For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৪ ঈশ্বরের বাগান যেন হেঁকে যাচ্ছে, হাই ছোটবাবু ভয় পাচ্ছ কেন! Blom Baw প্লেজার।
গো অন। রাতেই অতীশ ভেবেছিল, স্ত্রীকে চিঠি লিখবে। ওর ধারণা ছিল, নির্মলা
তার এটাচিতে খাম রেখে দ্বিয়েছে। stad কোথাও গেলে নির্মলার এটা
স্বভাব। পৌঁছেই একটা চিঠি। সময়মত চিঠি at পেলে নির্মলা ভীষণ Bh
ছয়ে পড়ে। কিন্তু এটাচিটা খুলে দেখল, খাম অথবা পোস্টকার্ড কিছুই রাখেনি |
নির্মলার এত বড় ভুল হয় না। পরে মনে হুল, fen ওকে ছেড়ে থাকতে হুবে
ভেবে খুব ভেঙে পড়েছি: 1 কারণ বিয়ের পর সে অতীশকে ছেড়ে বেশিদ্গিন
থাকে নি। কলকাতায় অতীশ যাচ্ছে। সেখানে কি কাজ কি মাইনে, কিছুই
জানা নেই । 'সেখানে এমন মাইনে আশা করে না যাতে করে বাসা ভাড়া করে
থাকতে পারে অতীশ। বাসার খরচ চালিয়ে এমন উদ্ব:ত্ত আয় অতীশের হনে
না, যাতে করে বাবা-মা ভাই-বোমেদের ভরণপোষণ করতে পারে। ফলে নির্মলা
ভেবেছিল, অতীশ প্রবাসী হয়ে গেল। তাব সঙ্গে মাঝে মধ্যে এবার থেকে
কখনও কখনও প্রবাসী মান্ুযের মতোই দেখা হবে। এই বেদণাবোধে সে
কদিন থেকেই পীড়িত হচ্ছিল এবং Rohs তার সে-জন্য হয়েছে। চিঠিটা লেখা খুব Best ভাবল । চিরঠিটার জন্য নির্ললার অপেক্ষা কি গভীর
সে GARE টের পাচ্ছে। নধরবাবু তাকে সাহায্য করতে পারে। সে নধর-
বাবুর কাছেই একটা খাম পেয়ে গেল । এবং ঘরে এসে প্রথমেই লিখল,
কল্যাণীয়াস্থ এখানে মঙ্গলমতো পৌঁছেছি। আজ থেকেই কাজে বহাল হলাম |
মাইনে স্কুলে যা পেতাম আপাতত মনে হচ্ছে তার চেয়ে বেশিই হবে। মুল
প্রাসাদ সংলগ্ন একটা ঢ্বোতলা বাড়িতে এক কামরার ঘর দ্লিয়েছে। সেখানে
আছি ৷ কোন অসুবিধা নেই। তারপরই লেখার ইচ্ছে হল, কিছু কিছু ঘটনা
চোখে খুব rs | কিন্তু এটা লেখা যুক্তিযুক্ত ভাবল না। নির্মলার স্বভাব এক-
টুকুতেই ভেঙে পড়া। তখন ওর শরীর ভেঙে পড়ে। বিয়ের আগে নির্মলা
সারি সুন্দর ছিল দেখতে | চোখে মুখে বালিকাস্থলভ হাসি লেগেই থাকত।
কিন্তু একজন স্কুল শিক্ষকের পক্ষে আখিক নিরাপত্তা তত প্রবল ছিল at বলে
তাকে প্রায়ই দুশ্চিস্তাগ্রস্ত করে তুলত | আর বিয়ের বছর চার না যেতেই পেটে
মিষ্ট, টুটুল হাজির। তখন নির্মলার এমনও মনে হয়েছে অতীশ অবিবেচক |
অতীশ বাইরের বারান্দায় অনেকদিন চুপচাপ সন্ধ্যায় নির্জনে বসে থেকেছে