স্পার্টাকাস [সংস্করণ-২] | Spartacus [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
স্পার্টাকাস ১৯ এবং পর পর প্রতি দিনই পথচলার এই হার বজায় রাখত ৷ এই পথের উপর দিয়ে যেত রাজ্যের নানা পসরা বোঝাই মালগাড়ি। তাতে থাকত গম, যব, কাঁচালোহা, কাটা. কাঠ, কাপড়, পশম, তেল, ফল, পনীর, সেঁকা মাংস। এই পথেই নাগরিকেরা তাদের বিধিসঙ্গত ব্যবসাবাণিজ্যে লিপ্ত থাকত । অভিজাত বংশীয়েরা এই পথ দিয়েই তাঁদের পল্লিনিবাসে যাতায়াত করতেন। সার্থবাহ ও পরিব্রাজক এই পথেই যাত্রা করত। দাস কাফেলার বাজারে আনাগোনার পথ ছিল AHS | সর্বদেশের সর্বজাতির লোক এই পথের পথিক, পথ চলতে চলতে সবাই রোমের স্থায়িত্ব ও শৃঙ্খলার পরিচয় লাভ করত। এই সময় মহাপথের ধার বরাবর কয়েক ফুট অন্তর অস্তর একটি করে ক্রুশ প্রোথিত করা হয়েছিল এবং প্রতিটি ger ছিল একটি করে মৃতব্যস্তি। ৪ সকাল হতেই বেশ গরম পড়ল | এতটা গরম পড়বে কেইয়াস ভাবে নি। কিছুক্ষণ যেতেই গলিত শবের দুর্গন্ধ অসহ্য হয়ে উঠল। মেয়েরা আতরে রুমাল ভিজিয়ে অনবরত নাকে চেপে ধরতে লাগল | কিন্তু এত করেও দমকা দুর্গন্ধের ঝাপটাকে রোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না এবং দুর্গন্ধজনিত প্রতিক্রিয়াও কিছুমাত্র লাঘব হল না। মেয়েরা অসুস্থ বোধ করতে লাগল | কেইয়াস শেষ পর্যন্ত আর থাকতে না পেরে দলের থেকে পিছিয়ে পড়ল এবং পথের ধারে গিয়ে বমি করে অস্বস্তি দূর করল। এর ফলে সারা সকালটাই পণ্ড হয়ে গেল। সৌভাগ্যবশত মধ্যাহৃুভোজের জন্যে তারা যে-পান্থশালায় উঠেছিল, তার আধমাইলের মধ্যে কোনো ক্রুশ ছিল aT) যদিও ক্ষুধা বলে তখন কিছুই তাদের অবশিষ্ট নেই, তাদের অস্বস্তিটা এখান থেকে তারা কাটিয়ে উঠল। পান্থশালাটি ste স্থাপত্য অনুযায়ী, ছাড়া ছাড়া একটা একতলা বাড়ি, সঙ্গে একটি চমৎকার অলিন্দ, অলিন্দের নিচে একটি পয়ঃপ্রণালী, তা দিয়ে জলধারা বয়ে চলেছে। যে-গুহামুখে এটি অবস্থিত তার চতুর্দিক ঘেরা ছিল সবুজ সুগন্ধি দেবদারু গাছে। দেবদারুর সুবাস ও গাছগাছড়ার সৌদা মিষ্টি গন্ধ ছাড়া এখানে আর কোনো TH নেই এবং জলের কলতান ও আহাররত Aflac বিনয়নম্র কলভাষ ছাড়া আর কোনো শব্দ AS 'কী আশ্চর্য সুন্দর জায়গা,' Boar বলল | কেইয়াস আগেও এখানে এসেছে, সে নিজেদের জন্যে একটা খালি টেবিল বেছে নিয়ে গল্ভীরভারে হুকুম করল খাবার নিয়ে আসতে | এখানকার মদ স্বাদগন্ধহীন পীতাভ একপ্রকার পানীয়, আনন্দ জাগায় এবং ক্লান্তি দূর করে। তারা আসন গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে সেই সুরা পরিরেশিত হল এবং সুরা পানের সাথে সাথে HAMS পুনরুদ্রেক হল | তারা ছিল পান্ভশালার পিছনের অংশে | তাদের আড়াল করে ছিল সামনের সাধারণ কক্ষ । সেখানে বসে খাচ্ছিল সৈনিক, শক্টচালক ও বিদেশীরা ৷ এরা যেখানে বসেছিল সে-জায়গাটা ছায়াশীতল ৷ যদিও ধরাবীধা কোনো নিয়ম ছিল না, সবাই জানত সামস্তর্সার আর অভিজাতদের জন্যে স্থানটি নির্দিষ্ট তার মানে এ নয়, স্থানটি একই সঙ্গে উভয়পক্ষের ব্যবহার্য নয়, কারণ সামস্তরসসারদের



Leave a Comment