সমালোচনা-সাহিত্য [সংস্করণ-৫] | Samalochana-sahitya [Ed.5th]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গ্রন্থ-পরিচিতি Je ইহার সাহিত্য-সমালোচক-সংঘও দেশের সহিত বিদেশের, নৃতনের সহিত AMSA একটি সমম্বয়-গাধনের প্রয়াস পাইয়াছেন। অবশ্য সমালোচনা] মৌলিক সাহিত্য-হুষ্টির মত পরিণতির পথে এতটা অগ্রসর হয় নাই, কিন্ত উভয়ের অস্তঃপ্রেরণা অভিন্ন । বাঙ্গালার সমালোচনা-সাহিত্য যতটুকু উন্নতি লাভ করিয়াছে তাহার মূলে আছে এই বলিষ্ট, নিজ এঁতিহৃগৌরব সম্বন্ধে সচেতন মনোভাব । ইহা তাহির হইতে যাহা গ্রহণ করিয়াছে তাহাকে নিজ স্বাধীন রমবোধ ও বিচারবুদ্ধির দ্বার। যাচাই sian লইতে ছাড়ে নাই | (৩) এইবার সংগৃহীত প্রবন্ধগুলিকে বিভিন্ন Hace fave করিয়া তাহাদের মধ্যে আলোচনা-পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ও রসগ্রাহিতার উৎকর্ষের মান পরীক্ষা করিয়| দেখা যাইতে পারে। সর্বপ্রথম যে সমস্ত প্রবন্ধে সমালোচনার Far নিরীক্ষার বিষয় সেইগুলিরই আলোচনা করিব। এই প্রসঙ্গে শ্রীহ্বোধচন্দ্র সেনগুপ্ত প্রাচীন সংস্কৃত-অলঙ্কার-শাস্ত্রের রসবিচারের যে চমৎকার প্রাপ্তল ব্যাখ্যা ও বিবরণ দিয়াছেন তাহাই প্রথমে উল্লেখযোগ্য। সংস্কৃত সাহিত্যে কাব্য বিচারের মধ্যে যে aes anil ও সত্যান্সন্ধিৎসার পরিচয় পাওয়া যায়, তাহার সহিত তুলনায় গ্রীক্‌ সমালোচনাকে অনেকটা তথ্যপ্রধান ও বহিরঙ্গমূলক afaa মনে হয় aga কি আধুনিক সাহিত্য-বিচারের যে পরিণত qe fact তাহারও সহিত ইহা সমকক্ষতার স্পর্ধ। করিতে পারে। কাব্য-সৌন্দর্যের স্বকূপ-সন্ধানে ইহ] যেরূপ বিশ্লেষণের গভীর হইতে গভীরতর স্তরে অবতরণ করিয়াছে, অইভুতির আলোকবতিকা হস্তে স্ষ্টিরহত্যের মর্মমূল পর্যন্ত স্পর্শ করিতে চেষ্টা করিয়াছে, চরম সত্য আবিষ্কারের প্রেরণায় পূর্বতন সিদ্ধান্তকে এই বাহু বলিয়া অতিক্রম ofan দুর্গমতর পথে পদক্ষেপে সাহসী হইয়াছে, তাহার তুলনা পৃথিবীর অন্য কোন সাহিত্যে বিরল। অলঙ্কার, রীতি-গুণ, প্রকাশ-ভঙ্গীর অসাধারণত্ব ( বক্কোক্তি ), agra কাব্যামোদীর আনন্দ-বিধান প্রভৃতি স্তর-পরম্পরাকে একে একে mate] ও অতিক্রম করিয়া! ইহ] এই চরম সত্যে আসিয়া স্থির হইয়াছে যে, সার্থক রমস্থষ্টই কাব্য-সৌন্দযের মূলীভূত হেতু ও ধ্বনি বা ব্যঞ্জনাই কাব্যের আত্মা । লৌকিক বা বস্তুনিষ্ট ভাবনিচয়ের স্ব স্ব aafe অন্্যার়ী রসে রূপান্তরীকরণেই কাবা-সৌন্দর্ধের সার-নির্যাস



Leave a Comment