বিশ্বভারতীর মাসিক পত্র [বর্ষ-২] [সংখ্যা-১] | Visva-Bharatir Mashik Patra [Yr. 2] [No. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২য় বর্ষ, ১ম সংখ্যা শান্তিনিকেতন তেমনি মানুষ প্রবৃত্তির রাজ্যে বাইরে আপন ae ফলিয়েছে, ষাইরে যতদূর পারে আপনাকে সমারোহে বিস্তীর্ণ করচে | অন্তরে তার সমস্ত উল্টে গেল । বাহিরের যে আয়োজন নব চেয়ে বেশি করে চোখে পড়ে ছল সে সবই পাপ্‌ড়িব্র মত খসে . পড়ল। সেইখানে সমস্ত বিক্ষিপ্ত শক্তি সংক্ষিপ্ত হল ভাবী জীবনের একট বীজের উপর । যেমনি তাই হল অমনি অন্তর রসে ভরে উঠল। একদিক থেকে একদল মানুষ বল্লে, এই ফুলের জীবন, এই পাপড়ির বিস্তারই চরম,--তার উর্ধে আর কিছুই নেই। তারা কোমর বেঁধে লাগল লড়াই করতে, বোঝাই BAS! দেহুদলকে ভোগের মধ্যে ছড়িয়ে ফেলে দেওয়াকেই তারা সকলের চেয়ে ঘড় করে দেখলে | আর একদিক থেকে আর একদল মানুষ বল্লে, অন্তরের নিভূতে বাইরের শাসন থেকে নিষ্কতি আছে; সেখানে বসে আমি বাইরের বস্তুকে ত্যাগ করতে পারি বাইরের আধাতক্ে প্রতিহত করতে পারি, সেখানে আপনার মধ্যেই আমার আপনার রাজসিংহাসন আছে। সেই সিংহাসনেই আমি একান্তভাবে প্রতিষ্টিত হব--বাইরের দিকে তাকাবই না। তারা Aa, বাইরের দিকে যে শক্তির টানে সমস্ত জীব পাক থেয়ে বেড়াচ্চে, যে শক্তি কেবলই এক জিনিষ ভেঙে আরেক জিনিষ গড়চে, যার বিস্তারের আর অস্ত নেই সেই হল প্রকৃতি । সেই ত একদিকে বাসনা আর একদিকে ভোগের সামগ্রী সাজিয়ে সংসার নাটামঞ্চে হাসিকান্নার অবসানহীন পালা জভগ্জিয়েচে। আর অপ্তরের মধ্যে এই নাটোর বাতি নিবিয়ে দিয়ে সমস্ত সামগ্রীকে ত্যাগ করে ভোগকে নিকুন্ত করে যে সত্তা আপনাকে মুক্তভাবে উপলব্ধি করে, আনন্দ পায় সেই হল আত্মা। এই আত্মাকেই মান্ব, প্রকৃতিকে waz না। এ কথা যে বলেচে তাকে প্রাণপণ জোর করেই বল্তে হয়েচে। কেননা মানবজীবনের সবচেয়ে আদিমতম অভ্যাস হচ্চে বাহিরেই ছড়িয়ে যাওয়া, বাহিরকেই একান্ত করে জানা। ইন্ত্রিয়-বোধই তার প্রথম আলে৷ জেলেচে, * প্রবৃত্তিই তাকে প্রথম চালন। করেচে। Leary তার মন এই বাহিরের জগতে



Leave a Comment