For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)“নব গ্রন্থনা” সংস্করণের প্রকাশকের নিবেদন আমার পিতা স্বর্গত পরিমল গোস্বামী উনবিংশ শতাব্দীর অসাধাবণ প্রতিভা ব্রেলোক্যনাথ
মুখোপাধ্যায় রচিত “এ ভিজিট টু ইউরোপ' away অনুবাদ কবেছিলেন প্রায় পনের বছর
BNC | এটি প্রবাসীতে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। তার আগে এটি সাপ্তাহিক বসুমতীতে
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে হতে TH হয়ে যায়। এ সময (ইংরেজি ২০ মার্চ, ১৯৬৯)
এ পত্রিকায় এক পণ্ডিত ব্যক্তি কলকাতা-৫০ থেকে চিঠি লেখেন, সেই চিঠিটির কিছু অংশ
এখানে দেওয়া হল: “কঙ্কাবতী””র লেখক ব্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক
কিন্তু সকলেই জানি আমরা, সর্বজনশ্রদ্ধেয়রাও সময সময় এমন কিছু লিখে থাকেন, য,
শাশ্বত বা কালজয়ী হয় না। ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত ব্রৈলোক্যনাথ-এব ‘My Visit to
Europe’ ঠিক এই ধরনের একটি রচনা। দীর্ঘদিন আগে এ-বচনাব গুকত্ব নিশ্চয়ই ছিল,
কেননা উনবিংশ শতাব্দীর পাশ্চাত্য সমাজের চিত্র স্থান পেযেছিল এতে । কিন্তু আজকের
দিনে এর গুরুত্ব কতটুকু?... বাংলাদেশেব ক'জন পাঠক আজ থেকে প্রায ৭৫ বছর
আগেকার লগুনের সমাজজীবন সম্বন্ধে কৌতুহলী?” উক্ত পণ্ডিত ব্যক্তি সম্ভবত ঠিকই লিখেছিলেন। বাংলাদেশের কোনো প্রকাশকই এই
বইটি পুস্তক আকারে প্রকাশ করতে আগ্রহী হননি। পিতা নিজেই এই পুস্তকখানি তার
অন্যান্য অনেক বই-এর মতই নিজ ব্যয়ে ছেপে প্রকাশ কববেন স্থির করেছিলেন, কিন্তু
১৯৭৬ সালের জুন মাসে তার মৃত্যু হওয়ায় তাও সম্ভব হয়নি। তবে প্রকাশক আগ্রহী
না হলেও পাঠকেরা আগ্রহী হবেন এই বিশ্বাস আমাদের STI পণ্ডিত ব্যক্তিটি অবশ্যই দারুণ কথা বলেছিলেন-_সর্বজনশ্রদ্ধেযরাও সময় সময় এমন
কিছু লিখে থাকেন, যা শাশ্বত বা কালজয়ী হয় না। এবং ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত বইটি
(MOS ব্যক্তির সামান্য ভুল সংশোধন করা প্রয়োজন-_বইটি ১৮৮৯ সালে প্রকাশিত,
১৮৯৬তে নয়) সম্পর্কে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করছেন, আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর
আগেকার লগুনের সমাজ জীবন সম্বন্ধে বাংলাদেশের ক'জন পাঠক কৌতুহলী হবেন? অর্থাৎ পণ্ডিত ব্যক্তিটি মনে করেন ব্রৈলোক্যবাবুর এই বইটি মোটেই বাজারে কাটবার
মত “Tey নয়। তিনি নিজে এই বই থেকে কিছুই পাননি-_পেলেও তা উল্লেখযোগ্য মনে
করেননি। সত্যি, ৭৫ বছর আগেকার বিদেশী সমাজ সম্পর্কে একজন চিস্তাশীল বাঙালীর * প্রথম সংস্করণের (১৯৮২) সময় প্রকাশকের কথা।