ভারতের লোককথা [সংস্করণ-১] | Bharater Lokekatha [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ব্রহ্মরাক্ষস সানুভূতির কাছে এগিয়ে গেল, তাকে তার নাম এবং ঠিকানা ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করল। সানুভূতি তাকে নাম ও গ্রামের নাম বলল্গ। ব্রহ্মারাক্ষস সানুভূতিকে বলল যে, ASS যে গ্রামের নাম বলল, সেই গ্রামে একটা ভয়ংকর মেয়েছেলে থাকে-_ তার মারের চোটে কাহিল হয়েই সে সেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। সে বিস্মিত হয়ে বলল, যে গ্রামে "ওই উগ্রচণ্ডা মহিলা বাস করে, সেই গ্রামে সীনুভুতির মতো গোবেচারা, ঠাণ্ডা গোছের লোক বাস করে Baar সানুড়ুূতি ব্রহ্মরাক্ষসকে চিনতে পারল, তখন সে ভয়ে ভয়ে তাকে বলে Ws প্রভূ, যে ডুমুর গাছটায় আপনি বাস করতেন, সেই ডুমুর গাছটাকে দড়ি দিয়ে যে মেয়েমানুষটা পিটুনি দিয়েছে, সে-ই আমার স্ত্রী। ওই মহিলা প্রতি রাত্রেই আমাকে দড়ি দিয়ে পেটার। আমার পিঠটা দেখুন; কী রকই কালসিটে পড়ে গেছে! এই বলে সানুভূতি ব্রশ্মারাক্ষসকে তার পিঠটা দেখাল। সারা পিঠে কালসিটে আর দড়ির দাগ দেখে ব্রহ্ম্মরাক্ষস ভয়ে শিউরে উঠল। ব্রাহ্মণের প্রতি করুণাপরবশ হয়ে ব্রহ্মরাক্ষস বলল 2 বামনির হাতে রোজ এভাবে পিটুনি খাও, তবু ওর সঙ্গে বাস কর কেন? কেন ওকে পরিত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাও না? ওর কাছে থেকে কী সুখ পাও? আমি মাত্র একটা দিন ওর মার খেয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছি, আর তুমি দিনের পর দিন ওর মার সহ্য করে যাচ্ছ? বলিহারি তোমার Azer! সানুভূতি বলল ? মশাই, আমি কি সাধ করে ওর মার সহ্য করি? ও না হলে আমায় রেঁধে দেবে কে? আমি দরিদ্র হতভাগ্য ব্রাহ্মণ। তিনকুলে আমার কে আছে? এই বলে সে কাঁদতে লাগল। ব্রহ্মরাক্ষস বলল £ বেচারা! AE, আমার কথা শোন। কেঁদো না। তোমাকে আর বাড়ি যেতে হবে না। যা বলছি, মন দিয়ে শোন। কাছেই বনদ্বর্গা বলে একটা শহর আছে। সেখানে দুর্গাদত্ত নামে এক ব্লাজা আছে, তার একটিমাত্র মেয়ে। আমি তাকে WA? করব। তার রক্ত চুষে water পরিণত করব। তুমি কদিন পরে সেখানে আসবে । বলবে-_-আমি ভূত ছাড়াতে জানি। রাজাকে বলবে-_যদি আমাকে কিছু ভূ-সম্পত্তি দান করেন, তাহলে আমি আপনার মেয়েকে ভালো করে দেব। রাজা প্রতিশ্রুতি দিলে তুমি রাজকন্যার কাছে এগিয়ে গিয়ে তার কানে কানে বলবে-_আমি সেই ব্রাহ্মণ, যার বউ রোজ তাকে দড়ি দিয়ে পেটায়। তৎক্ষণাৎ আমি রাজকন্যাকে ছেড়ে চলে যাব। তুমি ধনী হবে, তারপর একটা ভালো শাস্ত প্রকৃতির মেয়েকে বিয়ে করে সুখে বসবাস করবে। এই বলে ব্রহ্মারাক্ষস হঠাৎ অনস্তর্ধান করল; আর বাড়ি না গিয়ে সানুভূতিও অন্য গাঁয়ের পথ ধরল। সেই MS TAA] রাজকন্যাকে Wa’ করল। রাজকন্যা প্রচণ্ড She একটা চিতকার করে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে নীচে পড়ল। স্ত্রীর চিৎকারে তার স্বামীও জেগে গেল। হঠাৎ কী হল, Wall-E ভাবতে লাগল £ রাজকন্যা অমন করে টেঁচিয়ে উঠল কেন? শুধু তাই নয়, যেই সে রাজকন্যার কাছে এগিয়ে গেল, অমনি সে তাকে কামড়ে-খামচে দেওয়ার ভাব করে তার দিকে ছুটে এল। সে বেচারা কোনো-রকমে তো পালিয়ে বাঁচল, এবং সঙ্গে সঙ্গে রাজকন্যার বাবা-মাকে গিয়ে সবকিছু খুলে বলল। ১৮ @ ভারতের লোককথা



Leave a Comment