শাক্ত পদাবলী | Sakta Padabali

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অবতরণিকা Li শক্তিতত্ত্বের ইতিহাস ।। অষ্টাদশ শতাব্দী ও তার পরবর্তীকালে esq কেন্দ্র করে শাক্ত পদাবলী রচিত হলেও শক্তিতত্ত্ের একটি ধারা Je প্রাচীন যুগ থেকে ভারতীয় জীবন, সভ্যতা ও এঁতিহ্য সাধনায় প্রবহমান ছিল। ভারতীয় সাধনায় দুটি ধাবা লক্ষণীয়--একটি পুরুষপ্রধান ; অপরটি মাতৃপ্রধান। মহেঞ্জোদাড়ো ও হরপ্পায় আবিষ্কৃত সভ্যতা ভারতবর্ষের প্রাচীনতম সভ্যতা এবং এই প্রাগার্য সভ্যতার নিদর্শন স্বরাপ যে সকল স্ত্রীমূর্তির সন্ধান পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে অনেকগুলিই মাতৃদেবীমূর্তি। অধ্যাপক কুঞ্জগোবিন্দ গোস্বামীর প্রাগৈতিহাসিক মোহেন্‌-জো-দাড়ো acy বিভিন্ন মতের সামঞ্জসা সাধন করে বলা হয়েছে-_“মোহেন-জো-দাড়ো ও AAS অসংখ্য মৃন্ময়ী মূর্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে। .. সিদ্ধু উপত্যকা এবং বেলুচিন্তানে মৃন্ময়ী মূর্তির মতো অনেক মূর্তি পারস্য, এলাম, মেসোপটেমিযা, Esra, এশিয় মাইনব, সিরিযা, পালেস্টাইন, সাইপ্রাস, Bw, বলকান উপদ্বীপ এবং ঈজিপ্ট প্রভৃতি দেশেও দেখিতে পাওয়া যায়। তবে ভারতবর্ষে মাতৃকামূর্তির পূজা যেমন প্রাচীন ও সর্ববাপী, পৃথিবীর অন্যত্র সেঝকপ আর দেখা যায় নি।””* উক্ত সভ্যতায় প্রথম মাতৃপূজাব ধাবা লক্ষ করা যায়। অবশ্য প্রাচীন মানবসভ্যতার সর্বত্রই এই প্রবণতা দেখা যায় ; প্রাচীন carer মাতৃদেবী মূলত চন্দ্রদেবী, তিনিই আবার পৃথিবী দেবী। প্রাচীন জার্মানদের নের্থাস wats ছিলেন পৃথিবী মাতা, প্রাচীন গ্রীক মাতৃদেবী র্হীও পৃথিবীদেনী ছিলেন। রোমানদেবী সিবিলিও পৃথিবীদেবী। “পৃথিবীর প্রাচীন মাতৃপূৃজার ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখা যায়, ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী বহু দেশে প্রাচীনকালে মাতৃদেবী ও তাহার পূজার প্রচলন ছিল। Hows aa দেবী, এশিয়া মাইনরের সিবিলি, ইজিপ্টের Bata, আইসিস প্রভৃতি প্রাচীন মাতৃদেবীব এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যাইতে পারে। ***ভূমধ্যসাগরস্কিত AAG দ্বীপে এক সময়ে সিংহবাহিনী এক পার্বতী (পর্বতবাহিনী) দেবীর aren প্রচলিত ছিল তাহার নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। ভূমধ্যসাগরীয় এই সকল অঞ্চলে ভূ-খননের ফলে বহু প্রাচীন নারীমূর্তিও আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই নারীমূর্তির প্রাধান্যও একটা মাতৃপূজার প্রচলনই সূচিত করে বলিয়া গৃহীত হইয়াছে I"? ভারতবর্ষেও মাতৃদেবীর মূর্তি হল মাতা পৃথিবীর মূর্তি। অতএব সভতার সেই আদিতম স্তর থেকেই 'মাতৃকা- মূর্তির পূজা প্রচলিত। ভারতবর্ষের অন্-আর্য জাতি গোষ্ঠীর দ্বারা offeror মাতৃকাদেবী হলেন শসা ও প্রজনন শক্তির প্রতীক পৃথিবী-মাতা--একথা নৃতত্তববিদ্রা আমাদের জানিয়েছেন। ভারতবর্ষের অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় গোষ্ঠীর লোকেরা মাতৃ-উপাসক ছিলেন। এমনকি মোঙ্গল জাতি গোষ্ঠীর লোকেরাও মাতৃ-উপাসক। মাতৃ-উপাসনার প্রবর্তক যে অন্-আর্য জাতি গোষ্ঠী তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। পরবর্তীকালে নানা জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আদান-প্রদানের ফলে MSHA কোথাও উন্নত, কোথাও অবনত, কোথাও বা সমীকৃত হয়েছে, আবার কোথাও বা নব MAMTA লাভ করেছে। আর্য সমাজ পুরুষকেন্দ্রিক হওয়ায় আর্য ধর্মে পুরুষ দেবতার প্রাধান্য। যেমন-_ ইন্দ্র, সূর্য, মরুৎ, CH, বরুণ, অগ্নি। কিন্তু তবৃও বৈদিক সাহিত্যে পৃথিবীর মাতৃ দেখধীরাপের বর্ণনা আছে। বৈদিক সাহিত্যে প্রাণদায়িনী, অন্নদায়িনী, স্তন্যদায়িনী মাতা রাপেই পৃথিবীর স্তব কবা হয়েছে এবং বলা হয়েছে--'পৃথিবী আমার wer খথ্বেদে যে পৃথিবীমাতা wo ও are হলেন M@ শাক্ত-১



Leave a Comment