For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৩ ভূমিকা বিমুগ্ধ রোকেয়া স্মরণ করেছেন এই অনুপম সৌন্দযের স্রষ্টাকে; রোকেয়া লিখেছেন-_চিত্র
দেখেই চিত্রকরের নৈপুণ্য বোঝা যায়, আর আমাদের মনে পড়ে যায় আর এক হিমালয়-
পথিঝ/ক--১৮৫৭ সালে হিমালয়ের পথে পথে পরিভ্রমণরত মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ প্রকৃতির
শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে ভেবেছিলেন-_“ঈশ্বরের কোন্ কার্য না আশ্চর্য!”
ছোট ছোট সুগন্ধি বুনো ফুল দেখে ভেবেছিলেন-_'“এই পুষ্পসকলের সৌন্দর্য ও লাবণ্য,
তাহাদিগের নিষ্কলঙ্ক পবিত্রতা দেখিয়া সেই পরম পবিত্র পুরুষের হস্তের চিহ্ন তাহাতে
বর্তমান বোধ হইল ।”আর 'কূপমণ্ড্ক' রোকেয়া ভেবেছেন, টিয়াপাখির মতো কণ্ঠস্থ বাক্যের
উচ্চারণে উপাসনার তৃপ্তি কোথায় 2 “প্রাকৃতিক সৌন্দর্যদর্শনকালে মন প্রাণ স্বতঃই সমস্বরে
বলিয়া ওঠে-_ঈশ্বরই প্রশংসার যোগ্য! তিনিই ধন্য !' তখন এসব কথা মুখে উচ্চারণের
প্রয়োজনও হয় না।” 'নারী-পূজা*প্রবন্ধটি কথোপকথনের ভঙ্গিতে লেখা-_হিন্দু ও মুসলমান, দুই পরিবারেরই
শিক্ষিত, সচেতন চারটি মেয়ে পারস্পরিক আলাপের মধ্য দিয়ে খুঁজে চলেছেন-_কোন্
সমাজেই বা তাদের জন্য মর্যাদার আসন পাতা আছে। “মহিলা” পত্রিকার তিনটি সংখ্যা জুড়ে
(১৩১২-- পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন) রোকেয়া রচনা করেছিলেন নারীমর্যাদার এই বিশ্লেষণী ছবি। “আশাজ্যোতিঃ” প্রবন্ধে রোকেয়া আশায় উৎফুল্প-_আলিগড়ে স্ত্রীশিক্ষার আয়োজন
তাকে উৎসাহিত করেছে, মনে করিয়ে দিয়েছেন রোকেয়া, অনেকদিন আগেই নাবীর জন্য
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছিলেন তিনি ('মতিচুর'-এর “বোরকা” শীর্ষক প্রবন্ধে); আর
জানিয়েছেন-_'স্ত্রীলোকদিগকে পুরুষেরা সর্বদা হীনবুদ্ধি বলিয়া থাকেন, তাই অবলারা
নিজেকে নিতান্ত মেধাহীন ভাবিয়া ক্রমে নিরুৎসাহ হইয়া পড়িয়াছে__তাহারা আর
জ্ঞানচর্চার দিকে সহজে অগ্রসর হইতে চাহে না। কোন ভাল লোককে ক্রমাগত পাগল
বলিলে সত্যই সে পাগল হইয়া যায়!” আর, প্রবন্ধের শেষে রোকেয়া সগর্বে বলেন-_
“শিক্ষাক্ষেত্রে ভারতবালাকে পুরুষের সহিত প্রতিদ্বন্দিতা করিতে সুযোগ দেওয়া হয়না, সে
স্বতন্ত্র কথা। নতুবা এ '“ডানাকাটা' অবস্থায়ও তাহারা সুবিধা পাইলে পুরুষের তুলনায়
তাহাদের অপেক্ষাকৃত SVG প্রতিপন্ন করিয়া দেখায়।” তবুও, কতদিন লেগেছে
অশিক্ষার এই কারাগারের দ্বারমোচন করতে, অন্ধ দেওয়ালে কতই না মাথা ঠুকতে হয়েছে
রোকেয়ার মতো চক্ষুজ্মানদের! ব্রাহ্ম গিরিশচন্দ্র সেন-এর 'ধর্মসাধননীতি' বইটির সমালোচনা লিখেছিলেন রোকেয়া
'মহিলা'” পত্রিকায়। অ-মুসলমান গিরিশচন্দ্র যে Po সমালোচনার ভাষায় নয়, “ভক্তের
ভাষা'য় ইসলাম ধর্মকেন্দ্রিক বিষয়গুলি আলোচনা করেছেন, এই পর্যবেক্ষণ তৃপ্তি
দিয়েছিল রোকেয়াকে। খোলা তরোয়াল হাতে সমাজের যে সব 'কাটমোল্লা'রা ধর্মকে