বৃহত্তর ময়মনসিংহের লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতি | Brihattara Moymonsingher Loka Sahitya O Sanskriti

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
“বিবিকে লইয়া কোলে, দুই হাতে কুচ মলে, মুখে বোছা দেয় বারবার অবলা সরলা বালা, না জানে প্রেমের খেলা, লাজে আঁখি মুছে আপনার 1” অন্যত্র :-- “সারা নিশি এই মতে, দেল খুশী খোশালিতে, দুইজনে করে রতি খেলা। যার যত আশা ছিল, দুইজনা পুরাইল নিভাইল মদনের জ্বালা 1” এই ধরনের সহজ সরল অবলীলা প্রকাশ অতি সহজ নয়। এমন বর্ণনা খুব সহজে মেলে না কিন্তু তাই বলে অশ্লীল নয় তা, কারণ সাহিত্যে সব ধরনের অশ্লীলতা বর্জনীয় | কোথাও পুথিকার sag শক্তিতে ways একজন স্বভাব কবির মতোই প্রকৃতির বর্ণনায় তিনি উদার হস্ত । কবিত্ব শক্তির কী সুন্দর প্রকাশ-_ “সূর্যমুখী কৃষ্ণচূড়া আর টগর ফুল | চেয়ে চেয়ে রব করি ডাকিছে বুলবুল ॥ ভ্রমর ভ্রমরী কত আমোদে মাতিয়া | উড়ে আর পড়ে তারা seta মারিয়া ॥” ইত্যাদি ইত্যাদি । পয়ার, fan, লঘু ত্রিপদী ও ধুয়া প্রভৃতি পুঁথির ছন্দে এই Aas রচিত। বর্ণনায় ধারাবাহিকতা মনে রাখার মতো । উপমা চয়ন আনন্দদায়ক | মাঝে মাঝে বিভিন্ন রাগিনীর গান পুঁথিটিকে রসঘন করেছে। আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ লক্ষ্য করার মতো, ভালা, বুরা, কৈয়া, কয়, পিন্দায়, মৈল, প্রভৃতি ময়মনসিংহ সদরের নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা প্রয়োগ দৃষ্টিকটু হয়নি, মোটামুটিভাবে শক্তিশালী, প্রশংসনীয় ভাষায় এই পুঁথিটি রচিত হয়েছে। সর্বত্রই রয়েছে পুঁথিকারের অপরূপ ছান্দসিকতার কারসাজি যা পুঁথিটিকে সুখপাঠ্য করেছে। তবে ইতিপূর্বে উল্লেখিত 'শায়েরের পরিচয়' শীর্ষক বর্ণনায় কেন 'মোমিন সবারপায়, অধম কোরবান গায়, সালাম আলেক মনে জনে' পদটিতে 'কোরবান' নামটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বোধগম্য হলো না। সম্ভবত পুঁথিকারের ডাকনাম 'কোরবান' হয়ে থাকবে। অথবা 'কোরবান' শব্দটি [া7০01০8060-এর প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। নেত্রকোনা বৃহত্তর ময়মনসিংহ জিলার নেত্রকোনাও পুঁথি সাহিত্যে তেমন উন্নত নয়। সেখানে এ পর্যন্ত মাত্র চার/পাচজন পুঁথিকারের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। এরা হচ্ছেন পূর্বধলার আমির উদ্দিন মুন্সী (১৮৯০-১৯৪৫), নেত্রকোনার শাহ জহিরউদ্দিন মুন্সী (১৮৫০-১৯১৯), কেন্দুয়ার আবদুল আলী WTS (১৮৬৫-১৯৪৭) এবং নেত্রকোনা সদরের শাহ ফকির উদ্দিন (১৭৬০-১৮৩০)। এদের মধ্যে নেত্রকোনা সদরের শাহ ফকির উদ্দিন অষ্টাদশ শতকের পুঁথিকার ৷ নেত্রকোনার পুঁথিকারদের মধ্যে হাজী মহাম্মদ মুজাফর হোসেন সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। তার রচিত পুঁথির নাম 'ছহি ছফরে মক্কা ও মদীনা” | তিনি ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে ১৩০০ বঙ্গাব্দে কেন্দুয়ার কান্দিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫৪ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ ১৩৬০ TACH মৃত্যুবরণ BAA | হাসান কুলি খা : 'হাসান কুলি খা' পুঁথিটির রচয়িতা হচ্ছেন শাহ্‌ ফকির উদ্দিন | তিনি নেত্রকোনা সদরে ১৭৬০ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে সেখানেই মৃত্যুবরন করেন। “হাসান কুলি খা' তার একমাত্র পুঁথি । এটি একটি জঙ্গনামা শ্রেণীর Bears | অন্যান্য পুঁথির মতোই এটি vara ব্রিপদী, চৌপদী ছন্দে লেখা | পুঁথিটির রচনাকাল ১৮১০ ১৮



Leave a Comment