For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)হয়ে থাকে তা হলে যাবেই! ওকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। সেখান
থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমার কেন, কোন ডাক্তারেরই হাত নেই। তবে
তাকে বাঁচাবার জন্য অন্ততঃ ভাল ক'রে একবার চেষ্টা করা উচিত। তুমি আপাতত
বাইরে গিয়ে AP CON করে দেখতে দেও আমি কি করতে পারি।” কতকটা আশা পেয়ে বাচ্চাটির মা সেখান থেকে সরে বাইরে গেল। তখন
সুচিত্রা ঘরে ঢুকে দেখলো তার রুগীকে অপারেশন টেবিলের ওপর গুইয়ে রাখা
হয়েছে। তাই দেখে আর দেরি না ক'রে কয়েকজন নার্সকে ডেকে বাচ্চাটিকে
নিয়ম অনুযায়ী চেপে ধরতে বলল। তারা সে ভাবে ধরলে পর সুচিত্রা ঠিক হয়ে
হাতে সিরিঞ্জখানা তুলে নিল। অন্য একজন ডাক্তার সামনে রইল! খালি সিরিঞ্জের লম্বা সুচখানা রোগীর শিরদাঁড়ার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে বেশী
সময় লাগল না। কিছু সময় পরে দেখা গেল আস্তে আস্তে জল চুইয়ে চুইয়ে
বাইরে বেরিয়ে আসছে।--তাই দেখে সুচিত্রা ভাবলো--এবার তা হলে বাচ্চাটি
সত্যি মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবে। কিন্তু একি! একটু পরেই তার নিজের
কেমন যেন একটা সন্দেহ হতে লাগলো। বাচ্চাটির শরীর থেকে প্রাণের স্পন্দন
যেন-_আস্তে আস্তে কমে কমে মিলিয়ে যাচ্ছে। এই দেখে সুচিত্রা তার সামনে
দাঁড়িয়ে থাকা ডাক্তারকে ডেকে বলল-_ “দেখুন ত পরীক্ষা করে, কি যেন হ'ল
সন্দেহ হচ্ছে। সত্যি কেমন কেমন (ঠেকছে।” সুচিত্রা কাপানো গলায় ধীরে ধীরে বলে উঠল--“ও, থাক। বুঝেছি। সব শেষ।
ওকে আর বাঁচাতে পারলাম না। চলে গেল সে আমাকে পরাজিত করে।” ওদিকে বাচ্চাটির মা ছেলের জন্য আকুল মনে বন্ধ দরজার বাইরে কান
পেতে বসে ছিল। সুচিত্রার মুখ থেকে এ কথা শোনা মাত্র সে সজোর ধাক্কায়
বন্ধ দজা খুলে ফেলে-- ভেতরে পাগলের মতো ছুটে এলো। টেবিলের ওপরে
শোয়া মৃত সন্তানের শরীরের ওপরে আছড়ে পড়ে চিৎকার করে বলতে লাগল--
“কিরে, তোকে আমাদের মা বাঁচাতে পারল না? তুই শেষে কিনা আমায় ফাঁকি
দিয়ে চলে গেলি?”--তার কান্না ক্রমে ক্রমে বেড়েই চললো। এমন অবস্থা দেখে সুচিত্রা আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না। অন্য
ডাক্তারটিকে ডেকে বলল--_“আমি চললাম, ডাক্তার দত্ত। দাড়িয়ে থাকতে
পারছি না। ক্ষমা করুন। মাথা কেমন যেন ঘুরছে। এবার যা ক'রবার দরকার তা
আপনি দয়া ক'রে করবেন। অনুরোধ জানাচ্ছি” ডাক্তারটি বুঝতে পারল সুচিত্রার মনের অবস্থাকে সহানুভূতির গলায় বলল-- 4