জীবনানন্দ : জীবন ও কবিতা আলোচনা | Jibanananda : Jiban O Kabitar Alochana

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কলেজ জীবন ১৯১৫ DBC বরিশালের ব্রজমোহন স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করে জীবনানন্দ বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে বা বি. এম. কলেজে ভর্তি হন। ব্রজমোহন স্কুল এবং কলেজ দুই-ই বরিশালের মহাত্মা অশ্বিনীকুমার waa পিতা ব্রজমোহন দত্তর নামে প্রতিষ্ঠিত। জীবনানন্দ এই কলেজে দু'বছর পড়ে ১৯১৭ খ্রীষ্টাব্দে এখান থেকে প্রথম বিভাগে আই. এ. পাস করেন। এরপর বি. এ. পড়বার সময় তিনি আর বি. এম. কলেজে না প'ড়ে কলকাতায় চলে আসেন | কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় তিনি এখানে অক্সফোর্ড মিশন হস্টেলে থাকতেন প্রেসিডেন্সি কলেজে দু-বছর পড়ে তিনি ১৯১৯ ব্রীষ্টাব্দে ইংরাজিতে অনার্সসহ বি. এ. পাস করেন। এরপর তিনি ইংরাজিতে এম. এ. পড়বার জন্য এবং এঁ একই সঙ্গে আইনও পড়বার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এম. এ. ও ল. পড়ার সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ডিঞ্জ হস্টেলে থাকতেন। এম. এ. পড়ার আগে কিছুদিন তিনি অসুখে ভোগেন। তাই পরীক্ষায় ভাল ফল হবে না ভেবে, প্রথমে পরীক্ষা দেবেন না বলে তিনি ঠিক করেছিলেন। কিন্তু আত্মীয়স্বজনদের কথায় পরে পরীক্ষা দেন। ফলে এম. এ. পরীক্ষায় তিনি সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছিলেন অর্থাৎ দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯২১ Mew (AR এম. এ. পাস করেছিলেন। জীবনানন্দ ওকালতি করবেন বলেই “আইন” পড়ছিলেন কিনা জানি না। তবে আইন পড়তে পড়তে কিছুদিন পরেই তিনি সিটি কলেজে অধ্যাপকের চাকরি পেয়ে গেলে, আইন পড়া ছেড়ে দেন এবং উকিল হবার বাসনা থাকলেও সে বাসনাতে ইস্তফা দেন। জীবনানন্দ বাড়িতে তার বাবা মা'র কাছে শিক্ষা এবং স্কুলে প্রধান শিক্ষক মশায়ের নিকট শিক্ষার সঙ্গে তার কলেজ জীবনের শিক্ষার তুলনা করতে গিয়ে পরে এক প্রবন্ধে প্রসঙ্গত লিখেছিলেন : ইউনিভারসিটি থেকে পাস করে বেরিয়েছি অনেক দিন হতে চলল। কিন্তু কার কাছে শিক্ষা পেয়েছিলাম আমরা? আমি অন্তত? তিনজন মানুষের কাছে। একজন বাবা, একজন মা, আর একজন ব্রজমোহন স্কুলের হেডমাস্টার আচার্য জগদীশ মুখোপাধ্যায়। ৯



Leave a Comment