ভারতীয়-আর্য সাহিত্যের ইতিহাস [সংস্করণ-১] | Bharatiya-arjya Sahityer Itihas [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ ভারতীয়-আর্য সাহিত্যের ইতিহাস আমিই লোকের মধ্যে বিবাদ বাধাই। আমিই দ্যুলোকে ও CRIT প্রবেশ করিয়াছি।। ৬।। “ইহার শিখরে আমি পিতাকে প্রসব করিয়াছি। আমার গর্ভস্থান সমুদ্রের ভিতরে। সেখান হইতে আমি বিশ্বভুবন ব্যাপিয়া দীড়াইয়া আছি। সেই দ্যুলোক আমি দীর্ঘতায় স্পর্শ করি গিয়া।। ৭।। 'আমি বায়ুর মতো ধাই, বিশ্বভুবন ধরিয়া রাখিতে রাখিতে দ্যুলোকের ওপারে এই পৃথিবীরও পারে, এমন মহিমায় আমি ABS হইয়াছি'।। ৮।। এই সূক্তটি হইতে ব্রাহ্মণ্য ধর্মে শক্তিপূজার আরম্ভ ধরা হয়। মার্কণ্েয়-পুরাণে যে 'সপ্তশতী” অধ্যায়গুলিতে চণ্ডীমাহাত্ম্য বর্ণিত তাহাতে খানিকটা এই BUSA ভাবই আছে এবং পরবর্তীকালের কবিকল্পনা ও দেবভাবনা আশ্রয় করিয়া বিস্তারিত হইয়াছে। “চণ্ডী” আইডিয়াটির বীজও খগ্বেদে পাওয়া যায়। আসলে কিন্তু এই সূক্তে ব্রহ্মভাবনা রহিয়াছে। তলবকার-'কেন' উপনিষদের গোড়ায় ব্রহ্ম যে ভাবে উপস্থাপিত এই FOS নাম-না করা aes ঠিক তেমনি ভাবেই বিবৃত। প্রথম হইতেই রুদ্র দেবতার দুই মেজাজ ছিল, প্রসন্ন ও Pal প্রসন্ন মেজাজে দক্ষিণ মুখে তিনি আরোগো্যের দেবতা, পশু-মানুষের “ভিযষক্তম” | a মেজাজে রুদ্র মুখে তিনি ধ্বংসের দেবতা, বিশেষ করিয়া অপরাধীর ও গার্হস্থ্য পশুর। খগ্বেদের সময়েই SOA ক্রোধ (“মনা”) কবিদের দৃষ্টিতে শুধু ভাবময় না থাকিয়া বস্তুময় ও রৌদ্রময় হইয়া স্বতন্ত্র দেবভাবনা জাগাইতেছিল। যেমন (২.৩৩.৫) atts হুবতে যো হবির্ভির্‌ অব স্তোমেভী রুদ্রং WaT | ঝদূদরঃ সুহবো মা নো GOA বক্র সুশিপ্রো রীরধন্‌ মনায়ে।। “আহানমন্ত্র স্তব ও হব) দিয়া যাহাকে আহবান করা হয়, (সেই) রুদ্রকে আমি স্তোত্রের দ্বারা যেন প্রসন্ন করিতে পারি। কৃপাময়, সহজে GIS, লালকালো, সুন্দর-ওষ্ঠাধর-_ (তিনি) যেন আমাদের তাহার মনার বশে না ফেলেন।।” এই মনারই সমার্থক শব্দ “HS? | দেবতাদের মধ্যে শুধু রুদ্রেরই ঘর-সংসারের বেশি উল্লেখ খগ্বেদে আছে। তাহার পত্নী ofa গাভী, পুত্রেরা মরুৎ। রুদ্র ও মরুৎ-_সকলেই ভালো, নাটকীয়, সাজ পরেন এবং রথে চড়েন। রুদ্র ভৈষজ্য বিতিরণ করেন, পুত্রেরা ("গোমাতরঃ” “রুদ্রাসঃ”) বৃষ্টিধারা দেন। কিন্তু পিতার যেমন পুত্রদেরও তেমনি দুই মেজাজ, সৌম্য ও ভীষণ (শিব ও রুদ্র)! খগ্বেদে দেবপত্নীদের নাম পতিনামে্ত্রীপ্রত্যয় যোগে নিষ্পন্ন। যেমন, ইন্দ্রাণী, বরুণানী ও অগ্নায়ী। BH ছাড়া ইহাদের শুধু নামটুকুই উদ্লিখিতি। একটি প্রহেলিকাময় এবং কিছু অশ্লীল সূক্তে (১০.৮৬) ইন্দ্রের সঙ্গে ইন্দ্রাণীর ও বৃষাকপির সংলাপ আছে। বৃযাকপি ইন্দ্রের পুত্র এবং মনে ইয় যেন ইন্দ্রাণীর Agia) ইন্দ্র-ইন্দ্রাণীর পুত্রবধূরও উল্লেখ আছে। এই সৃক্তটি আসলে মেয়েলিতন্ত্রের বস্তু ছিল বলিয়া বোধ হয়। পুরাণে ও পরবর্তী সাহিত্যে শক্তিদেবতার দুইটি বিশিষ্ট রূপ-_সুবেশা সুন্দরী Corel দুর্গা আর কোপনক্রোধনা রুদ্রাণী DSL দেবীর এই দুই রাপে বৈদিক দুইটি স্বতন্ত্র দেবীভাবনা মিশিয়া আছে। রুদ্রের মনার উল্লেখ আগে করিয়াছি, তিনিই রুদ্রাণী চণ্ডী। প্রথম দেবীর সন্ধান খগ্বেদে অভিন্নসহচরী দুই ভগিনী-দেবীতে পাওয়া যায়। ইহাদের একজন দিবা---শুভ্র দিন, আর একজন নিশা-_কৃষ্ণ দিন (অহশ্চ কৃষ্ণমহরর্জুনং চ”)। গৌরী ও কালী এই দুই দেবী



Leave a Comment