সাদা আমি কালো আমি [খণ্ড-১] | Sada Ami Kalo Ami [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
করবে না। প্রথম প্রথম আমারও কিছু ভাল লাগে না, ভাঙ্গ লাগে না এমন একটা মন খারাপ থাকত। আরে তুই তো ফুটবল প্লেয়ার, ফুটবল নিয়েই ভাববি, ফুটবল নিয়েই ঘুমবি, ফুটবল নিয়েই ভাত খাবি, ফুটবলকে পুজো করবি, আর সব বাদ দিয়ে দে। এখন থেকে তোর কাছে মা, বাবা, ভাই, বোন, বসঙ্ধুবান্ধব সব ওই PA এরকম ভাবতে পারলে তখনই দেখবি তোর স্বপ্ন সফল হচ্ছে, দেখবি তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিস” ছেলেটা বেনুর কথাটা মন দিয়ে শুনল। তারপর বেনু বলল, “চল, আজ বিকেলে ফোর্ট উইলিয়মে আমাদের টিমের সাথে ফৌজি টিমের একটা প্রদর্শনী ম্যাচ আছে। আমাদের টিমে প্লেয়ার কম আছে, তুই আমাদের হয়ে খেলবি।” সেদিন বিকেলে উয়াড়ি টিমের হয়ে ফোর্ট উইলিয়মে ফৌজি দলের বিরুদ্ধে সে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলল। ওখানে ছিলেন কলকাতা পুলিশ টিমের নিয়মিত খেলোয়াড় সার্জেন্ট সুদেব Wa তিনি ছেলেটাকে মাঠ থেকেই নিয়ে যান মিঃ রঞ্জিত গুপ্তের কাছে। সুদেব দত্ত ছেলেটাকে দেখিয়ে বললেন, “স্যার, এই ছেলেটা খুব ভাল খেলে।” মিঃ গুপ্ত একপলক তাকিয়ে হেসে বললেন, “or, হ্যা, ওকে আমি আগেই সিলেক্ট করেছি।” তারপর ছেলেটার দিকে ফিরে বললেন, “আগামীকাল সকালে এস, তোমার ইন্টারভিউ হবে।” পরদিন ছেলেটা তার ও তার জেলার সমস্ত মানুষেরই আরাধ্য দেবতা মদনমোহনের নাম করতে করতে ইন্টারভিউয়ের জন্য হাজির হল। মিঃ রঞ্জিত গুপ্ত ছাড়াও ইন্টারভিউ বোর্ডে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মিঃ BUS ছেলেটাকে প্রথম প্রশ্নটা করলেন। উত্তরবঙ্গ বনাম মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের খেলায় ছেলেটা যে গোলটা মহামেডানের বিরুদ্ধে দিয়েছিল, তার বিবরণ দিতে বললেন। ছেলেটা যথাসাধ্য গুছিয়ে বলল। মিঃ গুপ্ত বললেন, “তুমি আগামীকালই আমাদের টিমে যোগ দাও।” তারপর থেকে শুরু হল তার কলকাতা পুলিশ টিমের হয়ে খেলা আর ব্যারাকপুরে feos ট্রেনিং। এক বছর বিস্তর পরিশ্রম করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছেলেটা সরাসরি অফিসার হিসেবে যোগ দিল। তার থাকার ব্যবস্থা হল আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোডের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। খেলায় ময়দানে অল্প অল্প নাম হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কলকাতার হালচাল, কলকাতার ভিড় সে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছে না। রাতে বিছানায় শুয়ে সে কোচবিহারে চলে যায়। সেখানকার মন্দির, নহবতখানা, রাজবাড়ি, সবুজে ঘেরা ছোট্ট শহরের আনাচে কানাচে সে মনে মনে ঘুরে বেডায়। তার মনে হয়, কলকাতাটা নিঃসঙ্গ মানুষের ভিড়ে ভরা। যে যার ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত, অন্যের দিকে ফিরে তাকাবার সময় কোথায় ? BRS বড় নিক্তি মাপা। তাদের কথাবার্তার ৭



Leave a Comment