শত বর্ষের শত গল্প [খণ্ড-১] (১৭৮৭-১৮৯৭) | Shata Barsher Shata Galpa [Vol.1] (1787-1897)

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাবুয়ানা সোনাগাজির গুমর কেবল উক্ত গুরুমহাশয়ের দ্বারাই রাখা হইয়াছিল । কিঞ্চিৎ প্রাস্ততাগে দুই এক জন বাউল থাকিত-_তাহারা সমস্ত দিন ভিক্ষা করিত। সন্ধ্যার পর পরিশ্রমে আক্লাস্ত হইয়া শুয়ে শুয়ে WA গান করিত। সোনাগাজির Keay অবস্থা ছিল। মতিলালের শুভাগমনাবধি সোনাগাজির কপাল ফিরিয়া গেল। একেবারে “ঘোড়ার চি হি, তবলার চাটি, লুচি পুরির খচাখচ” উল্লাসের কড়াংধুম রাতদিন হইতে লাগিল আর Ter মিঠাই, গোলাপ ফুলের আতর ও চরস, গাঁজা মদের ছড়াছড়ি দেখিয়া অনেকেই গড়াগড়ি দিতে আরম্ভ করিল। কলিকাতার লোক চেনা ভার-_ অনেকেই বর্ণচোরা আঁব। তাহাদিগের প্রথমে এক রকম মূর্তি দেখা যায় পরে আর এক রকম মূর্তি প্রকাশ পায। ইহার মূল টাকা-_টাকার খাতিপ্লেই অনেক ফেরফার হয়। মনুয্যের দুর্ব্বল স্বভাব হেতুই ধনকে অসাধাবণরূপে HST ECT যদি লোকে শুনে যে অমুকের এত টাকা আছে তবে কি প্রকারে তাহার অনুগ্রহের পাত্র হইবে এই চেষ্টা কায়মনোবাক্যে করে ও তজ্ঞন্য যাহা বলিতে বা করিতে হয় তাহাতে কিছুমাত্র Si কবে না। এই কারণে মতিলালের নিকট নানা রকম লোক আসিতে আবস্ত কবিল। কেহ ore উলাব ব্রাহ্মণেব ন্যায মুখফৌড়া বকমে আপনার অভিপ্রায় একেবারে ব্যক্ত কবে--কেহ বা কৃষ্ণনগবীযদিগের ন্যায় ঝাড় বুটা কাটিযা মুন্সিয়ানা খরচ করে--আসল কথা অনেক বিলম্বে অতি PH ACH প্রকাশ হয-_ কেহ বা পূর্ব্বদেশীয় বঙ্গভাযাদিগের মত বেনিয়ে বেনিযে চলেন--প্রথম প্রথম আপনাকে নিপশ্রয়াস ও নিলেভি দেখান-_আসল মতলব তংকালে দ্বৈপায়ন্হনদে ডুবাইযা রাখেন-_দীর্ঘথকালে সময়বিশেষে প্রকাশ হইলে বোধ হয় তাহার গমনাগমনের তাৎপর্য্য কেবল “যৎকিঞ্চিৎ কাঞ্চনমূল্য”। মতিলালেব নিকট যে বাক্তি আইসে সেই হাই তুলিলে Ue দেয়--হাঁচিলে “জীব” বলে। ওরে বলিলেই “ওরে eta” করিয়া চীৎকাব কবে ও ভালমন্দ সকল কথারই উত্তবে-_“আল্ঞা আপনি যা বল্ছেন তাই বটে ' এই প্রকার বলে। প্রাতঃকালাবধি রাত্রি দুই প্রহর পর্যন্ত মতিলালের নিকট লোক গস্গস্‌ করিতে লাগিল--ক্ষণ নাই-_ মুহূর্ত নাই--_নিমেষ নাই-_সর্ব্বদাই নানা প্রকার লোক আসিতেছে-_-বসিতেছে--যাইতেছে। তাহাদিগের জুতার ফটাং Fore শব্দে বৈঠকখানার সিঁড়ি কম্পমান-_তামাক qefe আসিতেছে-_ধুঁযা কলের জাহাজের ন্যায় নির্গত হইতেছে। চাকরেবা আর তামাক সাজিতে পারে না-_-পালাই পালাই ডাক চুণ'ড়িতেছে। দিবারাত্রি নৃত্য গীত, বাদ্য, হাসিখুসি, বড়ফট্টাই, ভাঁড়ামো, নকল, ঠাট্টা, বট্‌কেরা, ভাবের গালাগালি, আমোদের ঠেলাঠেলি-_চড়ুইভাতি, বনভোজন, নেশা একাদিক্রমে চলিয়াছে। যেন রাতারাতি মতিলাল হঠাৎবাবু হইয়া উঠিয়াছেন। এই গোলে গুরুমহাশয়ের গুরুত্ব একেবারে লঘু হইয়া গেল-_তিনি oral বৃহৎ পক্ষী ছিলেন এক্ষণে দুর্গাটুনটুনি হইয়া পড়িলেন। মধ্যে মধ্যে ছেলেদের ঘোষাইবার একটু একটু গোল হইত-_ তাহা শুনিয়া মতিলাল বলিলেন এ বেটা এখানে কেন মেও মেও করে-_গুরুমহাশয়ের যন্ত্রণা হইতে আমি বালককালেই মুক্ত হইয়াছি আবার গুরুমহাশয় নিকটে কেন?--ওটাকে ত্বরায় বিসর্জন দাও। এই কথা শুনিবামাত্র নববাবুরা দুই এক দিনের মধ্যেই ইট পাটকেলের দ্বারা গুরুমহাশয়কে TSE করাইলেন সুতরাং পাঠশালা ভাঙ্গিয়া গেল। বালকেরা বাঁচলুম বলিয়া তাড়ি পাত তুলিয়া গুরুণহাশয়কে ভেংচুতে ভেংচুতে ও কলা দেখাইতে দেখাইতে চোচা দৌড়ে ঘরে গেল। এদিকে জান সাহেব হৌস খুলিলেন-_নাম হেল জান কোম্পানি। মতিলাল মুংসুদ্দি, বাঞ্ছাবাম ও ঠকচাচা কর্মমকর্ত। সাহেব টাকার খাতিরে মুংসুদ্দিকে তোয়াজ করেন, ও মুৎসুদ্দি আপন সঙ্গীদিগকে লইয়া দুই প্রহর তিনটা চারিটার সময় পান চিবুতে চিবুতে রাঙ্গা চকে এক এক বার কুঠী যাইয়া দাঁদুড়ে বেড়াইয়া ঘরে আইসেন। সাহেবের এক পয়সার সঙ্গতি ছিল না--বটলর সাহেবের অন্নদাস হইয়া থাকিতেন এক্ষণে চৌরুঙ্গিতে এক বাটী ভাড়া করিয়া নানা প্রকার আসবাব ১৭



Leave a Comment