্ (কৌটাল্য, মনু, দীপন্কর Beata, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,
রামমোহন রায়, বন্কিমচন্দ্র, কেশব সেন, বিবেকানন্দ, শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়, মহাত্মা গান্ধী প্রমুখ ) বিষয়টিকে পূর্ণতার পথে এগিয়ে
নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন এবং যাদের অবদান নিঃসন্দেহে
সমাজতত্তের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন তাঁদের কথাও অল্প
বিস্তর বর্তমান গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে। এ'রা কেউই সঠিক অর্থে
সমাজতাত্ত্িক নন (adie সমাজতন্ত্ব বিষয়ের লোক aq) তবুও
একথা নিঃসন্দেহে গ্রহণযোগ্য যে সমাজ সম্বন্ধীয় আলোচনার মাধ্যমে
এ'রা সমাজতত্ত্ব বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছিলেন। আশা কুঁরা যায় সমাজতত্ত্বের ইতিহাস জানা থাকলে সমাজতত্বের
বিভিন্ন গবেষণার ক্ষেত্র যেমন জানা সম্ভব হবে তেমনি চিন্তাধারার
বৈচিত্র্য এবং সমাজতন্ত্বের বিস্তৃত পরিধি সম্পর্কেও কিছু প্রাথমিক
ধারণা জন্মাবে। শুধু তাই নয় মাতৃভাষায় যে কোন বিষয়ের চর্চা
করলে ধারণা যেমন পরিস্কার হয় গবেষণার ক্ষেত্রও বিস্তৃত এবং
FAR হতে পারে। একথা মানতেই হবে যে প্রতোক দেশে
সমাজতত্ত্তের চর্চা, পঠন-পাঠন, গবেষণা এবং গ্রন্থ রচনা হয়েছে স্ব-স্ব
মাতৃভাষায় । আগেই বলেছি মাতৃভাষায় ভাবের আদান প্রদান
যতটা না সম্ভব বিদেশী ভাষায় জ্ঞানের পরিধি ততখানি বিস্তৃত
হওয়া সম্ভব নয়। উপরোক্ত ধারণাকে মনে রেখে গ্রাহ্থখানি
বাংলাভাষাতেই রচনা করতে ব্রতী হয়েছি। পরিশেষে বলি বিশাল এক সমাজতত্বের ইতিহাস এত ক্ষুদ্র
পরিসরে লেখা যেমন সম্ভব নম্ন তেমনি বিজ্ৃতভাবে ইতিহাস
পর্যালোচনা করাও কঠিন কারণ সমাজতত্বের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যাঙ্গই