অদ্বৈতবেদান্তী স্বামী বিবেকানন্দ | Adaitavedantee Swami Vivekananda

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২২ অত্বৈতবেদাষ্তী স্বামী বিবেকানন্দ তদেবানুপ্রাবিশৎ' জীবেনাত্মনানুপ্রবিশ্য'।* সুতরাং তুমি আমি এবং অন্যান্য দৃষ্ট ভেদ সম্বিত বস্তুসমূহ সব আত্মসম্মোহন মাত্র _ প্রকৃতপক্ষে অসীম নিত্যমঙ্গলময় আত্মস্তাই একমাত্র AG | এই অখণ্ড সত্তাতেই আমরা এরূপ নানা স্বপ্ন দেখি। তিনিই সকল coma উর্ধ্বে সকল BS ও eas উর্ধ্বে, অনস্ত অসীম তারই মধ্যে আমরা দেখি সমগ্র বিশ্বপ্রপঞ্চকে। ভগবান্‌ শঙ্করের মতে এই ঈশ্বর সগুণ ব্রহ্ম সর্বাবস্থারহিত তুরীয় fre ব্রহ্ম থেকে স্বতন্ত্র নন। অতএব SHS অদ্বৈতবাদই সিদ্ধ হয়। শেষে বলা যায়, কেউ কেউ অদ্বৈতবাদী শ্রুতিকে আশ্রয় করে অদ্বৈত পক্ষ প্রতিপন্ন করেন এবং কেউ কেউ দ্বৈতপক্ষ প্রতিপন্ন করেন। কিন্তু তারা উভয়েই সম্পূর্ণ দ্বৈত অথবা সম্পূর্ণ অদ্বৈত এই উভয়বর্তিত তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ এরপর এই অধ্যায়ে অদ্বৈতবাদের উৎকর্ষ খ্যাপন করে সমাজবিজ্ঞানের সঙ্গে অদ্বৈতবাদের সামঞ্জস্য আছে কিনা সমীক্ষা করেছি। বলা SET স্বামীজি নিজের সন্ন্যাস জীবনকে সুদৃঢ় ও সার্থক করতে এবং তার দার্শনিক চিত্তাকে পূর্ণাঙ্গ করতে বেদাস্ত অধ্যয়ন করেছিলেন। বিবেকানন্দ মন-প্রাণে বিশ্বাস করতেন যে, অদ্বৈতবেদাস্তই সর্বাপেক্ষা অধিক TAM, অধিক যুক্তিযুক্ত ও অধিক বিজ্ঞান সম্মত | দ্বৈতভাবনায় অভয় পদ Aes সম্ভব নয়। কেননা দ্বৈততত্ত্ব উপাসনায় ভয় ও দুঃখ থেকে নিস্তার নেই। “দ্বিতীয়াৎ বৈ ভয়ং wafer” এই কারণে শাস্ত্রে দ্বৈতবাদ নিন্দিত হয়েছে। উপাসনায় (Gory উপাসক ভাবস্থলে) দ্বৈতবুদ্ধি থাকে, এবং অদ্বৈতবুদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত দুঃখনাশ হয় না। এ বিষয়ে হিতকারিণী শ্রুতির উপদেশ __ “তত্র কো মোহঃ কঃ শোকঃ একত্বমনুপশ্যতঃ ।”** সুতরাং একত্ব দর্শনে মুমুক্ষুর সমস্ত দুঃখের অত্যন্ত নাশ হয়। এই কারণে AAAS উপাসনাকে দুঃখ নাশের হেতু বলেননি। আর উপাস্য দেবতাকে প্রকৃত ব্রহ্ম বলেন নি। তাই কোনোপনিষদে শ্রুতির উপদেশ — “word ব্রহ্ম ত্বং fafa নেদং যদিদমুপাসতে ”** স্বামী বিবেকানন্দ শ্রুত্যুপদিষ্ট অদ্বৈতবাদের এই উৎকর্ষকে হৃদয়ঙ্গম করে তার অনুপম বানা রচনায় বিশেষভাবে এর গুণগান করেছেন। একথাও এখানে স্মরণীয় যে, পারমার্থিক দৃষ্টিতে উপাসনার স্থান না থাকলেও ব্যাবহারিককালে উপাসনার বিশেষ প্রয়োজন আছে। ধুরন্ধর বৈদাস্তিক মধসূদন সরস্বতী তার 'প্রস্থানভেদ' গ্রদ্থে দ্বৈতাদি সমস্ত মতবাদই যে অদ্বৈতবাদে পর্যবসিত তা সুষ্ঠু প্রতিপাদন করেছেন। অধিকারী ভেদে দ্বৈতবাদাদি নানা মতের প্রয়োজন আছে ঠিকই, কিন্তু সকলেরই লক্ষ্য মোক্ষতত্তু। আর অষ্বৈতবাদে অন্যান্য মতের সমন্বয় স্বীকার না করলে শ্রুতিবাক্যসমূহের পূর্বাপর বিরোধ অবশ্যম্ভাবী হয়। আচার্য শঙ্করের মতে কর্ম, উপাসনা ও ভক্তি ব্যবহারিক হওয়ায় এবং মুক্তি পারমার্থিক হওয়ায় ভিন্ন বিযষয়ত্ববশতঃ উভয়ের কোন বিরোধ হয় না। মুক্তি যেহেতু



Leave a Comment