রবীন্দ্রাকাব্যের পুনর্বিচার [খণ্ড-১] | Rabindra Kabyer Punarbichar [Vol.1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আলোচ্য কাব্যত্রয়ীর পটভূমি ৮ সঙ্গীতে তাহারই ATA ব্যক্ত হইতে চাহিয়াছে। অবশেষে একদিন সেই রুদ্ধ দ্বার জানি না কোন্‌ ধাক্কায় হঠাৎ ভাঙিয়৷ গেল, তখন, যাহাকে হারাইয়াছিলাম তাহাকে পাইলাম । শুধু পাইলাম তাহা নহে, বিচ্ছেদের ব্যবধানের ভিতর দিয়া তাহার পূর্ণতর পরিচয় পাইলাম ।****(জীবনশ্বৃতি, ১৩৬৩, F ১২৬ ) প্রভাতসঙ্গীতের এই চেতন্তময় দৃষ্টিকে কবি উত্তরজীবনে একাধিকবার বর্ণনা করেছেন? বারবার এ-উপলব্ধিকে পরিস্ফুট করার প্রয়াস করেছেন। রবীন্দ্রসমালোচনায় তারা আজ সুপরিচিত i> এখানে 'শুধু এই কথাটির সুস্পষ্ট Cote প্রয়োজন যে সেদিন রাতে প্রাত্যহিকতার তুচ্ছ অস্তরাল অপসারিত করে কবিমানস সত্যের ও ভূমার জ্যোতিংম্পর্শলাভ করেছিল, 'তা মূলতঃ সৌন্দর্য চেতনা ও দৃষ্টি-জীবনস্মৃতির ভাষায় “একটি মহাগসোৌন্দর্য- নৃত্যের আভাস —e আভাস বালোযে সপ্ত ছিল মগ্নচৈতন্তযে ; কৈশোরে লুপ্ত হুল অবরুদ্ধ “হৃদয়-অরণ্যে” ; যে-আভাস এবার যৌবনের প্রথম উন্মেষে সমগ্র চেতনাকে উদ্ভাসিত করে সৌন্দর্যের দিব্যাহভূতি রূপে দেখা দিল ।২ কবির এ-অভিজ্ঞতার কৌতুকাবহ সামৃশ্ত দেখি পশ্চিমের দুই সাহিত্য- ITNT MSHA | প্রথম জীবনের কোন ছুর্লভমুহূর্তে এই ধরণের wat চেতনার আবির্ভাব ঘটেছিল কবি ওয়র্ডস্বর্থ ও মনীষী কারলাইল-এর অন্তরে | >| ভ্রষ্টব্য_মাহযের ধর্ম মানবসত্য-_পৃূ see ও পরে Religion of Man. 21 By অজিতকুমার চক্রবর্তী এবং উত্তর-সমালোচকের মধ্যে কয়েকজন প্রভাতসঙ্গীত পর্বের এ অহ্ভূুতিকে কবির “বিশ্ববোধ” বা “সর্বান্- ভূতি'র প্রাথমিক স্তর বলে দেখেছেন। অজিতকুমার সংজ্ঞা নির্ণয় করে বলেছেন-_“সমস্ত জলস্বলআকাশকে সমস্ত মহুযাসমাজকে আপনার চৈতন্তে ate পরিপূর্ণ করিয়| axes করিবার নামই 'সর্বাহভুতি”।” অজিতকুমারের উক্তি নিঃসংশয়ে সত্য । কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য এই সাধারণিক সংজ্ঞাকে বিশেষের মধ্যে দেখা; এই সর্বাহভূতির প্রাথমিক স্তরের স্বরূপটাকে দেখা। 'আমাদের বিশ্বাস রবান্দরক/ব্যে এই বিশ্ববোধ এসেছিল বিশিষ্ট পথে--সোৌন্দর্ষ।- হুভূতির মধ্য দিয়ে, এক “মহাসৌন্দর্যন্ত্যের আভাসে”। বাল্যের চেতনা 'ও কৈশোরের SETS মূলত Cherie অপরিস্ফুট অন্তুতি।



Leave a Comment