ন্যায়দন্ড | Nyaydanda

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সত্যিই ছিল, কিন্তু,তার বিকাশ যে এই পথে দেখা দেবে, নিশ্চয়ই তিনি ভাবতে পারেননি | বিয়ের পরেই ছেলের নান৷ প্রয়োজন দেখা দিতে লাগল, যা গরিব বাপের সামান্য রোজগারে FAA Al | তবু যতটা পারে প্রাণপণে যুগিয়ে যায়। মনে মনে আপসোস করে, তার একুল ওকুল ছকুলই গেল | ছেলে না গেল চাকরির পথে, না নামল মাঠের ATA | বেশিদিন এ দায় তাকে ভুগতে হল all ভাগ্যক্রমে সামান্য একটু সর্দিভ্রর উপলক্ষ্য করে সব যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে গেল | ছেলে লেখাপড়া শিখে মানুষ হবে এই ছিল বাপের ইচ্ছা। তার অর্ধেকটা মোটামুটি পুরণ হয়েছিল ati চলে। অর্থাৎ লেখাপড়া কিঞ্চিৎ শিখেছিল শশাঙ্ক। তা নিয়ে রোজ দুপুর বেল| টেরি বাগিয়ে স্যাগাল পায়ে দিয়ে বাবুদের পাড়ায় গিয়ে তাসের আড্ডায় যোগ দেওয়া চলে, কিন্তু গরুর ল্যাজ ধরে লাঙ্গল কাধে মাঠে যাওয়া যায় না। এদিকে mata ঘাড়ে। cal একা নয়, তার কোলে একটি মেয়ে। শশাঙ্ক রীতিমত অসুবিধায় পড়ে গেল। শান্ত্রকারেরা বলেছেন, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। কথাটা একাধিক অর্থে AS! যাদের বিদ্যার অভাব, অন্যান্য অভাবকে তারা সয়ে মেয়, মেনে নেয়, মনে করে দারিদ্র্যটা তার অদৃষ্টের লিখন। বিদ্যা! নামক বস্তুটির অভাব যাদের নেই তারা তাদের অন্য সব অভাবকে পুরণ করবার ক্ষমতা রাখে, তারই wry বিদ্যাকে প্রয়োগ করে, চেষ্টা ও নিষ্ঠা দিয়ে বড় হতে চায়। মাঝখানে পড়ল এই অল্লবিদ্ধার দল। তার খোজে অল্লায়াসে বড় হবার পথ। সোজাপথে চলবার মত বিদ্যার জোর নেই বলে ঘুরপথ ধরে। অভাব আছে, তাকে দূর করবার - ক্ষমতা নেই, যোগ্যতা নেই। তখন নজর পড়ে সঙ্গতিপন্ন প্রতিবেশীর উপর। ওর আছে, আমার নেই কেন? এই ঈর্ষা থেকে দেখা দেয় ক্রোধ এবং ক্রোধ থেকে ক্রাইম। আমার যখন নেই, সৌোজাপথে ১৪



Leave a Comment