দিনের প্রথম আলো | Diner Pratham Alo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভোলাবাবু এবার রোহিণীকে বলে, . --তুই তো কাব, গান-টান লিখিস, আমার ছুটির দরখাস্তটা লিখে দে। রোহিনী কবিতা, গান-টান oma লেখে। রোহিণী বলে, --কী লিখবো? কাঠাল es কিলিয়ে বড়বাবুকে খাওয়াবার জন্য, রসখাজ্া কাঠাল? কাঁঠালের ইংরাজি কি রে? মিছরি বলে,-_জ্যাকফ্ট। লিখে দে, পাঞ্চিং জ্যাকফুট টু রাইপ...... ভোলাবাবুই গর্জে ওঠে, থাক, থাক, তোদের আর লিখতে হবে না। ভোলা CHAS ইংরিজি জানে, তোদের শিখিয়ে দিতে পারে। ভোলাবাবু এবার কয়েকখানা কাগজ নষ্ট করে দরখাস্ত তৈরি করে দেয়. রমেণশণাবুর সহকারী ভূধরবাবুকে। -_-নিন ছুটির দরখাস্ত। "ভোলা carne ইংরিজি জানে। দরখাত্তখানা মিছরিই হাতিয়ে নিয়ে পড়ে,_স্যার, আই ম্যাম দি ওনলি হাসব্যান্ড অফ মাই ওয়াইফ। সি ইজ ভেরী ইল। মিছরি বলে,-_-ভোলাদাই বৌদির ওনলি হাজব্যান্ড। তাই তো ভোলাদা........ ভোলাদা এবার খিচিয়ে ওঠে, --খবরদার একদম যা তা বলবি না! আমার বৌকে নিয়ে ইয়ারকি! বড়বাবু শুনুন! " মিছরি বলে,--তৃমিই লিখেছো এখানে, আর বললেই দোষ? রোহিনী বলে,-_থাম এবার মিছরি। সমীর দীর্ঘ Als মাস পরে গ্রামে আসছে। তখনও দুর্গাপুর ছিল অরণ্যঘেরা একটা yg স্টেশন। এদিকে কিছু খড়ের চালের দোকান। দু'একটা পাকা বাড়ি, ওই হাটতলা--তারপর শুরু হয়েছে বনভুমির। স্টেশনে. নেমে সমীর মাঠ পার হয়ে আসে দামোদর নদীর ধারে। এখন বিস্তীর্ণ বালুচর। মাঝে হাটুভোর জল, বয়। তারপর আবার বালিচর ভেঙে এদিকে গ্রামসীমা। বট, আম গাছের নিচে খড়ের চালের দোকান। মুড়ি চপ মণ্ড মেলে । এখান থেকে খোয়াঢালা পথটা গছে সদর শহর বাঁকুড়ার .দিকে। খান দুয়েক ASS মার্কা বাস চলে তাদের aferri | বাস না থাকলে হাঁটতে হয় মাইল দশেক HA) কারণ বাস কখন চলবে, Feel TH "হবে তা কেউ জানে না। সমীর কলকাতা থেকে ভাইবোনদের জন্য জামাপ্যান্ট, মায়ের জন্য কাপড় এনেছে। তা ছাড়া টুকিটাকি জিনিসে ব্যাগ বোঝাই। এপারে এসে শোনে বাস TH! ময়রা মাসি বলে,--কাল থেকে মুখপোড়ারা আসে নি শো! মান্যের কত FB বল দিনি। জ্লটল খেয়ে হাটা দাও. আর বণ করবে। ‘ মুড়ি আর Ter দিয়ে জল CAT এবার ওই ব্যাগ ঘাড়ে করে হাটতে শুরু করলো waa সঙ্গে আশপাশ গ্রামের দু'চারভজনও রয়েছে। . বৈকাল নামছে। সঙ্গীরা যে যার পথ চলে গেছে। সমীর একাই চলেছে। আসুড়ের হাট- তলা পার হতে চোখে গড়ে তাদের গ্রামসীমা। কাছিমের পিঠের মত মাঠগুলো নেমে গেছে আবার উঠেছে frome | রুক্ষ তাম্রাভ প্রাম্তরের পাশে তাদের গ্রাম। আমবাগান তালবাগান ' ২০



Leave a Comment