বনফুল উপন্যাস সমগ্র [খণ্ড-৪] | Banaphool Upanyas Samagra [Vol. 4]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মহিমাকেই উদ্ভাসিত করে গেছেন। সাত. প্রচ্ছন্ন মহিমা-এ বিষয় ও আঙ্গিকের দিক থেকে বনফুলের রচনা বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করেছে। এখানে আদি মধ্য অস্ত সমম্বিত কোনো কাহিনী গ্রথিত করা হয় নি। কিছু চরিত্র। গুটিকত চিঠি। আপাতঅসংলগ্ন কতগুলি ঘটনা পরিবেশিত হয়ে একটি বহমান সত্যকে প্রকাশ করতে OIE! মনুষ্যসভ্যতার অন্তর্নিহিত সত্য ও মূল্যবোধ এ উপন্যাসের অবলম্বন রঞ্জু, কুশলা অমিলা চৌধুরী এবং অজমুণ্ড রাবণ মিলে যে এঁকতানের সৃষ্টি করেছিল তার fide ঘটেছে ব্যাপক ধ্বংসলীলায়। নিরর্থক এ ধ্বংসলীলাই কি সভ্যতার নিয়তি | বনফুল যেন পাঠকদের কাছে এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন সভ্যতার বিপর্যয়ের মধ্যে কোন মহিমা প্রচ্ছন্ন হয়ে আছে। সভ্যতার নিয়তি মনুষ্যসমাজকে কোন উপসংহারের অভিমুখে চালনা করছে। “'গোপালদেবের স্বপ্ন” ও 'অধিকলাল” লেখা হয়েছিল যথাক্রমে ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ Pvc! বনফুলের পঁয়তাল্লিশ ও সাতচল্লিশতম উপন্যাস। “'গোপালদেবের VAS একটি নতুন রীতির উপন্যাস। সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন শাখায় বনফুল বরাবরই নতুনত্বের Weal অক্লাস্তকর্ম ছিলেন । বিষয় ও বিন্যাসের মধ্যে প্রতিবারই স্বতন্ত্র স্বাদ বহমান করার আশ্চর্য অভীকঙ্সা ও ক্ষমতা তার ছিল। শুধুমাত্র আয়তনের বৈচিত্র্য নয়, শৈলীর মৌলিকত্বও তাকে সমকালীন লেখদের মধ্যে আলাদা করে চিহ্নিত করে দেয়। “অধিকলাল” উপন্যাসটির কথাই ধরা Ws) এই উপন্যাসের কথক নক্ষত্রকাস্তি ঘোষ, তিনি অধিকলালের জীবনী পাঠকের কাছে পেশ করেছেন। খাতাটাও অধিকলালের নয়, যদিও এটি পাওয়া গিয়েছিল অধিকলালেরই পেটিকায়। খাতার লেখাগুলোর বিষয় অধিকলাল হলেও পাঠক তা জানতে পারে তার বন্ধু যোগেনের জবানীতে | খাতাও ছিল জীর্ণ ও অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ পাঠক faa অভিব্যক্তির মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে থাকেন। অধিকলাল সমাজের পিছড়ে বর্গের সম্ভান, জাতিতে দোসাদ। বর্ণহিন্দুদের কাছে সে গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ এ সমজ থেকে এলেও, বরং বলা ভাল এ সমাজ থেকে এসেছে বলেই তার সততা ও জীবন দেখায় মৌলিকত্ব তাকে পারিপার্শ্বিক থেকে ক্রমে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। বনফুলের নানা উপন্যাস ও আত্মজীবনী “পশ্চাৎপট' -এ এই শ্রেণীর মানুষের ছবি বছবার এসেছে। উপন্যাসের বর্ণনাভঙ্গীর মতই অধিকলালের জীবন যেন অসম্পূর্ণ তবু তার মধ্য দিয়ে এক পূর্ণতর মানবমহিমা উদ্ভাসিত হতে থাকে। অধিকলাল আদ্যস্ত সৎ, তার ট্র্যাজিক বীজ হল এ সততা | তাই তার মহতী বিনষ্টি৷ পাঠককে এক গভীর ধাক্কার মুখোমুখি করে দেয়। বনফুল যেন বলতে চান আমাদের ভারতীয় সমাজের ASS মুক্তি ঘটবে অধিকলালের মত মানুষের সংখ্যাবছলতায়। তাদের সমাজসংলগ্নতা আমাদের অজস্র অনুপপত্তিকে সরিয়ে দেবে। “গোপালদেবের স্বপ্ন” মূলতঃ বনফুলেরই WA! যাটের উত্তাল দশকে এগারো



Leave a Comment