For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)[ এগার J 'এশিয়া নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই জানা যায় না। এখনো অনেকটা
অজ্ঞাত রয়ে গেছে । এশিয়ার নামকরণ-_গ্রীক বা এশিয়া Serer cay জাতির
কাছ থেকে নেওয়া সঠিক বলা কঠিন। তবে আধুনিক ভাযাতাত্বিকদের মতে “এশিয়া
aq Sey (উষা) থেকে উদ্ভুত [ “Tay” (uskas )”উষা ৯ ahaa] । যেমন
ইউরোপ ভূখণ্ডের উৎপত্তি Taw “a “৪:০০ -_'ইরেব” (পশ্চিম) থেকে পরিগৃহীত। আড়াই হাজার বছর আগেকার গ্রীক কবি পীণ্ডার-এর রচনায় প্রথম এশিয়ার
উল্লেখ দেখা যায়। এঁতিহাসিক হেরোডোটাসও অবাক বনে গিয়েছিলেন 'ইউরোপ'
আর “এশিয় এ দুই পৌরাণিক নারী কি করে দুই মহাদেশে রূপাস্তরিত হতে পারে!
ofa নামের উৎপত্তি সম্পর্কে সন্তোষজনক তাই কোন ইতিবৃত্ত নেই।
পাশ্চাত্যের মানচিত্রে এখনকার “এশিয়া মাইনর”কেই এশিয়া নামে ইতিপূর্বে অভিহিত
করা হতো। চীনা ভাষায় 'আশিয় (জাপানী 'আজিয়া”) ae রূপান্তরিত হয়েছে ইটালীয়
জেহ্যইট যাজক রিকি ( Ricci) কর্তৃক Hal সাহিত্যে আ-চৌ বা আ-মহারেশ
আশিয়] নামেই প্রচলিত হয়ে এসেছে সপ্তদশ শতক ATS) ভারতীয় সাহিত্য আর
কিংবদস্তীতেও তুলনামূলক এমনি কোন নামের উল্লেখ দেখা যায় না। চীনবাসীর
নিকট ভারত আর দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়, ইউরোপ আর আফ্রিকাই হলো বসতিপূর্ণ
পৃথিবী । ভারতীয়দের নিকটেও ছিল oan চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ সভ্য BAT | ইউরোপের মানচিত্রকারেরাই আরব, পারস্ত, তুরস্ক, ভারত, চীন, দক্ষিণ-ভারত ও
দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার বিভিন্ন স্থ্সভ্য দেশপযুহকে একসঙ্গে ঢেলে জগাথিচুড়ি পাকিয়ে
তাকে afta নামে আখ্যা দেন। ইউরোপীয় শাসন ও শোষণের জাতাকলে
পিষ্ট এশিয়ার জনগণ ইউরোপীয়ানদের এ বিধান মেনে নিতে বাধ্য হয়। আজ যুগ
পালটিয়েছে। কালের চাকা গেছে ঘুরে। এশিয়া তার আপন সন্ত! পেয়েছে ফিরে।
নবজাগ্রত এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ইউরোপীয়ানদের রঙিন চশমায় আজ নিজেদের শিক্ষা
সংস্কৃতির ইতিহাসকে, এমন কি নিজেদের ভূগোলকে পর্যন্ত “ইগেলিটেরিয়ান
( Egalitarian ) দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করতে শুরু করেছে। তাই আজ ay
চীনের কর্ণধারদের নিকট “মাউন্ট এভারেস্টের নামকরণেও আপত্তি । বস্তুতঃ, পাশ্চাত্য সাম্রাঙ্্যবাদের নধরক্ষত এশিয়াবাসীদের মনে এখনও
জলজ্যাস্তভাবে বিদ্যমান। তাই বুঝি এশিয়ার জাতিসমূহের চিস্কা--এশিয়ার
সংহতির কথা তাদের মনে জাগরূক রয়েছে অংনিশ। এই নখক্ষতের যন্ত্রণা থেকে
নিষ্কৃতি পাবার আশায় ১৯৪৩ সালে যখন ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি জাপানের
নিকট পদদলিত, পযুদ্স্ত হয়ে পড়ে, জাপানী পরিকল্পিত বৃহত্তর পূর্ব এশীয় সপ্মেলনে
বর্মার জাতীয়তাবাদী নেতা বা ম উদ্বাত্ত কণ্ঠে তখন বলে উঠেছিলেন : “আমার এশীয় রক্ত অপর এশিয়াবাসীকে সদা-সর্বলা আহ্বান করে থাকে।
আমি আমার স্বপ্নে জাগরণে বা নিদ্রায় সকল সময় শুনতে পাই ef তার
সম্ভতিদের ডাকছে আকুল হয়ে । আজ আমি যেন শুনছি এশিয়ার সেই কদ্বর :