শ্রীঅরবিন্দ স্মরণে | Sriaurobinda Smarane

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ শ্রীঅরবিন্দ স্মরণে গুরুদেবের তার পেলাম £ “এসো ।” কিন্তু বন্ধুর কাছে বলি নি? 'বাউল ঝাঁপ দিয়েছে ( শ্রীমৎ অনির্বানের ভাষায় ।) শুধু বললাম Sefer ২৪এ নভেম্বর দর্শন দেবেন, তাই বাঙ্গালোর হয়ে পণ্তিচেরি প্রয়াণ। বন্ধুবর শ্রীজরবিন্দকে মহা কবি ব'লে ভক্তি ক্রতেন, তাই খুশী হলেন | হবি তো হ, সেইদিন রাতেই তার এক মিত্রের নিলয়ে থ্যাতনাম| আবদুল ক্রিমের গান। কিন্তু এ কি? তার গানে কই আর তো তেমন গভীর তৃপ্তি পেলাম না! যে-পরমানন্দ আমি আক পান করেছিলাম তাৰ পাশে আর সব আনন্দকেই আলুনি লাগত এ apie নয়- যদিও জানি আমার মতন গান পাগলের মুখে এহেন কথ শুনে বিচক্ষণের। মাথা নাড়বেন ? “The old old story’ ব'লে । কিন্তু আমার বৈরাগ্যের TH তখন আর জীবনবিতৃষ্ণা ছিল না। পটপরিবর্তন হয়েছিল-- এক অচিন আলোর আনন্দে মনপ্রাণ উদ্ভাসিত-_যাকে সাহেব পুরাণে বলে walking on air! একথার মর্ম কেবল সেই জানে যার চোখের ঠুলি খসে গেছে দৈব জ্যোতির RCH | তাই এ-আশ্চ্য আনন্দের উল্লেখ করেই থামি-_বলি কী হ'ল তার পরে সেও এক্‌ অভাবনীয় অঘটন | পণ্ডিচেরিতে Shite দর্শন আমি পেয়েছিলাম প্রথম ১৯২৭ সালের জুলাই মাসে-- ষখন আমি উঠেছিলাম আলসাসিয়” হোটেলে। Ax আমাকে সাদরে ডেকে পাঠিয়ে বলেছিলেন যোগ সম্বন্ধে TT SA | WAT ভালো লেগেছিলে। বৈ কি--কিন্তু আরো ভালো লেগেছিল তার Bey, বিশেষ ক'রে তার দৃষ্টি ও হাসি । Sin] wrti—sta যৌবনের ছবিতে ys হয়েছিলাম তার স্থযমায়। পণ্ডিচেরিতে যখন তাকে প্রথম cafe তখন তার বয়স পঞ্চাশ বছর হবে। যৌবনণী ছিল না, কিন্ত এমন মধুর মাতৃযুতি ফুটে উঠেছিল তার we যে, আমি সত্যিই অভিত্ূৃত হয়েছিলাম--আরে। এই জন্য যে, বিদেশিনীর কান্তিতে ভারতীয় মাতৃরূপ দেখব এ আমি সত্যিই ভাবতে পারি নি। তাই হয়ত (চম্কে ওঠার দরুণই ) অভিতূত হয়েছিলাম । তার সম্বন্ধে আমি বিশেষ কিছুই জানতাম না, শুধু দু'তিনটি সাধকের মুখে শুনেছিলাম তার ah eral বিভূতির ees কিন্তু আমার মন টেনেছিলেন তিনি তার মাতৃযুতির অপরূপ প্রসাদ কোনে বিভূতির গুণে নয়। তাকে প্রণাঙ ' করেছিলাম সামন্দেই--কিন্তু দেবী বলে নয়, মা বলে সানন্দে স্বীকার ক'রে। এ আমি পারব ভাবিনি কিন্ত পেরেছিলাম যে প্রথমেই এতে আমার অনেক সংশয়ই নিরস্ত হয়েছিল। Sana একটি কথা আজও কানে ace: : “আমি চাই সবাই আমাকে সহজে বরণ করবে আপনজন ব'লে” আরে! অনেক চমংকার Fe] যা তুলে গেছি, কেবল এই আত্মপ্রকাশটুকুই মনে গেঁথে গেছে।



Leave a Comment