ভূদেব-রচনাসম্ভার | Bhudeb-rachanasambhar

[ Ive ] 'হিন্দুসাধনার ইতিহাসও বিবৃত হইয়াছে, অর্থাৎ ভারতের আস্তর বাহ্‌ মুতি একদেহে প্রকট করিয়| তোল! হইয়াছে। পুষ্পাঞ্জলি সম্বন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র লিখিতেছেন- “হিন্দুবিশ্বাসের যে সকল উপাখ্যান আজ ihe ইউরোপীয় পণ্তিতেরা অত্যন্ত মূখ'তার পরিচায়ক ও কেবল হাসিয়া উড়াইয়া দিবার উপযুক্ত ভাবিতেন, তাহা পুষ্পা গুলির গ্রন্থকারের সভক্তিক আলোচনায় যে ফল দিয়াছে তাহা ভাবের উচ্চতা ও গৌরবে ইউরোপীয় সাহিত্য হইতে হীন ace” এবারে 'পুষ্পাঞ্জলি*র অন্ততর নায়ক স্বয়ং মার্কগেয়মুনি কি বলিয়াছেন শোন] যাক I— “ব্যাসদেব প্রশ্ন করিলেন “ইনি কোন্‌ দেবী ?” মহামুনি ace এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর না দরিয়া ব্যাসদেবকে সঙ্গে করিয়| “তীর্থদর্শন* করাইতে কুরুক্ষেত্র হইতে দ্বারাবতী হইয়া] কুমারিক] fem কামাথ্যায় লইয়| গিয়া এই গ্রন্থের শেষে বলিলেন এক্ষণে তোমার ধ্যানপ্রাপ্ত দেবীযুতির দর্শন প্রাপ্ত হইলে ।” অর্থাৎ ভারতবর্ষ অধিভারতী দেবীর ভৌতিক মুক্তি। তীর্থদর্শনেই তাহার পরিক্রমণ করা ইয়।” ভারতভূমিকে দেবী-রূপে কল্পনা বাংলা সাহিত্যে এই বোধ হয় প্রথম। _পু্পাগুলির প্রকাশ ১৮৭৬ সালে, 'আনন্দমঠ-রচনার অনেক আগে | বন্কিমচন্দ্র নিশ্চয় এ ক্ষেত্রে পুষ্পাঞ্জলি AEs প্রভাবিত হইয়াছেন। ~~ কিন্তু ভূদেবের Stawell কল্পনার এখানেই চূড়ান্ত নয়, তাঁহার ভারত শুধু হিন্দুভারত নয়। মুসলমানসমাজকেও এই এঁক্যবোধের মধ্যে তিনি গ্রথিত করিয়| লইয়াছেন। উনবিংশ শতকে রামমোহন ব্যতীত মুসলমান ধর্ম ও মুসলমান সমাজ সম্বন্ধে এমন উদারতা বোধ করি আর কোন বাংলা সাহিত্যিকে দেখা যায় ars মুসলমানসমাজের প্রতি ভূদেবের সহান্তভূতি ও সহিষ্ণুতার অস্ত ছিল না--তীহার সমগ্র রচনার মধ্যে সন্ধীর্ণতাব্যঞক একটি ane নাই। যে ব্যক্তি নিজের আচার সম্বন্ধে শ্রদ্ধাপরায়ণ পরের আচার সম্বন্ধে শ্রদ্ধাশীল না হইয়া মে পারে al | “পৃথিবীতে যত পেগ্বর বা নরদেব এ AGS THES হইয়াছেন, তন্মধ্যে HEIRS সর্ববপ্রধান বলিয়া বোধ হয় ।”--ধর্মচর্য্যা [ পারিবারিক প্রবন্ধ ] ধর্মগুরু সম্বন্ধে এমন মত যাহার, ধর্ম AWG অন্যথা হইবে কিরূপে 1 “সফল স্বপ্ন” নামে এতিহাসিক উপন্যাসে সবজক্তগীন চরিত্রটি মহৎ আদর্শের রঙে চিত্রিত 1 “অঙ্গুরীয় বিনিময়ে' লেখক কল্পনা করিয়াছেন শিবারজী আরংজেব- SMI প্রেমে মুগ্ধ VSN তাহার সহিত অঙ্গুরী-বিনিময় করিয়াছেন। আয়েষা জগৎ- সিংহের প্রতি অন্গুরক্ত হইয়াছিল, ফলে বন্ধিমচন্দত্রকে মুসলমানের গাল WRG