নন্দলাল | Nandalal

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সম্পর্কে বাধতে পারতেন না নিজেকে । ধীমান ব্যক্তি নিশ্চয়ই, কিন্তু বুদ্ধির মার প্যাচের মধ্যে থাকার মান্য নন। সৌজস্যময় মমত্ব ভার সামাজিক ব্যবহারে স্বতঃস্ফুর্ত- ভাবে প্রকাশ পেত। নিজে যেন একটু আদর-কাড়! স্বভাবের মানুষ ছিলেন | পরের ছোটো ভাই, বাবার আদরের 'র্যাট অকালে মারা যাওয়ায় তিনিই হলেন সংসারে স্বার ছোটো | পরিবারের সকলের আদরের ছেলে । মায়ের সর্বক্ষণের মনোযোগের el মায়ের কথায় অবনীন্দ্রনাথ কেমন উতলা হয়ে উঠতেন “জোড়াদাকোর ধারে বইয়ের পাঠক মনে করতে পারবেন | এই আদর যেমন মা-দাদাদের কাছে পেয়েছেন, তেমনি ও-বাঁড়ির জ্যাঠা-কাকাদের কাছেও পেয়েছেন সারাজীবন। আছুরে বুড়ো ভাইপোকে রবিকা৷ “পাগলা” বলে উল্লেখ করতেন। তাতে অবনীন্দ্রনাথের খুশির অন্ত ছিল «1 | এমনভাবে বড়ো হওয়া কোনো মানুষের ব্যক্তিত্বে খরতা আসে না কখনও | নরম স্বভাবের, কমনীয় ব্যক্তিত্বের মান্য অবনীন্দ্রনাথ কারও আদর পেলে, আর কাউকে আদর করতে পারলে তৃপ্তিতে ভরে উঠতেন। দেশগায়ে এক সময়ে যাদের বিষয়ীলোক বলা হত, নন্দলাল এই রকম পরিবারের ছেলে | মূলত জমির আয়, আর তার সঙ্গে স্থযোগ ACS ছোটোখাটো ব্যাবসার আয় মিলিয়ে সচ্ছলভাবে সাংসারিক জীবনযাপন-_ এতেই এ'রা তুষ্ট থাকতেন | নন্দলালের বাবা পুণ্ণচন্ত্র ওভারশিয়ারি পড়ে মুঙ্গের জেলার খড়গপুরে চাকরি নেন | পরে দ্বারভাঙা এস্টেটের ম্যানেজার হয়ে বেশ অবস্থাপন্ন হয়েছিলেন | ইংরেজ আমলের চাকুরে মধ্য- বিত্ত জীবনের ছকের মধ্যে এল এই পরিবারটি । প্রবাসী বাঙালির ছেলেদের লেখাপড়া শেখা একটা সমস্য ছিল তখন | নন্দলালেরও ভালো চাকরিতে যাবার মতো শিক্ষার বনেদ তেমন পাকা হতে পারে নি। ১৫ বছর বয়সে কলকাতায় এসে বছর পাঁচেক একটানা পড়ে ১৯০২ সালে এন্ট্রান্স পাস করলেও কলেজে গিয়ে আর স্মবিধে করতে পারলেন না। এন্ট্রান্স পাস করার পরেই তাঁর বিয়ে হয়। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার চাপ বাড়ে | কিন্তু অভিভাবকদের গরজ যত, ‘Sta নিজের তেমন গরজ ছিল না৷ ছোটো বয়স থেকে এটা ওটা আকা-গড়ার একটা অভ্যাস টাড়িয়ে গিয়েছিল | ঘরোয়] শিল্প- কাজে নিপুণ মা ক্ষেত্রমণির প্রভাব নন্দলালের স্বভাবে অর্সে ছিল | যেমন হওয়া স্বাভাবিক, পরিবারের কেউ ছেলেটির এই প্রবণতার কোনো তাৎপর্য আছে কিনা ভেবে দেখেন fat | মনের টান শিল্পের দিকে | কিন্তু জীবিকার দায় তাঁকে গতানুগতিক শিক্ষার পথে অনেক দিন ঘুরতে বাধ্য করেছে। MGT পেরিয়ে এলেও ফার্সট আর্টস্‌ আর পেরোনো হয় না। ছুটো কলেজ ঘুরে শেষটায় প্রেসিডেন্সি কলেজে বাণিজ্যবিদ্ত! পড়তে গেলেন। অস্ত দিকে আট স্কুলের ছাত্র, পিসতুতে৷ ভাই অতুল মিত্র কাছে নন্দলাল খানিকটা মডেল ড্রইং, Ber লাইফ স্টাডির তালিম নিচ্ছেন। সমুহ দোটান|। জীবনের এই সংকট পর্বের কথা তিনি নিজে নানা প্রসঙ্গে উল্লেখ ৪. GFR পাশে



Leave a Comment