সেরা লেখিকার সেরা গল্প | Sera Lekhikader Sera Galpa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গহনা ৫ ভাবিনী ফুঁপাইয়া কাঁদিয়া উঠিল। গৃহিণী সজলনেত্রে, APRs আগ্রহে তাহাকে বুকের মধ্যে টানিয়া বলিলেন, -_“মা আমার, তুই আমার বুকে আয়, তোকে বুকে করে আমার প্রাণ জুড়োক | তুই আমার মেয়ে, আমার নলিনের সঙ্গে তোর বিয়ে দেব ।” গৃহিণী এই বলিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে পুনঃ পুনঃ তাহার মুখ চুম্বন করিতে লাগিলেন। যদিও অনেক দিন হইতে ভাবিনী ও নলিনীর মাতা পরস্পরকে বেয়ান বলিয়া ডাকিয়া আসিতেছেন, কিন্তু এতদিন তাহা কেবল রঙ্গের সম্বোধন বা পাতান সম্পর্ক বলিয়াই গণ্য হইত। পুত্র কন্যার বিবাহের কথা প্রকৃত প্রস্তাবে ইহার ATH CPAs পাড়েন নাই। ভাবিনীর পিতামাতা নানা স্থানে পাত্র দেখিতেছিলেন, তবে এ পর্যন্ত একটিও মনের মত পান নাই, তাই ভাবিনী এখনও অবিবাহিতা রহিয়াছে তাহারা কিছু ধনী নহেন, ইহার উপর এক বিলাত- ফেরত আত্মীয়কে দলে লইয়াছেন-_এই জন্য তাহাদের পক্ষে সুপাত্র মেলা একটু কঠিন হইয়া দাঁড়াইয়াছে; সুতরাং বিহারী বাবুর স্ত্রী যখন নিজে হইতে ভাবিনীকে পুত্রবধূ করিতে চাহিলেন তখন তাহার পিতামাতা সানন্দে এই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন;-_-অমন সিবিলিয়ান জামাতা লাভ করা ত সৌভাগ্যের কথা। বিবাহের পাকাপাকি সম্বন্ধ স্থির হইবার আগে বিহারী বাবু কেবল কুণ্ঠিতচিত্ত হইয়া একবাব FRACS বলিলেন, “ছেলে আসিয়া যদি বলে বিবাহ করিবে না? আমি বলি সে আসা HAG সবুর করা যাক্‌!” গৃহিণী একথা একবারেই অগ্রাহ্য করিয়া দিলেন, তাহার অমন সোনার ছেলে সে নাকি কথার অবশ হয়! আর সবুর করিতে গেলে ওরা মেয়ে রাখিবে কেন? অমন সুন্দর মেয়ের ত আর বরের ভাবনা নাই, লাভে হতে শেষে অমন মেয়ে তাহাদেরি হাত ছাড়া হয়ে যাবে। যেমন হইয়া থাকে, এইরূপ স্থলে কর্তাদেরই শেষে হার মানিতে VA | বিশেষ এই শোকের সময় গৃহিণীর কথা অমান্য করিয়া Ciara ব্যথিত চিত্তে ব্যথা দিবার পরিবর্তে নিজের আপত্তিটি অযুক্তিসঙ্গত মনে করিয়া ত্যাগ করাই তিনি যুক্তিসঙ্গত জ্ঞান করিলেন। ভাবিনী বাক্দত্তা হইয়া রহিল, কেবল তাহাই নহে, বিবাহের পূর্ব্ব হইতেই সে তাঁহাদের নিতাস্ত আপনার হইয়া দীড়াইল। গৃহিনী ভাবিনী ও তাহার মাকে প্রায়ই নিমন্ত্রণ করেন এবং তাহারা আসিলে ভাবিনীকে আর দুই চারি দিনের মধ্যে বাড়ী ফিরিতে দেন না। যে কয়দিন সে কাছে থাকে তাহাকে খাওয়াইয়া পরাইয়া, তাহাকে আদর করিয়া পুত্রের বিরহ, কন্যার শোক ভুলিয়া থাকেন | আর সে কাছে না থাকিলে তাহার জন্য জিনিস পত্র কিনিয়া তাহাকে লইয়া সাধ আহ্লাদ করিবার আয়োজন করিয়াই ASS থাকেন। চুড়িওয়ালা, খেলানাওয়ালা, তাতিনী ইহারা তীহার বাড়ী আসিয়া কেহ আর শূন্য-হস্তে ফেরে AT! কোন একটা ভাল জিনিস দেখিলেই বউয়ের জন্য তিনি কিনিতে চান, কিনিতে না পারিলেই দীর্ঘ নিশ্বাস পড়ে। কাহারও কোনরূপ নূতন সাজ বা নূতন গহনা কি নূতন রকম সাড়ী জামা দেখিলে তখনি গৃহিণীর মনে হয় বৌমা এইরূপ সাজিলে তাহাকে কেমন মানাইত! নিত্য নতুন ফরমাস যোগাইয়া কর্তা ত আর পারিয়া উঠেন at কাজেই অন্য পাঁচ জনকেও গৃহিণীর ফরমাসের ভার বহিতে হয়। একদিন নবীনের মা মেয়েকে সঙ্গে লইয়া গৃহিণীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়া ছিলেন, গৃহিণী বলিলেন, “ঠাকুরঝি, তোকে ভাই মেয়ে নিয়ে পরশু একবার আস্তেই হবে! পরশু ভাবিনী আসবে, তোর মেয়ে যেমন জাল দিয়ে চুল বেঁধেছে, অমনি করে তার চুল বেঁধে দিবি। বুঝলিনে ছেলে বিলেত থেকে আস্বে-_আমাদের পুরোনো সাজ গোজ তো চলবে না, TOA রকম শিখে রাখি, এলে cal বেঁধে দিতে হবে ।”



Leave a Comment