ও' হেনরী রচনাসমগ্র | O Henry Rachanasamagra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
এ ম্যাডিসন স্কোয়ার আ্যারাবিয়ান নাইট ১১ চারদিকে মানুষের ভিড় লেগেই থাকত। খবরের কাগজওয়ালারা পঞ্চমুখে আমার সুখ্যাতি করতে লাগল। একটা ছবি শেষ হলেও সেটার দিকে তাকিয়ে একজন অন্য একজনের সঙ্গে GHAI বলাবলি FAS | অল্পদিনের মধ্যেই আমি APS সমস্যাটা ধরে ফেলতে পারলাম। আমার ভেতরে এমন একটা অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল যার ফলে যার ছবি আঁকতাম তার চরিত্রেরে গোপন দিকটা আমার ছবিতে ফুটে উঠত। আমি তিলমাত্রও বুঝতে পারতাম না কেন এমন কাণ্ড হচ্ছে। সঙ্গে যারা ছবি আকতে বসত তারা তো রেগে একেবার অগ্নিশর্মা হয়ে উঠত। বেঁকে বসত। ছবিটা নিতে কিছুতেই রাজি হ'ত না। একবার এক পরমা সুন্দরী সর্বজনপ্রিয় মহিলার ছবি এঁকেছিলাম। আঁকার কাজ মিটে গেলে তার স্বামী ছবিটার দিকে মুহূর্তের জন্য তাকিয়েই চোখে-মুখে বিচিত্র একটা ভাব ফুটিয়ে তুললেন। ব্যস, পরের হগপ্তায়ই তিনি ডিভোর্সের মামলা রুজু করে দেন। এক প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্ক মালিক আমাকে দিয়ে নিজের ছবি আঁকান। আঁকার কাজ সেরে ছবিটা আমার স্টুডিওতে টাঙালাম। তার পরিচিত একজন সেখানে এসে ছবিটা দেখতে পেলেন। এক নজর দেখেই আঁৎকে উঠে বললেন-_ হায়! সত্যি সত্যিই কি তিনি এরকম দেখতে? আমি জবাব দিলাম--আমি অবিকল তার (চেহারার মতই ছবিটা এঁকেছি। আগস্তক বললে-_সেকী! এর আগে তার চোখে এরকম ভাবতো নজরে পড়েনি। এখন ভাবতেই হচ্ছে, আজই আমার ব্যাঙ্ক একাউন্ট তুলে নেব। মুহূর্তকাল নীরবে কাটিয়ে প্ল্সার আবার মুখ খুলল---'স্যা, ব্যাঙ্কে তিনি গিয়েও ছিলেন। ব্যাঙ্ক একাউন্ট ইতিমধ্যেই গভীর জলে তলিয়ে গেছে, ব্যাঙ্ক মালিক বে-পান্তা। ব্যস, অল্পদিনের মধ্যেই আমার কারবার শিকেয় উঠে গেল। নিজের গোপন GAT প্রবৃত্তি ফাস হয়ে AGH A কারোই অভিপ্রায় নয়। তারা আপনার সঙ্গে হীন আচরণ করতে পারে বটে, কিন্তু ছবির মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে রাজী নয়। তারপর থেকে ছবি আঁকার একটাও অর্ডার না পাওয়ায়, অনন্যোপায় হয়ে সে কাজ থেকে সরে দাঁড়াতেই হল। একটা খবরের কাগজে কিছুদিন শিল্পীর চাকরি করলাম। তারপর লিথোগ্রাফীর কাজ ও করলাম। কিন্তু সেখানেও একই চক্করে পড়ে গেলাম। কোন ফটো দেখে ছবিটা আকলে তার মধ্যে এমন ভাব ফুটে উঠত যা আসল ছবিতে একেবারেই অনুপস্থিত। আমার চোখে কিন্তু সে সব ভাব স্পষ্ট ধরা HSE | আমার আঁকা ছবি নিয়ে হৈহৈ-রৈেরে পড়ে গেল। বিশেষ করে মেয়েরা ত রীতিমত ডঠে পড়ে লাগল। ফলে চাকরিটা খোয়াতেই হল। উপায়াস্তর না দেখে মদের বোতলকেই একমাত্র অবলম্বন জ্ঞানে আকড়ে ধরলাম। ক'দিন যেতে না যেতেই বিনা পয়সায় বিছানা সন্ধানকারীদের খাতায় নাম লেখালাম আর মুখে অদ্ভুত অদ্ভুত কাহিনীর অবতারণায় মেতে গেলাম। eyo খলিফা, আপনি এসব কথা শুনতে অস্বস্তি ও অবসাদ বোধ করছেন? যদি TET করেন তরে ওয়ালস্ট্রাটের দুর্ঘটনার কাহিনীটা ব্যক্ত করতে পারি। তবে সে কাহিনী শুনতে হলে কিন্তু চোখ দিয়ে দু'ফোটা জল ঝরাতে হবে। কিন্তু আশঙ্কা হচ্ছে, আপনার দেওয়া এত ভাল ভাল খাদ্যবস্তু উদরস্থ করার পর আপনার চোখ দিয়ে জল ঝরানো খুব সমস্যার ব্যাপারই হবে। অবশ্য এসব শোনার পরও যদি-- - তাকে থামিয়ে দিয়ে চামার্স বলে উঠল,-_আরে না, তোমার কথাগুলি খুবই ভাল লাগছে। একটা কথা, তোমার সব ছবিতেই কি অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়ে ধরা দিত, নাকি কিছু ছবি তোমার তুলির নিষ্ঠুরতার কবল থেকে অব্যাহতি পেতে পারত, বল ত? Sd BM হেসে বলল, কোন কোন ছবি তো অব্যাহতি পেতই। তবে সেগুলির অধিকাংশ শিশু, গুটি কয়েক নারী আর পুরুষ। সবাই যে খারাপ নয় এ-তো আপনিও মানেন। ভাল মানুষের ছবি ভাল হওয়াই স্বাভাবিক, তাই না? আমি তো আগেই বলে রেখেছি, সব কথা যথাযথভাবে বোঝাতে পারি না। তবে আমি সব সত্যি কথাই বলছি-_হুবহু সত্যি কথা। . সেদিনেরই ডাকে আসা ফটোটা চামার্স-এর টেবিলে পড়ে রয়েছে। তিনি ছবিটা প্লুসার-এর হাতে তুলে দিয়ে ফটোটার একটা স্কেচ এঁকে দিতে বললেন।



Leave a Comment