বিচিত্র প্রবন্ধ | Bichitra Prabandha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সরোজিনী-প্রয়াণ ১৩ করিযা ফুলিয়া ef চলিতেছে-_ মাথার উপরে স্থর্যকিরণ feats চোখের মতো জ্বলিতেছে-_ নৌকাগুলাকে কাত করিয়া efi তাহার মধ্যে কী আছে দেখিবার জন্য উচু হইয়া দাড়াইষা উঠিতেছে ; মুহুর্তের মধ্যে কৌতূহল পরিত্বপ্ত করিয়া, নৌকাটাকে ate দিয়া, আবার কোথায় তাহারা চলিয়া যাইতেছে। আপিসের ছিপছিপে পাল্সিগুলি পালটুকু STS আপনার মধুর গতির আনন্দ আপনি যেন উপভোগ করিতে করিতে চলিতেছে; তাহারা মহৎ মাস্তলকিরীটী জাহাজের ately উপেক্ষা করে, স্টশীমারের পিনাকধ্বনিও মান্য করে না,বরঞ্চ বড়ো বড়ো জাহাজের মুখের উপর পাল gets হাসিয়া রঙ্গ করিয়৷ চলিয়া যায ; জাহাজও তাহাতে বড়ো অপমান জ্ঞান করে না। কিন্তু গাধা- বোটের ব্যবহার Wo, তাহাদের নড়িতে তিন ঘণ্টা, তাহাদের চেহারাটা নিতান্ত স্থূলবুদ্ধির মতো ; তাহারা নিজে নড়িতে অসমর্থ হইয] অবশেষে জাহাজকে সরিতে বলে, তাহারা গায়ের কাছে আসিয়া পডিলে সেই স্পর্ধা অসহ্‌ বোধ হয়। এক সময় শুনা গেল আমাদের জাহাজের কাণ্ডেন নাই। জাহাজ ছাড়িবার পূর্বরাত্রেই সে গা-ঢাকা দিয়াছে। শুনিয়া, আমার ভাজ- ঠাকুরানীর ঘুমের ঘোর একেবারে ছাড়িয়৷ গেল; তাহার সহসা মনে হইল যে, কাণ্ডেন যখন নাই তখন নোঙরের অচল শরণ অবলম্বন করাই শ্রেয়। দাদা বলিলেন, তাহার আবশ্যক নাই, কাণ্ডেনের নিচেকার লোকেরা কাণ্ডেনের COTY কোনো অংশে ন্যুন নহে। কর্তাবাবুরও সেইরূপ মত । বাকি সকলে চুপ করিয়া রহিল, কিন্তু তাহাদের মনের ভিতরটা আর কিছুতেই Gy Seq না। তবে, দেখিলাম নাকি জাহাজটা সত্য সত্যই চলিতেছে, আর হইাকডাকেও কাণ্ডেনের অভাব সম্পূর্ণ ঢাকা পড়িয়াছে, তাই চুপ ate রহিলাম। হঠাৎ জাহাজের হৃদয়ের ধুকৃধুকূ শব্দ বন্ধ হইয়া গেল ; কল চলিতেছে না; “নোঙর



Leave a Comment