তিন ভুবনের কাহিনী | Tin Bhubaner Kahinee

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
নেহাত দেরী হয়ে গেছে, তাই। নচেৎ আরো ছ'চারটে কথা শুনিয়ে যেতেন। চারুপ্রভা বেরিয়ে যাবার পরও ঘরে সেন্টের গন্ধট! ছড়িয়ে রইল | হঠাৎ বিজনবিহারীর চোখের সামনে একটা মুন্দর কাট্গ্রাসের ছোট খালি শিশির চেহারা ভেসে উঠল। অথচ সেটা আজকের দেখা নয়, বহু বহুদিন আগের কথা | বিয়ের সময় গায়ে-হলুদের SCE যথারীতি সাবান পাউডার আলতা সি দুর তেল চিরুনী ইত্যাদির সঙ্গে একটা সেণ্টও পেয়েছিল চারুপ্রভা | বিজনবিহারীদের বাড়ি থেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন বিজন- বিহারীর বাবা-কাকা সবাই বেঁচে, অতএব বৌ-তত্ত্বর মাল-মশলা কেনায় বিজনবিহারীর কোন হাত ছিল না। বোধকরি কাকাই কিনে এনেছিলেন । এবং কাকার জ্ঞান-বুদ্ধি অনুযায়ীই এনেছিলেন, তবু চারুপ্রভার কাছে খুব আদরণীয় হয়েছিল জিনিসটা ৷ কোথাও যাবার সময় LEG! করে AAS, বেশী খরচ করত A তবু এক সময় তো খরচ হবেই ৷ হল! কিন্তু চারুপ্রভা খালি শিশিট] ফেলে দিতে পারেনি প্রাণ ধরে। কত কত দিন যাবৎ বাক্সের মধ্যে রেখে দিয়েছিল । বাক্স খুললেই বলত, 'ফাঁকা শিশি তবু গন্ধ দেখ । বাক্স, খুললেই পাই ৷” হ্যা, তখন তো চারুপ্রতার ওই বাক্সই সার, আলমারীর স্বপ্ন মেহাতই স্বপলোকে | ঠাকুর্দার আমলের সামান্য একটা! লোহা-লক্কড়ের দোকান ছিল, বাপ-কাকার সঙ্গে সেটাতেই খাটছিলেন তখন বিজনবিহারী। কিন্তু মাথার মধ্য অনেক প্ল্যান ছিল তার, সেও এক প্রকার দুর্লভ স্বপ্ন চারুপ্রভার বাবা পান্নালাল দাসের ছিল বড়বাজারে রঙের দোকান | অবস্থা! খারাপ ছিল না,কিনস্তু হাড়কিস্পন ছিল। মেয়েদের মানুষ করেছিল হাড়ির হালে, আর বিয়ে দিয়েছিল স্রেফ শীখা-শাড়ি দিয়ে! কাজেই চারুপ্রভার জীবনে সেই বিয়েয় পাওয়া carbs শিশিটাই হয়েছিল প্রথম বিলাসিতার সৌরভবাহী | ১২



Leave a Comment