অপরাধ -জগতের ভাষা [সংস্করণ-১] | Aparadh-jagater Bhasha [Ed. 1st]

অর্ধশিক্ষিত ও মিরক্ষষ সকল রকমের যুবকেরই সন্ধান মেলে । পেশাদার অপরাধীরা তাদের ব্যবহারের ভাষাকে ( Cals বাতোলা) পুলিশ ও জনসাধারণের কাছে গোপন করে রাখে । ছুটি ভিন্ন ধরনের অপরাধী গোষ্ঠীর অপরাধের পদ্ধতি যেমন এক ধরনের নয় তেমনি তাদের we ও ব্যবহৃত শব্দাবলীর মধ্যেও Yet প্রভেদ রয়েছে। পকেটমারের ভাষা জুয়াচোর বা প্রতারকের ভাষা থেকে হবে ভিন্ন ধাচের। ভিন্ন ভিন্ন দল বা গোষ্ঠীর শব্দ সন্কলন নিয়ে আলোচনা করলে বিভিন্ন দলের কর্মপদ্ধতি এমন কি অপরাধপ্রবণ মনের বিশ্লেষণ করা যেতে পারে | অপরাধ-জগতের ভাষা জানতে অপরাধ পদ্ধতিও জানা চাই | পশ্চিম বাঙলার বিভিন্ন অঞ্চলে অপরাধীদের সঙ্গে আলাপ করে তাদের ভাষা বোঝবার চেষ্টা করেছি। কেতাবী বিদ্যা আশ্রয় করে সর্বত্র কাজ করা সম্ভব হয়নি । নিত্য নোতুন উপায় উদ্ভাবন করতে হয়েছে ওদের মনে বিশ্বাস আনতে ৷ ভারতবর্ষে ইতিপূর্বে এ ধরনের গবেষণা না হওয়ায় তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন করতে অপরাধী এবং সমাজবিরোধীদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। Linguistic fleld method এর জ্ঞানকে তথ্য সংগ্রহের সুবিধার্থে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রয়োগ করতে না পারলে প্রতিপদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সাধারণ ভাষার তথ্য নংগ্রহে জন কয়েক নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহকারী (informant ) পেলে ভাষাতাত্তিক কাজ সুরু করে দেওয়া যায়। ভাষা বা উপভাষা গবেষণার ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো টেপরেকর্ডার ব্যবহার করা যায়। জেল বা থানায় টেপরেকর্ডার ব্যবহারের BCAA পাওয়া যায় না। তাছাড়া অপরাধীর] গবেষককে অতি মাত্রায় সন্দেহের চোখে দেখে । তাদের ধারণা গবেষক এক জন ছদ্মবেশী পুলিশ কর্মচারী | অতএব গোপন শব্দভাঙার প্রকাশ করার অর্থ নিজেকে ধরা দেওয়া,যার ফলে শান্তির মাত্রাও হয়তো বেড়ে যেতে পারে। অপরাধীর কাল্পনিক ভাঁতি ও সন্দেহ তথ্য সংগ্রহের পথে বড়ো বাধা। BOTA জন যখন সহযোগিতা করেছে, বেশ কিছু শব্দ ৮