মানিক্য শাসনাধীন ত্রিপুরার ইতিহাস [সংস্করণ-২] | Manikya Shasanadhin Tripurar Itihas [Ed. 2nd]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মাণিক্য শাসনাধীন ব্রিপুরার ইতিহাস কিনা জানা যায় না। প্রত্নতাত্ত্িক নিদর্শন থেকে জানা যায় যেব্রিপুরার বেশ কিছুটা অংশ প্রাচীনকালে বিভিন্ন সময়ে পূর্ববাংলা ও সমতটের বিভিন্ন রাজবংশের রাজ্যের TGS ছিল। ত্রিপুরা জেলার গুনাইঘর গ্রামে সমতটের গুপ্তবংশীয় রাজা বৈন্যগুপ্তের (৫০৭/৮ খ্রিস্টাব্দ) ভূমিদান বিষয়ক যে তাম্রশাসন পাওয়া গেছে তা থেকে প্রমাণিত হয় এ অঞ্চল সে সময় সমতটের অধীনে ছিল। বৈন্যগুপ্তের পরবর্তী যে সমস্ত সমতটের রাজার নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব। এঁদের রাজত্বকাল মোটামুটিভাবে ৫২৫ থ্রিস্টাব্দ থেকে ৫৭৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ধরা হয়। এঁদের প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন পূর্ববাংলার রাজ্য চালুক্যরাজ কীর্তিবর্মনের আক্রমণে দুর্বল হয়ে যায়। হিউয়েন চুয়াঙ্গের বিবরণ থেকে জানা যায় যে সমতটে সপ্তম শতাব্দীর প্রথমার্ধে ব্রাহ্মণ বংশীয় রাজারা রাজত্ব করতেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শীলভতত্র এই বংশের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সপ্তম শতাব্দীর ত্রিপুরা তাম্রশাসন থেকে জানা যায় যে সে সময় সুবঙ্গ বা ত্রিপুরা অঞ্চলে নাথ বংশীয় সামস্তরাজারা রাজত্ব করতেন। তাভ্রশাসনে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই বংশের লোকনাথ নামে এক সামস্তরাজা অন্যান্য সামস্তদের পরাজিত ক্রেন ও নিজ প্রভুর কর্তৃত্ব ও অস্বীকার করেন। এই তাভ্রশাসনে লোকনাথ ছাড়াও জীবধারণ ও জয়তূঙ্গবর্ষ নামে আরো দুজন সামস্ত রাজের নাম পাওয়া AA | এঁরা সম্ভবত খড়গ ও রাত বংশীয় রাজা ছিলেন৷ এই সব রাজবংশ ত্রিপুরা ও তার আশেপাশে রাজত্ব করছিলেন। এঁরা পরমেশ্বর উপাধিধারী কোনো শক্তিশালী রাজার অধীনে থাকলেও কার্যত তারা স্বাধীন ছিলেন এই “পরমেশ্বর ' কামরূপের রাজা না সমতটের রাজা ছিলেন তা অবশ্য সঠিকভাবে জানা যায় AT | সপ্ত শতাব্দীর শেষার্ধের MHA লিপি থেকেও জানা যায় ত্রিপুরার একটি বড়ো অংশ AG বংশীয় রাজাদের অধীন ছিল। চারজন খড়গ বংশীয় রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন ASNT, জাতখড়ুগ, দেবখড়ুগ ও রাজরাজভট্ট। দেবখড়ুগের তাশ্রশাসন থেকে জানা যায় এঁদের রাজধানী ছিল কর্মাত্তবাসক যার সঙ্গে ত্রিপুরা জেলার বড়কামতা নামক স্থানটি অভিন্ন বলে অনেক এঁতিহাসিক মনে করেন। চৈনিক বিবর্ণ থেকে জানা যায় ত্রিপুরা ছাড়াও প্রায় সমগ্র পূর্ব এবং দক্ষিণ বঙ্গ এঁদের অধীনে ছিল! TEA বংশীয় রাজারা বৌদ্ধ ছিলেন৷ খড়ুগবংশ ছাড়াও সে সময় রাত বংশীয় জীবনধাক্ক্ণ ও তার পুত্র Marae ত্রিপুরা অঞ্চলে রাজত্ব করেছেন শ্রীধারণ নিজেকে সমতটের র জা বলে প্রচার করেছেন। দেবপর্বতে এঁদের রাজধানী ছিল। এই দেবপর্বত ক্ষীরদা নদীর চীরে অবস্থিত। ক্ষীরাদ বা ক্ষীরানদী গোমতী নদীর শাখা এবং কুমিল্লার পশ্চিমে অবস্থিত | রাত বংশের পর ভবদেব ও BGA নামে দুজন দেব বংশীয় রাজা এই অঞ্চলে রাজত্ব করেছেন এঁদের কাছ থেকেই চন্দ্র বংশীয় রাজারা সমতট অধিকার করে নেন। ১৬



Leave a Comment