নাদির শাহ | Nadir Shah

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তার হাতে সব সময় একটি যুদ্ধ-কুঠার। কারও প্রতি বিরূপ হলে কিংবা তাঁর ধৈর্যচ্যুতির ঘটনা ঘটলে সেই BIA কখনো-সখনো শিরচ্ছেদ ঘটায় | তিনি নিজে চূড়াস্ত কষ্ট সহা করতে পারেন। তাই তাঁর সৈন্যদলের অনেকে ভাড়াটে হলেও তার মত কষ্ট সহ্য করতে বাধ্য হয়। হিমের রাতে উন্মুক্ত প্রান্তরে ভাজা মটরশুঁটি চিবোতে চিবোতে ঘোড়ার জিনকে মাথার বালিশ করে নিয়ে তিনি অনেক রাত কাটিয়েছেন। আসলে কামিজের থলিতে সব সময় ভাজা মটর মজুত থাকে | কারণ দুএকদিন অনাহারে থেকে ওই মটর চিবিয়ে দিন কাটাতে অভ্যস্ত তিনি। অমন অনেক ঘটেছে। নাদির জন্মেছিলেন পারস্যের খোরাসান প্রদেশের ক্যালট নামে একটি ক্ষুদ্র জনপদে | পিতা ছিলেন একটি উপজাতের নেতা। তার অধীনে একটি ক্ষুদ্র দুর্গ ছিল। এই দুর্গ থেকে লক্ষ্য রাখা হত যাতে উজ্জবেক তাতাররা গিরিপখ ধরে দেশে প্রবেশ করতে না পারে। বেশ কয়েকটি গিরিপথ দেখাশোনার ভার ছিল নাদিরের পিতার ওপর। পিতার মৃত্যু হলে নাবালক নাদির খুল্লতাতের দৌরাত্ম্য তিষ্ঠাতে পারলেন at | তিনি চলে গেলেন খোরাসানের শহর মুশাদে। তখন তিনি শুধু নাদির খাঁ বা সংক্ষেপে কুলি খাঁ। খুব একটা সম্মানজনক পরিচয় নয়। কারণ ‘Sle’ কথাটার অর্থ বলতে গেলে প্রায় ক্রীতদাসের পর্যায়ে পড়ত। তবু তিনি সেখানে সুলতানজাদার সঙ্গে দেখা করে, ব্যবহারে তাঁকে HBB করে একটি অশ্বরোহী দলের দলপতি হলেন। তারপর থেকে তাঁর উন্নতির সূচনা। তাতাররা দেশ আক্রমণ করলে তিনি এমন বীরত্ব দেখালেন যে তাঁকে সেনাধ্যক্ষের পদে উন্নীত করা হল। তবু কিন্তু তার জীবন মসৃণ রইল না। তিনি খুল্লতাতের কাছ থেকে তখনো দুর্গাটি নিতে পারেননি। এদিকে কোন কারণে সুলতানজাদার কোপদৃষ্টিতে পড়ে তার সৈন্যবাহিনীর পদটিও গেল। তখন অনন্যোপায় হয়ে তিনি গিরিপথে পর্যটক এবং অন্যান্য রাজকীয় যাত্রীদের ওপর ডাকাতি শুরু PACHA | কারণ তাঁকে সৈন্যদল য়াখতেই ACA | না রাখলে পৈতৃক দুর্গ দখল করতে পারবেন না কিংবা শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন না। অবশেষে তিনি সফল হলেন। নিজের দুর্গ দখল করলেন। শাহের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠলেন। এবং দুর্বলচিত্ত শাহের দৌলতে শেষ পর্যন্ত পারস্য দেশের অধিপতি! এই ছিল মোটামুটি তার জীবনের পশ্চাৎপট। এই জীবনের সঙ্গে দিল্লীর বাদশাহ মহম্মদ শাহের জীবনের আসমান- জমিন ফারাক! মুকুরের কাছে হিন্দুস্থানের জমিতে পদার্পণ করে নাদির শাহ অনেকখানি এগিয়ে বেশ কিছুদিনের জন্য গজনীর আঠারো ক্রোশ দক্ষিণ-পশ্চিমে কারাবাগে শিবির স্থাপন করলেন। তাঁর পত্র দিষ্লীশ্বরের কাছে পৌছোতে আরও কয়েকদিন লাগবে। আর পৌঁছোলেই বা কি? মহম্মদ শাহ যে কতটা গুরুত্ব দেবেন জানা আছে নাদির শাহের । আগেও কয়েকবার একই অনুরোধ জানিয়েছেন MACS, পর্যটকদের মারফত | এইসব পর্যটকেরা দূতের মতই সম্মানীয় ব্যক্তি ছিল। দিল্লী ভ্রক্ষেপ করেনি। নাদির শাহ জানেন, বহুবছর ধরে বংশপরম্পরায় একটা বিশাল দেশের অধীশ্বর হলে ভুয়ো আত্মস্তরিতায় আক্রান্ত হওয়া খুব স্বাভাবিক। এমন না হলে ১৬



Leave a Comment