মধ্য ভারতীয়-আর্য ভাষা ও সাহিত্য | Maddhya Bharatia-arya Bhasa O Sahitya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
॥ পালিভাষ৷ ও বৌদ্ধধর্ম ॥ বৌদ্ধ ধর্মশান্ত্রের যা-কিছু উল্লেখযোগ্য রচনা তার প্রায় মমস্তই পালিভাযায় রচিত ey পালি-সাহিতো্যের এক বৃহৎ অংশ জুড়ে আছে বৌদ্ধার্শন ও শান্ত্র। সেজস্ত এই প্রসঙ্গে খুব সংক্ষেপে বৌদ্ধ্র্শনের এবং বৌদ্ধ শাস্ত্রীয় আচার-ব্যবহারের একটি মোটামুটি বিবরণ পাঠকের জানা থাকলে পালিসাছিত্য সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট BUS পারে ॥ ভারতবর্ষের আর্ধবংলীয়দের ইতিহাসকে যদি ছুটি প্রধান ধর্মীয় ভাগে বিভক্ত করা যায় তবে সে ছুটি হবে হিন্দু ও বৌদ্ধ। হিন্দুধর্ম ভারতে আর্যদের আগমনের সময় থেকেই YH বলা চলে, কিন্তু বৌদ্ধধর্ম তাঁর অনেক পর থেকে প্রচলিত ও প্রচারিত হয়েছে। খৃষ্টপূর্ব পঞ্চম বা ষষ্ঠ শতাব্দীতে নেপালের নিকটবর্তা কপিলাবস্ত নিবাদী ক্ষত্রিয় RET রাজা স্তদ্ধোনের পুত্রে গৌত্তমবুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। বুদ্ধঢবেব মনে করতেন, এই সংসার ছুংখময় এবং এই দুঃখ থেকে মানুষের কিসে পরিত্রাণ হবে এই waaay তিনি সংসার ত্যাগ করেন। তারপর কিভাবে তিনি ‘qa’ ea তা সকলেরই জানা আছে | বুদ্ধদেবের জীবনবৃত্তান্ত আলোচনা! করলে দেখা যায়, তিনি প্রয়াগের পূর্ব, বাংলাদেশের পশ্চিম, হিমালয়ের দক্ষিণ ও গণ্জোয়ানায় উত্তর--এই চার সীমার মধ্যবতী অযোধ্যা, মিথিলা, বারাণসী, মগধ ইত্যাদি রাজ্যে নিজে থেকে নিজের ধর্ম প্রচার করতে থাকেন। তিনি পরম পুরুষার্থ BART এবং মাধনাকাঙ্জী যে উদালীন সম্প্রদায় গঠন করেন তাঁদের এবং অন্য লোকদের জঙন্য--দুই রকম আচার-আচরণ এবং ধর্মমাধনার পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। বৌোদ্ধনম্প্রদায়ভুক্ত উদাসীদের নাম ‘fey’ তাঁরা দলবদ্ধ হয়ে একত্রে বসবাস করতেন। তাঁদের বাসগৃহের নাম ছিল বিহার”, কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকে বাধ্যতামূলকভাবে বছরের মধ্যে কয়েক মাস বনবাস এবং গাছ- তলায় জীবনযাপন করতেন। তাঁরা নিজেদের হাতে-বোনা 'চীরপুঞ্জ' পরিধান করে তাঁর আবরণ হিলাবে একটি পীতবর্ণ আলখাল্ল! ব্যবহার করতেন। এরা দাড়ি কামাতেন, মাথা মুড়োতেন, স্ত্রীলোকের সংসগ, নৃত্যগীত ইত্যাদি সমস্ত রকম ইন্জিয়- হুখপ্রদায়ক ব্যাপার থেকে নিজেদের দূরে রাখতেন । এঁরা সকলেই একাহারী। গ্রামে গ্রামে লোকের দরজায় দরজায় এরা ভিক্ষা সংগ্রহ করে দ্বিনের আলো থাকতে থাকতেই এক জায়গায় সমবেত হয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতেন এবং প্রায় উপবিষ্ট উন মধ্য ভারতীয়-আর্ধ ভাষা ও নাহিত্য



Leave a Comment