বাংলার বাউল সুফি সাধনা ও সংগীত | Banglar Baul Sufi Sadhona O Sangeet

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ বাংলার বাউল সুফি সাধনা ও সংগীত দেবতাদের বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হত, পরে তার অর্থাবনতি ঘটে দেব বিরোধী অর্থ দাড়ায়। প্রাচীন ভারতে কিরাত নামে এক জনগোষ্ঠীকে খাটো চোখে দেখা হত। কিরাত দেশ বলতে ব্রহ্মপুত্র বিধৌত এলাকা পূর্ব নেপাল, ত্রিপুরা ও প্রাচীন বাংলার অনেক অংশকে বোঝাত 1 কিরাত অর্থ ব্যাধ, প্রাচীন cope বা নিমুশ্রেণির জাতিবিশেষ 1 কর্মপুরাণে পূর্ব ভারতের সব অনার্য গোষ্ঠীই কিরাত বলে চিহ্নিত | মহাভারতের ভাষ্য অনযায়ী যবন, কম্বোজ, গান্ধার প্রভৃতি উত্তরাপথবাসী অনার্য পার্বত্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কিরাতরাও কামরূপের অধিবাসী | টলেমি এদের বাসভ্ূমি রূপে কিহাদাই-এর কথা বলেছেন, তা আসলে গাঙ্গেয় উপকূল থেকে সুদূর পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। আধুনিক পণ্ডিতদের মতে বাঙালির সুবিশাল আবাসভূমি 'বঙ্গদেশ' প্রাচীনকালে বহু সংখ্যক কৌম্যগোষ্ঠীর আবাসস্থল বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল | যেমন বঙ্গ, গৌড়, সমতট, হরিকেল, চন্দ্রদ্বীপ, বঙ্গাল, Ae. বরেন্দ্র, রাঢ়, তাম্লিঙ্তি, বারক, Seq, বর্ধমান, জঙ্গল, দণ্ডভুক্তি, ঘাড়ি, নাব্য, বাজঙ্গনা, কোটিবর্ষ, শ্রাবস্তী, নবদ্বীপ, প্রাগজ্যোতিষ, পট্টিকেরা, গঙ্গাখদ্ধি, প্রাসই, মগধ, গোরক্ষপুর, ত্রিপুরা, কামরূপ, লালমাই, উৎকল, চন্দ্র, মণিপুর, seats ইত্যাদি | এসব জনপদের ভৌগোলিক সীমারেখা এক এক যুগে এক এক রকম ছিল | এক একটি কোমের মানুষ নিয়ে গড়ে উঠেছিল এক একটি জনপদ © সাধারণত জনপদের নাম হয় কোমের নাম অনুসারে | এসব জনপদ কোথায় কতখানি জায়গা জুড়ে ছিল তা বলা কঠিন | তবে প্রাচীন পুথি ও শিলালিপিতে যে সব Grae পাওয়া যায় তা থেকে পুথি-পত্র, দলিল-দস্তাবেজ, প্রত্ন-সামধণী, লোকসাহিত্য থেকে এগুলোর অবস্থান সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা করা যায় । আমরা এসব তথ্যসূত্র থেকে জনপদগুলোর ভৌগোলিক ও এঁতিহাসিক পরিচয় জানার চেষ্টা করতে পারি | প্রাচীন বাংলার জনপদ পরিচিত ইতিহাসের দৃষ্টিতে বাংলাভাষা অঞ্চলে জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পারিপার্শ্বিকতার একটি এবং মাটি বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব বৃহৎ বাংলা একটি ভৌগোলিক অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি পাবার যোগ্য । এই ভৌগোলিক অঞ্চলের প্রধান কয়টি জনপদের পরিচয় আমরা এখানে জানবার চেষ্টা করতে পারি। এই জনপদগুলো গড়ে উঠেছিল সুপ্রাচীন কালে বাংলায় বসবাসকারী ট্রাইবাল সমন্বয়ে গঠিত টোটেমিক সমাজ থেকে | এগুলো ঠিক গ্রিক নগর রাষ্ট্রের আদলে না হলেও প্রত্যেকটি জনপদে আলাদা আলাদা রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে উঠেছিল । তবে সেগুলোর সুনির্দিষ্ট সীমারেখা face আজ আর সম্ভব নয়। রাষ্ট্রীয়শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী এসব জনপদের সীমানা কখনো বেড়েছে কখনও কমেছে । বিভিন্ন পুথিপত্র, সহিত্য ও দলিল-দস্তাবেজ থেকে পণ্ডিতরা নিম্নোক্তভাবে এগুলোর পরিচয় দেবার প্রয়াস পেয়েছেন।



Leave a Comment