মহাকাল বলছি [সংস্করণ-২] | Mahakal Balchi [Ed. 2nd]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ধর্মীয় গুরুরাও বলে থাকেন সৃষ্টি কর্তাই তার খেয়াল বশে একদিন এ বিশ্ব সৃষ্টি করেছে। হিন্দু ধর্ম মতে SAS আদি, FAS এসব সৃষ্টির মূলে | তার মধ্যে শব্দ ব্রহ্ম আদিতম। অপরদিকে ইসলাম ধর্মমতে নূর বা আলোই হলো সৃষ্টির আদিতম। পাঠকগণ নিশ্চয় অবগত আছেন বিদ্যুৎ চমকালে বা কোন বিস্ফোরণ ঘটলে শব্দ ও আলো একসাথে সৃষ্টি হয়। আলোর গতি শব্দের চেয়ে বেশী বলে আলোকে আগে দেখা যায়। তারপর শব্দ শোনা যায়। মহাবিস্ফোরণ WAST সাথে এ সকল ধর্মীয় অনুশাসনের সায়ুজ্য আছে বলে তত্ত্বটিকে সার্বজনীন স্বীকৃতি দিতে ধর্মভীরুরা দ্বিধা বা সংকোচ করেননি। বেতার গুঞ্জনের তীব্রতার মাপ হিসাবে বিজ্ঞানীরা সাধারণতঃ সমতুল্য তাপমাত্রা ব্যবহার করে থাকেন। পেনজিয়াস ও উইলসন যে বেতার গুঞ্জনের আবিষ্কার করেছিলেন তার সমতুল্য তাপমাত্রা ছিল ২.৫ থেকে ৪.৫ ডিগ্রী কেলভিন। তবে এ ORAS মাঝামাঝি সময়ে মহাবিস্ফোরণ অর্থাৎ সম্প্রসারণ তত্ত্বের একটি বড় Blo বিজ্ঞানীদের দারুনভাবে ভাবিয়ে তুলে। VE অনুযায়ী গ্যালাকসীগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে VCH | যতই দূরে যাচ্ছে ততই তাদের গতি বাড়ছে। গতি বাড়তে বাড়তে একসময় আলোর গতিকেও ডিঙিয়ে ara | a কিনা আইনষ্টইলীয় পরিমণ্ডলে অসম্ভব। কারণ কোন বস্তু যদি আলোর চেয়ে বেশী গতিবেগে পৃথিবীর উল্টোদিকে ছুটতে থাকে, তখন পার্থিব কোন যান্ত্রিক বাবস্থা দ্বারাই তাদের পর্যবেক্ষণ সম্ভব নয়। অথচ আইনটষ্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ অনুসারে কোন বস্তুরই আলোর চেয়ে বেশী গতিবেগ থাকতে পারে AN! মহাবিস্ফোরণ বা সম্প্রসাবণ তত্র এ অসংগতি থেকে এক ASA তত্ত্বের জন্ম নিল। ১৯৬৫ সালে অধ্যাপক স্যান্ডাজ ঘোষণা করলেন---“এ বিশ্বরম্মাণ্ডের সম্প্রসারণ হচ্ছে, সংকোচন হচ্ছে. সৃষ্টি হচ্ছে, লয় হচ্ছে, আবার নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে.” তাই এবিশ্ব স্পন্দনশীল। আর তত্ত্বটেরনাম হল “স্পন্দনশীল বিশ্ব WE" স্যান্ডাজের মতে বিশ্বের বয়স এখন ১০ হাজার কোটি বৎসর এ'সম্প্রসারণ চলবে | তারপর গ্যালাক্সিগুলোব ছুটে চলার শক্তি ফুনিয়ে যাবে | শুরু হবে সংকোচন, লয় পাবে তার আগের সৃষ্টি। আবার একদিন নতুন সৃষ্টি হবে। এমনিভাবে অনাদিকাল ধরে চলতে থাকবে প্রসারন, সংকোচন আর লয় ও সৃষ্টির খেলা স্যান্ডাজের এ সৃষ্টি-তত্ত্ব বৈদিক তত্ব “কম্পমান বিশ্বের” অনুরূপ। AUS Ered প্রতিপাদ্য বিষয়ও হল ATS, স্থিতি, লয়। এ'সকল তত্ত্র ও তথ্যের MATH প্রমাণ করা যায় PATA একটা প্রাকৃতিক নিয়মে সুষ্ট। এটা কোন আদিভৌতিক ব্যাপার নয়। তবে প্রায় একই নিয়মে আমাদের সৌর জগৎ সৃষ্টি হলেও অন্যান্য নক্ষত্র সৃষ্টি ও বিবর্তন প্রক্রিয়া থেকে আমাদের সৌর জগৎ সৃষ্টি প্রক্রিয়। একটু ব্যতিক্রম | এতে কিছুটা জটিলতাও লক্ষ্য করা যায়। এ'নিয়ে আড়াইশো বছর ধরে নানা মতবাদ গড়ে উঠেছে | তবে পরিবর্তিত ক্যান্টল্যাপ্লাসের Cals অধিক গৃহীত। এ তত্ত্ব অনুযায়ী পুরো সৌর জগতের সৃষ্টি একটি নীহারিকা থেকে। আর্দি অবস্থায় এ'নীহারিকা ছিল হাইড্রোজেন ও সামান্য হিলিয়াম, স্বল্প পরিমাণে ভারী মৌল সিলিকেট, লোহা, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, আ্যামোনিয়া, মিথেন ও জল প্রভৃতি বরফের আকারে জমাট টুকরোয় সমৃদ্ধ। আদি নীহারিকা স্বাভাবিকভাবেই নিজের অক্ষের চাবদিকে ঘুরছিল। আবার মহাকর্ষ বলে তার সংকোচনও ঘটেছিল | STING ওরবেগের নিত্যতার সূত্রানুযায়ী সংকোচনের সাথে তার ঘূর্ণন বেগও বেড়ে চলছিল। ফলে মাঝখানে পদার্থের আধিক্য ৬



Leave a Comment