For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ভূমিকা ১১/১ হয়। অধ্যাপক সৈয়দ হাসান আসকারির মত উদ্ধৃত করে গ্রন্থকার দেখিয়েছেন
যে যমৃগাবতীর হোসেন শাহও খুব সম্ভবত ভিন্ন ব্যক্তি। হোসেন শাহ fea
ও সাহিত্যের পৃষ্টপোষক ছিলেন কিনা এবং তার ধর্মসন্বন্ধীয় নীতি কতটা
উদার ছিল--এই দুইটি প্রশ্ন সম্বন্ধে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা দ্বারা গ্রন্থকার যে
প্রচলিত মতের ভ্রান্তি দেখিয়েছেন (দ্বিতীয় খণ্ড, ২১২-৩১* প্রঃ) তা এই
গ্রন্থের একটি বিশেষ মূল্যবান অংশ। হোসেন শাহের সম্বন্ধে আর একটি
প্রচলিত ধারণা এই যে তিনিই প্রথম সত্যপীরের fa প্রবর্তন করেন।
এ সম্বন্ধে যে কোন প্রমাণ নাই এবং সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে গ্রন্থকার
সে সম্বন্ধে অনেক যুক্তি দেখিয়েছেন | হোসেন শাহের প্রসঙ্গে গ্রন্থকার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সন্ধান
দিযেছেন । “রাজমালা' নামক ত্রিপুরার ইতিহাস বাংলা সাহিত্যে স্নপরিচিত।
হুর্গামণি উজীরের সম্পাদিত (ও সংশোধিত ) পূ থিই এখন আমাদের একমাত্র
সম্বল। এবং এর থেকে মূল পুথি রচনার তারিখ ও ইহার এঁতিহাসিক way
সম্বন্ধে অনেক আলোচনা হরেছে। বিশ্ববিদ্ঠালয়ে গবেষণা] করে যার] এই
গ্রন্থ সম্বন্ধে PAAR লেখেন তারাও জানেন না যে এর পুরা'তন পুথি এখনও
পাওয়া যায়। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে রক্ষিত একখানি far গ্রন্থকার
উল্লেখ করেছেন । BT উজীর কর্তৃক রাজমাল] সংশোধনের আগেই এই
পুথি fase হয়েছিল। এই পুঁথি থেকে ত্রিপুরার রাজা ধন্ঠমাণিক্্যের
বঙ্গদেশ আক্রমণ ও হোসেন শাহের ত্রিপুরা-অভিযান সম্বন্ধে যে VY TST
উদ্ধৃত করেছেন তার সঙ্গে মুদ্রিত রাজমালার পাঠের অনেক অনৈক্য দেখা
যায়। এ সম্বন্ধে গ্রন্থকার সদীর্ঘ আলোচনা করেছেন। বাংলা দেশ ও বাংল)
সাহিত্যের ইতিহাস সম্বন্ধে এই পুরানো রাজমালার পুথি অনেক নূতন তথ্যের
সন্ধান দিয়েছে। গ্রেন্বকার এটি উদ্ধত করে বাংলা! এতিহাসিক সাহিত্যের
সমৃদ্ধি খুব বাড়িয়েছেন। এ পর্যন্ত যা লেখা হয়েছে তা থেকেই আলোচ্য গ্রন্থের এঁতিহাসিক মূল্য
সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা করা যাবে। বাংলা সাহিত্যে এই গ্রন্থখানির স্থান যে খুব
উচুতে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি এই উদীয়মান প্রতিভাশালী লেখককে
সম্বর্ধনা করে ও অভিনন্দন জানিয়ে এই ভূমিকার উপসংহার করছি। প্রীরমেশচন্দ্র মজুমদার