জরাসন্ধ রচনাবলী [খণ্ড-৩] | Jarasandha Rachanavali [Vol. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
হঠাৎ পাশ থেকে কলকণ্ঠে বলে উঠল একটি কিশোরী, তাতে আর কী হয়েছে! সেবার তো এর চেয়েও কষ্টে পড়েছিলেন বর্ধমানে। খবরটা জানা ছিল AT জানতে চাইলাম, কোন্‌ বার ? কেন, আপনার গল্পেই তো আছে ! পাঁচটায় সভা, গিয়ে দেখেন, কেউ নেই, সব লোক গেছে সার্কাস দেখতে | প্রথম শো ভাঙবার পর নটার সময় শুরু হল ফাংশান। তারপর- বেশ লিখেছেন কিনু-_'সারারাত আর কোন খাবার না জুটলেও একটা জিনিস প্রাণভরে খেয়েছিলাম। সেটা হচ্ছে মশার কামড় |’ চপল কের মিষ্টি হাসির রোল ভরে দিল অন্ধকার সভামণ্ট ৷ মনে পড়ল, উত্তর পুরুষের জবানিতে এইরকম একটা গল্প লিখেছিলাম বটে কোনো এক ছেলেদের মাসিক পত্রে | কিছু গল্প যে শুধু গল্প, সেটা আর যেখানেই হোক, এই বয়েসের ছেলেমেয়েদের বোঝাতে যাওয়া বিড়ম্বনা । এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে, কোথায় যেন পড়েছিলাম, একজন খ্যাতনামা আধুনিক সাহিত্যিকের কথা । বলছেন, নিজেকে নায়ক করে প্রেমের গল্প লেখার বিপদ অনেক । বন্ধুরা একবর্ণও বিশ্বাস করে না, কিন্তু গৃহিনী সবটাই বিশ্বাস করে বসেন। এ বিষয়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতাও কম করুণ নয়। সম্প্রতিক ঘটনা | প্রৌঢ় বয়সে যৌবনের স্মৃতি, ম€ন করতে গিয়ে একটি over পাহাড়ী কিশোরীকে আশ্রয় করে কিন্টিৎ রোমান্স সৃষ্টির চেষ্টা করেছি। বন্ধুরা অনেক অনেক সরস মস্তব্য করেছেন। সহাস্যে উপভোগ BAY | হঠাৎ একদিন আমার কলেজ-গামী পুত্রের জনৈক সহপাঠী এসে সাগ্রহ প্রশ্ন করল, 'আচ্ছা জ্যাঠামশাই, কার্শিয়াং স্টেশনে সেই যে চলে গেল, তারপর কাছ্ছির সঙ্গে আর আপনার দেখা হয় নি ?' তাই বলছিলাম, উত্তম পুরুষের বিপদ সর্বত্র। যাক সে কথা। যথাসময়ে অর্থাৎ বিজ্ঞাপিত সময়ের ঘণ্টা দুই পরে সভার কাজ শুরু হল। দেড়- হাত লম্বা ঠাসবুনানি canara) মাঝামাঝি পৌঁছবার আগেই চারদিক আঁধার করে এল UG | সঙ্গে সঙ্গে আর-এক দফা আলো নেবার পালা ৷ উঠব কি Goa না fea করবার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ল বৃষ্টি । আমার আসন ছিল একটা বারান্দায় । তার সামনে খোলা উঠোনে শামিয়ানা টাড়িয়ে শ্রোতাদের বসবার জায়গা | কড়কড় শব্দে কোথায় বাজ পড়ল | তার সঙ্গে সঙ্গে চোখ- ঝলসানো বিদ্যুৎকচমক। সেই আলোতে দেখলাম, সভার চিহ্নমাত্র নেই। কয়েকটি ছেলেমেয়ে, ওদের ভাষায় মণি-ভাইবোন শুধ্‌ বসে আছে আমার চারদিক ঘিরে | বাজ পড়ার শব্দে একেবারে গা ঘেঁষে এগিয়ে এল । এরাই বোধ হয় সভার উদ্যোস্তা। তাই সভাপতিকে ফেলে পালাতে পারে নি, কিংবা দূরের বাসিন্দা বলে পালানো AGS হয় নি। সেই ছেলেটিকে লক্ষ্য করলাম | তার ASS তো সবচেয়ে বেশী । কী একটা বলতে এসেছিল, এমন সময় শোনা গেল একটি কিশোরী কণ্ঠের আবদার--একটা গল্প বলুন না? চারদিক থেকে সমবেত সমর্থনে আমার ক্ষীণ আপত্তি তলিয়ে গেলে | শুধু সমর্থন নয়,. তার সঙ্গে সংশোধন-বেশ বড় গল্প কিন্তু, আর বেশ মজার | অতএব শুরু হল গল্প। অন্ধকারে শ্রোতৃবৃন্দের মুখ দেখা গেল না, কিন্তু আমার মুখের উপর অনুভব করলাম তাদের উজ্জ্বল চোখের নীরব স্পর্শ গল্প যখন শেষ হল, ঝড় পড়ে গেছে, কিন্তু বৃষ্টি বন্ধ হয় নি। আমার সঙ্গে একটা ট



Leave a Comment