গণতন্ত্রের সঙ্কট | Ganatantrer Sankat

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ গণতন্ত্রের সন্কট প্রতিষ্ঠা করিবে; এবং তিনি যে অহিংস উপায়ে সেই চেষ্টা করিয়াছিলেন, গণতম্ত্রমম্মত সেই উপায়ে কংগ্রেস সে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করিবেই করিবে। স্বীয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয়, কংগ্রেস যখন রাজ্যশাসনভার লাভ করিয়াছে, তখন সর্বতোভাবে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ sham গণতন্ত্র গড়িয়| তুলিবার চেষ্টা করিবে। সে সমাজে সর্বসাধারণের কল্যাণের দৃষ্টি অবিচল থাকিবে, অপর কোনও উদ্দেশ্য থাকিবে না। প্রতি জেলায় বাস্তহারাদের পুনর্বমতির সময়ে হউক, শিক্ষায়তন বা হাসপাতাল স্থাপনার ব্যাপারে হউক, চাষের বীজ অথবা স্ততা লোহা বা সিমেন্ট সরবরাহের ব্যাপারে হউক, কংগ্রেসী গভনমেণ্ট যোগ্যতম ব্যক্তির সাহায্য লইবেন, যোগ্যতমের সঙ্গে পরামর্শ করিবেন, এবং যেখানে বিভিন্ন স্বার্থে ae বাধিবে সেখানে দরিজ্ঞতম জনসাধারণের স্বার্থের নিকট অপরের স্বার্থকে বলি দিবেন। ক্ষমতাধারীগণ স্বীয় স্বার্থপুষ্টির coe] করিলে কংগ্রেসী গভনমেণ্ট তাহাদের স্বার্থ sa করিতে পশ্চাৎপদদ হইবে না। ংগ্রেসী গভর্নমেন্ট এই চেষ্টা যদি করেন, তবে একদিনেই যে সব করিতে সমর্থ হইবেন তাহা নয়। ধনীকুল বহু কৌশলে গভর্নমমেন্টকে পরাস্ত করিবার coal করিবেন। কিন্তু যদি গভর্নমেন্ট স্বীয় আদর্শে অবিচল থাকেন তবে মাঝে মাঝে পরাজয় ঘটলেও জনসাধারণ সেই গভর্নমমেণন্টকেই সমর্থন করিবে, যে তাহার হইয়া লড়ে। চেষ্টা করিয়াও যদি মানুষ অপারগ হয়, সকলেই তাহাকে ক্ষমা করে। সেই চেষ্টা কিন্তু অবিচল থাকা প্রয়োজন | ১৯৩১ সালে গান্ধীজী কংগ্রেসের অর্থ নৈতিক লক্ষ্য সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন ঃ “কংগ্রেসে পূর্ণ স্বরাজ বলিতে কি বোঝায়, মে বিষয়ে কাহারো যেন ভুল ধারণা না atte যে কোটি কোটি জনগণ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, অর্থ নৈতিক জীবনে তাহাদের পূর্ণ স্বাধীনতাই কংগ্রেসের আদর্শ। যে স্বার্থ দরিদ্র জনসাধারণের স্বার্থের পরিপন্থী এবং যাহা শোষণের দ্বারা পুষ্ট, সেরূপ স্বার্থের সহিত কোন প্রকার অসাধু আপোস চলিতে পারে না'* “আমি এইবার আমাদের অর্থ নৈতিক উদ্দেশ্যের সম্বন্ধে বলিব। আমাদের লক্ষ্য হইল, সর্বতোতাবে বিদ্বেপী শাসন হইতে পরিপূর্ণ মুক্তিলাভ করা ; এই মুক্তি আজিকার মুক জনগণের জন্যই লাভ করিতে হইবে। যে-স্বার্থ তাহাদের tidy প্রতিকূল, সেই স্বার্থকে সংস্কার করিয়া জনগণের স্বার্থের অকুলে



Leave a Comment