বাঙ্গালীর পূজা-পার্ব্বণ | Bangalir Puja-parbban

১৬ বাঙ্গালীর পৃজা-পার্বণ universal religion’ অর্থাৎ “তাই, ভাই, আমাদের ef সার্বতৌমিক ধর্ম 1 বিশ্বস্ত লোকের মুখে শুনা গিয়াছে, এই কথা বলিতে বলিতে তাঁহার চক্ষে জলধারা বহিত। Race বাস-কালে যখন খৃষ্টীয়দিগের ভজনালয়ে যাইতেন এবং তাহারা যখন ভজনা করিতেন, তিনি একান্তে shin কাদিতেন ; কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বলিতেন--_“দেশের লোব্ের কথা মনে করিয়৷ কীদিতেছি, কতদিনে তাহারা ভ্রম কুসংস্কার দূর করিয়া উদার বিশ্বজনীন acta আশ্রয় গ্রহণ করিবে।”” -'-বিলাতে বিধশ্ববীর ভঙ্জনাগয়ে স্বজাতির “কুসংস্কার '-স্মরণে রামমোহনের ন্যায় প্রতাপ-প্রতিপত্তিশালী পুরুষের এই রোদন তখনকার 'ভারত- হিতৈঘী” ইংরেজদিগকে খুব সম্ভব খুব খুসীই করিয়াছিল। জেমুস Bath যদি সে সময়ে বলিতেন যে, তাঁহার 'তমোনাশক*” গ্রন্ লেখা সার্থক হইয়াছে, তবে মনে হয় তাহা নিতাস্ত অসঙ্গত হইত ন৷। যাহা we, আসল কথা এই যে, “অজ প্কার পৌভ্তলিকতার সহিত নিরন্তর যুদ্ধ” রামমোহন যেমন করিয়াছিলেন, তখনকার প্রসিদ্ধ পাদ্রীরাও তেমনি করিয়াছিলেন | এবং এজন্য ইংরেজেরাও জয়-মাল্য-লাভের দাবী sfam থাকেন। ইংরেজদিগের এই দাবী যে একেবারে TAT, অবশ্য তাহা ACE | কিন্তু তাই বলিয়া যদি মনে করা যায় যে, কোনও খৃষ্টান কিংবা রামমোহন রায় “পোত্তলিকতার সহিত ya” করিতে গিয়া তর্ক-যুদ্ধে পৌত্তলিকদিগকে পরা- ভূত করিয়াছিলেন, তাহা হইলে ভুল হইবে। বরং বলা চলে, রক্ষণশীল হিন্দুর পক্ষ হইতে ঈশ্বর সাকার,” প্রত্যুত্তর, 'বেদাস্ত চন্দ্রিকার উত্তর, 'জ্ঞানাপ্জন- ‘ate, “Baty wi asta’ প্রভৃতি যে-সব প্রতিবাদমূলক গ্রন্থ তখন প্রকাশিত হইয়াছিল, সেগুলির সদুত্তর কেহ দিতে পারেন নাই। নাম ও রূপের বেদীর উপর প্রতিষ্ঠিত যে উপাসনা-পদ্ধতি, তাহাকে এক কথায় ay বা 'কুসংস্কারপূর্ণ' বলিলে তাহা সদুত্তর হয় না। কিন্ত এইরূপ কথা আমরা রাজনারায়ণ বস্তুর ন্যায় মনীঘীর নিকট হইতেও সুনিয়াছি। তাহার হিন্দুধর্শের ew’ পুপ্তকের একস্থানে আছে-- ' eit বলে, হিন্দুরা. যে বুল্লা, বিষ্ণু, শিব প্রভৃতির পুজা করে, তাহার দ্বারা তাহারা ঈশ্বরের পুজা করে না--শয়তানের পূজা করে। শুয়তান এ সকল দেবতার ভিতরে বাস করে। এ সকল কথা নিতান্তই অসঙ্গত ও অনোৌদাধাযপ্রসূত। যাহার৷ পুত্তলিকার পূজা করে, তাহারা Fay না জানিয়াই পুত্তলিকাকে Jena স্থানীয় করিয়৷ পূজা করে। নাস্তিকতা অপেক্ষা aera ভাল ৷ Taal পক্ষে দেবদেবীর উপাসনা করা অক্র্তব্য। কিন্তু পৌত্তলিকদিগের পৌস্তলিকত৷ পাপকর্ম নহে, তাহ! কেবল ভ্রম মাত্র।”