অরিগনের যাত্রাপথে | Ariganer Jatrapathe

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দ্বিতীয় অধ্যায় যাত্রা গুরু ওয়েস্টপোর্টের কাদার Ate ছাড়িয়ে উঠে আমরা কিছুক্ষণ ধরে এগিয়ে চললাম সরু বনপথ দিয়ে, যার ওপর এলোমেলো ভাবে রোদ নেমে আসছিল ডালপালার ফাকে ফাকে । অবশেষে আমরা এসে পড়লাম পূর্ণ আলোয়; পিছনে পড়ে রইল সেই বিরাট অরণ্যের শেষ প্রান্ত, যে অরণ্য একদা পশ্চিমের সমতল অঞ্চল থেকে অতলাপ্তিকের বেলাভূমি পর্যন্ত foes fey) তারপর একটি ঝোপের সারি অতিক্রম করবার সময়ে আমরা দেখতে পেলাম আমাদের সামনে বিরাট বিস্তীর্ণ প্রেয়ারিভূমি যেন সবুজ মহাসমুদ্তের মতো ঢেউয়ের পর ঢেউয়ে এগিয়ে গিয়ে wear দিগম্ভরেখায় মিশেছে | সেদিনটা ছিল বসস্তের একটি ste দিন, অমন দিনে মানুষের স্বভাবের সবচেয়ে কোমল দিকটাই প্রবল হয়ে ওঠে, কাজ করার চাইতে বরং বেশী ইচ্ছে করে জেগে- জেগে স্বপ্ন দেখতে । ঝোপের সারির ভেতর দিয়ে যাবার সময়ে আমি ঘোড়ার পিঠে চড়ে দল ছেড়ে এগিয়ে গেলাম, তারপর সবুজ ঘাসে ঢাকা একটি fate জায়গা দেখে আমার এমন লোভ হলো যে আমি ঘোড়া থেকে নেমে সবুজ ঘাসের ওপর স্তুয়ে পডলাম। সবগুলো গাছে আর ছোট ছোট চারাগাছগুলোতে তখন ফুটে রয়েছে ফুল অথবা কচি নতুন পাতা, এখানে ওখানে গোছায় গোছায় প্রচুর লাল ম্যাপ ল্‌ ফুল আর ইণ্ডিয়ান আপেলের চমৎকার কুঁড়ি । এমন চমৎকার বাগামের দেশ পিছনে ফেলে প্রেয়ারিভূমি আর পাহাড়ের রূঢ় এবং কঠোর এলাকায় যাবার কথা ভেবে মনটা একটু যেন খারাপই হয়ে উঠল। এরই মধ্যে দেখলাম আমাদের দলের লোকের] ঝোপের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছেন; সবার আগে আসছেন আমাদের গাইড ও শিকারী হেনরি শ্যাটিলন, একট] বেশ শত্তসমর্থ ered টাট্ট, ঘোড়ার পিঠে চড়ে। চমৎকার ব্যায়ামবীরের মতো দেহ্‌সৌষ্টৰ ভন্রলোকের । তার পরনে ছিল একটি সাদা কাপড়ের কোট, একটি চওড়া পশমী কাপড়ের টুপি, হরিণের চামড়ার জুতো (মোকাসিন ), আর জোড়ের ওপর সারি সারি ঝালর দিয়ে কারুকার্য-করা হরিণের চামড়ার তৈরী পাতলুন। তাঁর ছুরিটি আট্‌কানো ছিল তাঁর কোমরবদ্ধে ; পাশে ঝুলছিল গুলী আর বারুদের থলে, য়



Leave a Comment