ভারতের ধর্মঘটের ইতিহাস (১৮২৭-১৮৮৫) | Bharater Dharmaghater Itihas (1827-1885)

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
8 ভারতে ধর্মঘটের ইতিহাস বাণী উচ্চারণ করা হয়ে থাকে ঘটের সামনে, সেই ঘটকেই ধর্মঘট জ্ঞানে ও ধানে আজও পৃজা অর্চনা করে বলতে শোনা WA: “ও ঘট HW ধর্ম রূপোধাসি anc মিমিতঃ পুরা। ত্বয়ি লিপ্তে we লিপ্তাশ্চান্দনৈঃ সর্বদেবত! ।*১২ আমাদের দেশীয় পঞ্জিকা মতে এটি “ধর্মঘট ব্রত রূপে পরিচিত। বাঙালীর সামাজিক ইতিহাসে 'ধর্মঘট* mal বেশ তাৎপর্যবহ। ভারতীয় সমাজ গড়নের ইতিহাসে বর্ণ বিভাজন ব্যবস্থার জাতিগত এক্যের ক্ষেত্রে যেমন এক ধরণের সংহতি ATH পাওয়া যায়, তেমনি তার সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মের ভূমিকাও ছিল অপরিসীম। oT ae হোক, ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় বর্ণ বা জাতিগত ঞক্যের ক্ষেত্রে বংশ পরম্পরায় সকলে একই কাজ করতেন | স্বর্ণকারের পুত্র স্থত্রধব হতে পারতো না। চত্রকর কখনও SBA হতে পারতো TH এক্ষেত্রে বংশানুক্রমিক শিল্পকর্মের সঙ্গেই জাতিগত বর্ণবিভাগের প্রশ্নট ছিল জড়িত | স্বর্ণকার, কর্মকার, TENT, তন্তবায় প্রভৃতিরা কেবল বিশেষ এক এক ধরণেরই শিল্পীই ছিলেন না, তারা এক- একটি স্বতন্ত্র জাতি বা শ্রেণী হিসাবে মর্যাদা পেতেন। এবং সেই মধাদাবোধ ae রাখার ব্যবস্থা ছিল বর্ণব্যবস্থায় কঠোর-বাধা নিষেধ আরোপের মাধ্যমে । বৃত্তির পঙ্গে বর্ণের বা জাতির যোগ fee wal কথিত নিম্নজাতির লোকেদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত দৃঢ় ছিল। কতকগুলি জাতির নাম থেকেই তাদ্বের বৃত্তি বোঝা যেত, যেমন--কুম্তকার, কর্মকার weaty, তৈলিক ইত্যাদি। এই সব বৃত্তি -পরিচালিত জাতিগুলির [ trade castes ] সঙ্গে মধ্যযুগের ইউরোপের trade ৪118-গুলির কিছুটা Hips site! জাতিভেদ প্রথার সামাজিক বিধিনিষেধগুলিও এই সব জাতির মধ্যে কঠোরভাবে পালিত হত। বৃত্তির acy বংশানহুক্রমিক জাতিভেদ প্রথার এই .সংযোগ সমাজের পক্ষে যে সম্পূর্ণ ক্ষতিকর ছিল SG WH যায় না। এই ব্যবস্থার মধ্যে সামাজিক শোষণ, মনঈয্যত্বের অবমাননা ইত্যাদি সবই ছিল, কিন্তু সেই সঙ্গে সমাজের সঙ্গে ব্যক্তির একটি অঙ্গার্গী সম্পর্কও স্বীকৃত হয়েছিল। সমাজের প্রয়োজনে স্বীয় গুণ বা প্রতিভা অন্সারে যে ব্যক্তি যে কাজ করে, সে কাজেই সে বংশানুক্রমিক ভাবে নিযুক্ত থাকবে; এবং সমাজও সেই ব্যক্তিকে ও তার বংশধরদের জীবিকার অভাবে মরতে দেবে না, এই TFS’ ছিল জাতিভেদ প্রথার ভিত্তি । ভারতের কৃষিনির্ভর গ্রামীণ সমাজে এইভাবে



Leave a Comment