কলিকাতায় নবকুমার | Kalikatay Nabakumar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২০ কলিকাতায় নবকুমার বসা পনেরো মাঝেমধ্যেই শরীর বীঁকাচ্ছে, বোধহয় অচেনা লোক পাশে বসে থাকায় তার ঘুম আসছে না। নবকুমার কামরার অন্য প্রান্তে তাকাল। সেখানেও ঘুম। কিন্তু বেঞ্চির একটুখানি খালি হয়েছে। ওখানে বসলে স্বচ্ছন্দে জানলায় মাথা রাখা যায়। নবকুমার সম্ভর্পণে ওঠার চেষ্টা করতেই উঃ শব্দটি উচ্চারণ করতে বাধ্য হল। তার ডান পায়ের জুতোর ওপর প্রচণ্ড জোরে পায়ের চাপ রেখেছে পনেরো, রেখেই পা সরিয়ে নিয়েছে। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হল নবকুমার। চোখ বন্ধ, যেন গভীর ঘুমে তলিয়ে গিয়েছে। নবকুমার অনুমান করল ব্যাপারটা নেহাতই দুর্ঘটনা। হঠাৎ হয়ে গিয়েছে। জেনেবুঝে কেন পনেরো তার পায়ের ওপর এত জোরে চাপ দেবে? কিন্তু মেয়েটা একটু আগেও ঘুমোয়নি বলে তার মনে হচ্ছিল। নবকুমার আবার ওঠার চেষ্টা করতেই গোড়ালির কাছে লাথি খেল। সে অবাক হয়ে পনেরো বছরের দিকে তাকাল। চোখ বন্ধ, মাথা এখন তার Haft কাঁধে ঘুমে এলিয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় কী করে লাথি মারছে? হঠাৎ খেয়াল হল নবকুমারের, কেউ-কেউ ঘুমাবার সময় পা ছোঁড়ে। এর বোধহয় সেইরকম অভ্যাস আছে। খুব খারাপ অভ্যাস। সুয়ে যারা পা ছৌঁড়ে তারা বসেও নিশ্চয় শাস্ত থাকে না। অস্তত এই পনেরো বছরের মেয়ে তো নয়ই সেটা বোঝা যাচ্ছে। নবকুমার আর উঠতে সাহস পেল না। দু-দুবারের লাথির আঘাত তার পায়ে বেশ টনটনানি তৈরি করেছে। সে ঘুমোবার চেষ্টা করল। প্রায় ঘণ্টাখানেক বাদে যখন তার চোখে জব্বর ঘুম তখনই কথাগুলো কানে যাওয়ায় সে সম্বিত ফিরে পেল্ল। পনেরো পঁয়ত্রিশকে কিছু বলছে কিন্তু পঁয়ত্রিশ সেটা কানে তুলছে না। পনেরো বলল, VA না, আমার একা যেতে ভয় করছে।” 'আমার ঘুম পেয়েছে। এই ঘুম ভেঙে গেলে সারারাত জেগে কাটাতে হবে। পরঁয়ত্রিশ ঘুম জড়ানো গলায় বলল। “তাহলে আমি কী করব?” Sree গলা পনেরোর। “অন্য কাউকে বল।' তারপর মিনিট খানেক চুপচাপ। নবকুমার চোখ খুলে দেখল পুরো পরিবার ঘুমে কাদা হয়ে আছে একমাত্র পনেরো ব্যতিক্রম। চোখাচোখি হতেই পনেরো বলল, 'আমার সঙ্গে যেতে AA!’ “কোথায়?” নবকুমার ঘাবড়ে গেল। “আমি বাথরুমে যাব। ওঠা হোক।” পনেরো উঠে দাঁড়াল। 'আমার বাথরুম MA অসহায় গলায় বলল নবকুমার। “আঃ | আমি বলছি আমার কথা আর ইনি নিজের কথা ভাবছেন। এই রাত্রে একা একজন মেয়ে দামড়া-দামড়া পুরুষদের সামনে দিয়ে বাথরুমে যেতে পারে? আমার পেছন-পেছন আসা CAH পনেরো আসনগুলোর ফাঁক দিয়ে এগোতে নবকুমার বাধ্য হল অনুসরণ করতে। একেবারে শেষ প্রান্তের দুপাশে দুটো টয়লেট। টয়লেটের দরজা বন্ধ। পনেরো বলল, 'আচ্ছা হাঁদা তো। খুলে দেখা হোক ভেতরে কেউ আছে কি at?’ নবকুমার দরজা ঠেলল। উঁকি মেরে দেখল, সেখানে কেউ GS! সে মাথা নেড়ে বলল, “না নেই। তাহলে আমি যাই! দ্রুত মাথা নাড়ল পনেরো, 'না। একদম A বলে ভালো করে নবকুমারকে দেখতে লাগল। নবকুমার অস্বস্তিতে মুখ ঘোরাল, এত বাথরুম পেয়েছে যার সে কী করে দাীঁড়িয়ে-দীড়িয়ে সময় নষ্ট করে। দেখা শেষ করে পনেরো চারপাশে তাকাল। কিছু দেহাতি মানুষ খানিকটা দূরে ট্রেনের দুলুনিতে অচেতন। সে ফিক করে হাসল।



1 thought on “Kalikatay Nabakumar”

Leave a Comment