সমুদ্র | Samudrajatra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সম্পর্কে সামাদ কিছুটা খবর রাখে, কারণ সামাদ এবং ASIF অন্য এক সফরে ব্যাঙ্ক লাইনের একই জাহাজে ছিল। সুচারু নিশ্চয়ই এখন পুরোনো সব ছবি টেনে বের করবে। এবং দরজা বন্ধ করে সেই সব ছবির উপর নুয়ে থাকবে। সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছিল মাঠে । তিনজন নাবিকের মুখেই সূর্যাস্তের শেষে আলো। তখন নদীর জলে কিছু স্কীপ ভাসছিল। শীত শেষ হয়ে গেছে বলে কিছু পাখি ফের রকী অঞ্চলে বোধহয় ফিরে যাচ্ছে। সূর্যাস্তের লাল রঙ উইপিং উইলোর ANCA পড়ছে, সেখানে ছোট বড় পাখি Fa ফুর করে উড়ছিল। জাহাজীরা সব ডেকে বসে কোনও পুরোনো স্মৃতির ভিতর ডুবে ছিল। কেউ সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হিসাব করে দেশের মাতব্বরদের কথা ভাবছিল, ব্যবসার কথা ভাবছিল এবং ঘর-দোর ঠিক করার কথা ভাবছিল। কেউ হয়তো তীর দেখার সময় ছোট ছোট শিশুদের দেখছিল এবং সম্ভানের কথা মনে করে, প্রিয়জনের কথা মনে করে বিষগ্ন হচ্ছিল। আর কিছু জাহাজ্জী, এখন ডেকে তাস খেলছে বসে বসে, ওরা তীরে না নেমেও মেয়েদ্বের সম্পর্কে কটুক্তি করে আনন্দ পাচ্ছিল। সূমন দেখল এক সময়, HO, সামাদ কেউ নেই। সে একা। এখন যেন কিছু করণীয় নেই-_ শুধু বসে বসে তীর দেখা অথবা যারা দূরবর্তী গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল-_যারা শেষ পর্যস্ত রাত হয়ে যাবে ভেবে আর এগুতে সাহস পাচ্ছে না, তাদের কিছু ক্লান্ত অবয়ব সরাইখানার ভিতর এখনও দৃশ্যমান এবং সহসা মনে হল সর্বত্র আলো, ডেকে আলো, মাস্তুলে আলো, উইংসে আলো এবং বন্দরের বিচিত্র সব বিজ্ঞাপনে আলোর বন্যা। সুতরাং সুমন বসস্তের আকাশ দেখল একবার-_- এই আকাশ মানুষের জন্য, মাঠ মানুষের জন্য আর ভালবাসা মানুষের জন্য আর নদীর জলে যেন মায়ের মুখ প্রতিবিশ্বের মতো ভাসছে। সুমন Ae সময় আবিষ্ট হয়ে বসে থাকল। কোন কোলাহল ভাল লাগছিল না। শুধু মায়ের স্মৃতি শরৎকালীন মেঘের মতো কোন শীতের নক্ষত্রকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। কতক্ষণ সুমন এভাবে বসেছিল খেয়াল নেই। সহসা খেয়াল হল ভাগ্ডারী গ্যালীতে মশলা দিয়ে মাংস ভাজছে। কিছু জাহাজী মেসরুমে নামাজ পড়ছিল। নিচে এখনও যেন কে রঙের Babi এক নাগাড়ে বাজিয়ে চলেছে। সুমনের এ সব কিছুই ভাল লাগছিল না। আর সিঁড়ি ধরে নামবার সময় দেখল বড় or তামাক কাটছে। প্রাচীন নাবিকের মতো মুখ। ফোকসালে অম্বরী তামাকের গন্ধ। উপরের বাংকে ডংকিম্যান বসির জাল বুনছে। বড় টিন্ডালের মুখ ভয়ানক উদাস। সুমনকে নেমে যেতে দেখে বললেন, এত জলদি নিচে নাইমা আইলা জ্যাঠা? সুমন বলল, ভাল লাগছে না জ্যাঠা। বড় Pore বলল, যাও ঘুমাও গা। রাইতের পরীর পরে তো ঘুমাও নাই? অথবা বড় Pore যেন সব ধরতে পারছে। এই যে এতদিন সমুদ্রে জাহাজ বেয়ে আসা শুধু যেন তীরের জন্য, ঘাস, মাটির জন্য আর সেই তীর এত কাছে, এত নিকটবর্তী শহর, পাব, রেস্তোরা এবং ভাসমান আকাশের মতো আনস্তাবলের মাঠ, যেন সবই দৃশ্যবছল ছবি VAS সুমন নিচে নেমে অবাক হয়ে গেল, সুচারু সামাদ রঙের টব বাজাচ্ছে এবং নেচে নেচে গাইছিল, Siew পড়িয়া বগায় ICM | কোনও করুণ দৃশ্য এখন আর সুচারু সামাদ বহন করছে না। ফোকসালে ঢুকলে সামাদ আর সুচারু চুপ হয়ে গেল। AIF বলল, যুবতীর দুঃখ ভুলে থাকছি। সামাদ বলল, চমৎকার গান। অন্যান্য নাবিকরা বলল, শালা জাহাজে আগুন Aes সুমন শুনল সব। এই বিপরীত-ধর্মী জীবন এখানে সব সময় সুমনকে আঘাত করছে। সে নিচে এসেও কোন শাস্তি পেল না। বরং হেনরী তীর থেকে ফিরলে ওর জন্য কিছু নিয়ে আসতে পারে। ঘড়ি, দেখে বুঝল, রাত গভীর হতে দেরি নেই। নাবিকেরা এখন যে যার ফোকসালে শুয়ে পড়বে। এবং বড় মালোম হয়ত এখনই কোন বেশ্যা রমণীকে টানতে টানতে কেবিনে তুলে আনবেন; dR



Leave a Comment