গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্র সমগ্র | Goyenda Indranath Rudra Samagra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্র সমগ্র --৮/১৮ এইবার শুরু হল ওর অবিশ্বাস্য দুঃসাহসিক জীবনের আর এক পর্ব। মেডিক্যাল রিপ্রেজেপ্টেটিভের কাজ নিয়ে গোটা ভারতে চক্কর মারার সময়ে বোম্বাইয়ের fara কারবারিদের সংস্পর্শে এসেছিল রবি রে। ওর মধ্যে যেন একটা ন্যাচারাল ম্যাগনেট আছে। অজানার দিকে ছুটে যাওয়ার ম্যাগনেট। যেখানে রহস্য, সেইদিকে ধেয়ে যাওয়ার প্রবণতা। ভারত ভ্রমণের এই চাকরিতে ঢুকেছিল আতীব্র এই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই। বোশ্বাইতে ওকে টেনে ধরল এই পৃথিবীর হিরে কারবারিদের আশ্চর্য দুনিয়া। হিরের Pars ছিল ছেলেবেলা থেকেই | এখন সে চলে গেল প্রকৃত হিরের জগতে... সুদীর্ঘ সেই কাহিনি সবিস্তারে লিখতে গেলে, এই উপাখ্যান একটা থান ইটের মতো ভারি হয়ে যাবে। হিরের দুনিয়াটাই যে রোমাঞ্চকর। রোমাঞ্চ স্পৃহা যার প্রতিটি রক্তকণিকায় নৃত্য করে যায়, সে তো রোমাঞ্চময় হিরের কারবারের একদম ভেতরে ঢুকে যাবেই। অসম্ভব ডানপিটে, অসম্ভব pall, অসম্ভব উপস্থিত বুদ্ধির মানুষ রবি রে। তাই একটা সময়ে আপন APY বিকিয়ে দুনিয়া care fara আবাদের নাড়ি-নক্ষত্র আঙুলের ডগায় জড়ো করে নিয়েছিল। শুরু হয়েছিল লোপাট হয়ে যাওয়া বিশাল এক হীরক খণ্ড থেকে। আকাটা হিরে। ওজন ২৬৬ ক্যারাট। পাঠক এবং পাঠিকার অবগতির জন্যে জানিয়ে রাখি, এক গ্রাম ওজনের এক পঞ্চমাংশ হল এক ক্যারাট। বোশ্বাইয়ের গদি থেকে বিপুলাকার এই হিরের অত্তর্ধানের সঙ্গে সঙ্গে গোপন তদন্ত অভিযানেত্ন প্রয়োজন হওয়ায় তলব পড়েছিল আমার। এই হিরে এসেছিল কঙ্গোর খনি থেকে। নিরুদ্দেশ হওয়ার পর সেই হিরেকে খুঁজে বের করেছিলাম নিউইয়র্ক সিটিতে । হিরের খোজে থেকেই কোটি কোটি ডলারের খনির খোঁজ পেয়েছেলাম, রক্তাক্ত সংঘর্ষের বিবরণ পেয়েছিলাম। মূলে শুধু হিরে! কয়লা থেকে জন্ম নেওয়া একটা পাথর। মহাকাল বুঝি Vai হয়ে যায় তার রূপের সামনে। রূপষী হীরক। তোমাকে নমস্কবার। হিরের fora প্রসঙ্গে এবার ফিরে আসা যাক। এবং সে কাহিনি শোনানো যাক হীরক-কন্যা কল্পনা চিটনিসের জবানিতে। 8. কল্পনার ছলনা কাহিনি রবি আমার ASH নেড়ে দিয়ে বলত, কল্পনা আমার কল্পনা, ছলনাময়ী ললনা, কামরূপ থেকে কী শিখে এলে, বল না প্রিয়া, বল না! আমি ওর বিদ্যুৎ চঞ্চল চোখে চোখ রেখে বলতাম, পঞ্চবাণ, পঞ্চবাণ! ও বলত, কী নাম? কী নাম? আমি বলতাম, সম্মোহন, উন্মাদন, শোষণ, তাপন আর স্তম্ভন ও বলত, তোমার ছোট ছোট চোখে তাই বুঝি এত বিদ্যুৎ। আমি রেগে যেতাম। ওই একটি ব্যাপারে খোঁচা মারলে মেজাজ খিঁচড়ে যেত।



Leave a Comment