শিব্রাম রচনাবলী [খণ্ড-১] | Sibram Rachanabali [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সেদিন থেকে ঘোড়াটার প্রতি আর পঞ্চাননের চিত্ত নেই। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছে ভাটপাড়া সে যাবেই। FARCE সে স্পষ্টই বলে দিয়েছে, ফের যদি তুমি ঘোড়াটাকে আশকারা দাও, তাহলে ওরই একদিন কি আমারই একদিন | সত্যি বলছি, একটা খুনোখুনি হয়ে যাবে। ঘোড়াটা কিন্তু গ্রাহাও করে না পঞ্চাননকে। তার পরের দিনই সে কলকাতা থেকে সদ্য আনানো পঞ্চাননের টর্চ লাইটটা মুখের মধ্যে পুরেছিল, কিন্তু ভালো করে চিবিয়ে যখন বুঝল যে ওটা ঠিক বেগুনি নয়, তখন বিরক্ত হয়ে ফেলে দিল। টর্চ লাইটার অবস্থা দেখে পঞ্চানন তো অগ্নিশর্মা। সে ছুটে গিয়ে ঘোড়াটার কান ধরে গালে এক চড় বসিয়ে দিল- হতভাগা, তোর কি একটুও আক্কেল বুদ্ধি নেই? তুই যে একটা গাধারও অধম হলি? ঘোড়া মুখ সরিয়ে নিয়ে জবাব দিয়েছে চিহিহি! অর্থাৎ-_যা বল তাই বল! পঞ্চানন যখন মাথা ঘামাচ্ছে, এই হঠকারিতার জন্য কি শাস্তি ওকে দেওয়া যায়, তখন ওর ছোটো ছেলে HFS এসে পরামর্শ দিল--বাবা, ওর লেজ কেটে দাও, তাহলে আর মশা তাড়াতে পারবে না। পঞ্চানন ভেবে দেখল, একথা বেশ। ওর শাস্তির ভারটা মশার উপরে ছেড়ে দেওয়াটা মন্দ না। কিন্তু Ais নিয়ে উদ্যোগ আয়োজনের মুখেই ন-মেয়ে রাধারানি বলল, বাবা করছ কি! মশার কামড়ে তাহলে ও আমাদের মশারির মধ্যে এসে ঢুকবে যে। বাধ্য হয়ে পঞ্চানন HPS থামিয়েছে, একটা ভাবনার কথা বইকি। ঘোড়াটার যে- রকম বুদ্ধি শুদ্ধির অভাব, তাতে সবই ওর পক্ষে সম্ভব। মশারির মধ্যে ঢোকা কিছু কঠিন না ওর পক্ষে এমনই সমস্যার মুহূর্তে জ্যোত্যি বোস এসে উপস্থিত। কিন্তু পঞ্চানন, কি হচ্ছে? — 68 ভাই, ট্রেন্‌ করছি ঘোড়াকে। — ofa হর্স Gata হলে আবার কবে থেকে। পঞ্চানন মাথা নেড়ে বলে, আর ভাই, শিক্ষা না দিলে নিজের ছেলেই গাধা হয়ে যায়, তা ঘোড়া তো পরের ছেলে। -_তা বেশ। কিন্তু তোমার দেনার কথাটা একেবারে ভুল গেছ! আমাদের পাড়াই MSS মা দু বছর থেকে ব্যাপার কি? পঞ্চানন আকাশ থেকে পড়ল, কীসের দেনা! --সেই যে একদিন বাজারে নিলে। বছর দুই আগে। — Sy, St, ACT পড়েছে, চার আনা পয়সা পদ্মার ইলিশ এসেছিল হাটে, পয়সা কম পড়ল, তোমার কাছে নিলাম বটে! মনে ছিল না ভাই। জ্যোতিষ বোস ছেলেবেলা থেকেই হিসেবি, একথা পঞ্চানন জানতো। কিন্তু বুড়োবয়সে সে যে এত বেশি হিসেবি হয়ে উঠবে যে, চার আনা পয়সার কথা দু বছর Sv”



Leave a Comment