জনসভার সাহিত্য | Janasabhar Sahitya

পেট্রনের যুগ a সভাকবির Bea মর্যাদা ‘ae’ ছিল না। তবু এঁরা সকলেই পেট্রন-পালিত ছিলেন, পেট্রনের দৃষ্টিতে বাইরের জগৎটাকে দেখতেন, পেট্রনের মেজাজ ও রুচি অনুযায়ী গাথা ও কাব্য রচনা করতেন এবং তার Wey পেট্রনের দেওয়া বৃত্তিভোগ করে জীবন- ধারণ করতেন । গাথা ও কাব্য তখন Hsia US হত না, বইয়ের দোকানে দোকানে বিক্রিও হত না। প্রকাশকরা তখন ছিলেন না, লেখক বা কবির] তখন 'রয়াল্টি'ও পেতেন না। 'রয়াল” যুগে 'রয়াল্টি' বলে কিছু ছিল না, ছিল একমাত্র “aaa । সত, স্তুতিগায়ক বা কবি মাত্রই রাজসভায় স্থান পেতেন না। রাজসভায় স্থান পাওয়াও সহজ ছিল না। তার জন্য অনেক ঠেলাঠেলি করার প্রয়োজন হত । ধারা স্থান পেতেন তাঁরা ভাগ্যবান, তাঁদের সংখ্যা নিতাস্তই নগণ্য। যারা স্থান পেতেন না, তাঁদের সংখ্যাই ছিল বেশি। তারা কি করতেন? বাইরের লোকসমাজডে তীর ঘুরে-ঘুরে বেড়াতেন। গ্রামে-গ্রামে উৎসবপা্বণে, মেলায়-মেলায় তারা কবিগান করে বেড়াতেন | কিসের গান? এ রাজসভার কবিদের রচিত গান। নিজেদের রচিত গান হলেও, তার মধ্যেও রাজস্তুতি ছাড়া অন্য কিছু থাকার উপায় ছিল না। ভাড়ের মতো একটু-আধটু সামাজিক ব্যঙ্গ-বিদ্রপ করার, তামাসা-রসিকতা করার হয়ত স্থযোগ ভার] কিছু পেতেন এবং তার মধ্যে সমাজের যংসামান্ত বাস্তবরূপও প্রতিফলিত হত। রাজসভার কবিদের কাব্যেও যে FS না, তা নয়। ভারতচন্দ্রের কাব্য প্রধানত কফ্ণচন্দের WIAA জন্য রচিত হলেও, তার মধ্যে তখনকার সমাজের আচার- ব্যবহার, রীতিনীতি, ধ্যান-ধর্মাদির পরিচয়ও কম নেই। কিন্তু সেকথা স্বতন্ত্র ৷ বাইরের লোকসমাজে যারা কবিত্বশক্তির পরিচয় দিয়ে জীবিকা! অর্জন করতেন, তারাও রাজসভার পরিবেশ থেকে একেবারে মুক্ত ছিলেন না। রাজস্তুতি প্রাণের দায়ে তাদেরও করতে হত, যদিও রাজবৃত্তি হয়ত SA পেতেন না সকলে। কারণ যে-রাজার বা যে-জমিদারের রাজ্যে ভার] বাস করতেন এবং যে-য়ুগে বাস করতেন তাতে স্বাধীন মনোভাবের বিকাশ হতে পারে না। বিকাশের AI সম্ভাবনাও ছিল না তখন । স্বাধীন লেখক বা স্বাধীন কবি তখন কল্পনাতীত ব্যক্তি ছিলেন। কথায়- কথায় রাজদ্রোহিতার অভিযোগে যখন sere দেওয়া হত, তখন গ্রাম্য কবির UGH জাহির করার কোনো স্পর্ধা থাকা সম্ভবপর নয়। পেট্রনের যুগের এই হ্ল প্রকৃত রূপ। সেইজস্যই সমাজবিজ্ঞানী শুশ.কিং বলেছেন যে, ‘The world is seen through the spectacles of the feudal lord ; there is no feeling for the little man and no respect for physical Jabour.’