প্রেমেন্দ্র মিত্রের শ্রেষ্ট গল্প | Premendra Mitrer Shreshtha Golpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
¥ প্রেমেন্দ্র মিত্রের শ্রেষ্ঠ গল্প GAT শুধু আনন্দের থণ-শোধ, মনুযাত্বের গৌরবের যূল্যদান। তার বেশি কিছু নয়। জীবন শুধু মন্থর স্রোতে হালকা নৌকোর মতো ASS সহজে ভেসে যাবে ভেবে ত সে বিয়ে করেনি। জীবনের অগ্নিপরীক্ষা, বিবাহের দায়িত্ব অনেক কথাই সে যে আগে ভেবেছে | তবু ay যেন আর শোধ হতে চায় না। ছবির দিকে সে ভালে৷ ক'রে আজকাল চাইতে পারে না। গলার SS দেখা যায়, চোয়ালের হাড় ঠেলে উঠেছে। পরিশ্রমে ছুর্ভাবনায় উনিশ বছরের মেয়ের মুখে যেন উনপঞ্চাশ বছরের ক্লাস্তি! থোকা ত দিনের পর দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে । ডাক্তার সেদিন হঠাং একবার নিজে থেকে এসেছিল । গাড়ি থামিয়ে দরজার কাছে পা ফাক ক'রে দাড়িয়ে ওয়েস্টকোটের ছু'পকেটে দু'হাতের WI আঙুল গুজে একটু সাম্নে ঝুকে, পরম আত্মীয়ের মতো FRI অন্থযোগের কণে ব'লে গেল, “আপনারা এখনে চেঞ্জে নিয়ে যাননি ! নাঃ, আপনারা ছেলেটাকে বীচতে দিলেন না দেখছি !” ডাক্তার যেতে ললিত বললে, “কিন্তু ডাক্ত'র আমাদের একটু ভালোবাসে, দেখেছ ছবি ? ঠিক ব্যবসাদারি আমাদের সঙ্গে করে না। না?” ডাক্তারের সহ্‌দয়তার আলোচনায় খানিকটা সময় বেশ কাটল । ললিত মনে মনে প্রতিজ্ঞা! করলে, দু'এক দিনের মধ্যে যা-হোক-ক'রে টাকার জোগাড় সে করবেই | ছবি অন্য দিনের চেয়ে যেন একটু HF feet “কলের জল বুঝি যাবার সময় হ'ল” ব'লে কাজে গেল। সমস্ত সংসারের ওপর যে বেদনার গুরুভার চেপে ছিল, সেট] যেন অনেকটা হালকা ইয়ে গেল সামান্য একটি মানুষের ক্ষণিকের অভিনয়ে | কিন্তু সে কতক্ষণ আর ! আবার রাত্রি আসে। ললিত শ্রান্ত হতাশ হয়ে ঘরে ফেরে । শিশু নিয়মিত বায়না ধরে। মার আচল চেপে শুয়ে থাকে, মাকে সে ছেড়ে দেবে না। “রান্না-বান্না কিছু করতে হবে না আমার ? এমনি বসে থাকলে চলবে ?” — ছবি জোর ক'রে চলে যাবার চেষ্টা করে। শিশুর কান্নায় কাতর হয়ে ললিত বলে, “থাক্‌ ot, আমি না-হয় যা হোক বাজার থেকে কিছু কিনে আনছি। তুমি বোসোে ওর কাছে ।” “হ্যা, এই জল-কাদায় আপিস থেকে দু'কোশ পথ হেঁটে এলে, আবার



Leave a Comment